ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ার প্রধান সড়ক চৌমহনী থেকে বাজার খানা-খন্দে ভরা : ভোগান্তি চরমে

Aমো: ফারুক, পেকুয়া :::

পেকুয়া উপজেলার চৌমুহনি থেকে পেকুয়া বাজার পর্যন্ত পাকা রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে জনগণ। মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তাটি দিন দিন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের পেকুয়া বাজারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বাজার ঘিরে গড়ে উঠেছে শত শত দোকানপাট। এ এলাকার একমাত্র বাজার হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এখানে। এ ছাড়া উপজেলা, জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য একমাত্র অবলম্বন এ রাস্তাটি।

পেকুয়া বালিকা উচ্চ কিদ্যালয়, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনোয়ার উলুম মাদ্রাসা, পেকুয়া মহিলা মাদ্রাসা ও জিএমসি উচ্চবিদ্যালয়সহ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজ, বিএমআই কলেজের ছাত্র-শিক্ষকদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ রাস্তাটি।

রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার বড় একটি গর্তে পাথরভর্তি ট্রাক আটকে গেলে দেখা যায় দীর্ঘ যানজটের। দীর্ঘদিন আগে এই রাস্তাটি পাকা করা হয়। কিন্তু এরপর আর কোনো সংস্কার না করায় রাস্তাটির কোথাও কোথাও পাকা রাস্তার চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না। রাস্তার দুই পাশ ধ্বসে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার খানাখন্দ পানিতে ভরে যায়। হাটুরেদের কাদা পানি ভেদ করে চলাচল করতে হয়।

এলাকার সরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজনকে এ রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে হয়। বাস, ট্রাক, অটোবাইক, টেম্পো, অটোভ্যান, অটোরিকশা প্রতিনিয়ত চলাচল করে এ রাস্তায়। ফলে যানবাহনের ওপর নির্ভরশীল ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ যাত্রী-সাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কফিল উদ্দীন বাহাদুর জানান, জনদূর্ভোগের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তারপরও মানুষজন অনেক কষ্টে চলাচল করে। তিনি এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার(এলজিডি) জাহেদুল আলম চৌধুরী জানান, সংস্কারের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে রাস্তা সংস্কার করা হবে।

 ######################

পেকুয়ায় আওয়ামীলীগের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী সভা অনুষ্টিত

 পেকুয়া প্রতিনিধি :::

 পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্দ্যেগে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী সভা অনুষ্টিত হয়েছে। ১৮ জুলাই বিকাল ৩টায় উপজেলা কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্টিত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের পরিচালনায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাষ্টার আজমগীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রভাবশালী সদস্য এসএম গিয়াসউদ্দিন, শাহনেওয়াছ চৌধুরী বিটু, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, ফরিদুল আলম, কাজিউল ইনসান, ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচি, মো: মফিজ, উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান সাবেক যুবলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মহিলা নেত্রী উম্মে কুলসুম মিনু, যুবলীগ সম্পাদক মো: বারেক, সৈনিকলীগ সভাপতি সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হিরু, শ্রমিকলীগ সভাপতি নুরুল আবছার, সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ওসমান গণি, সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ উদ্দিন, শিক্ষক নেতা মাষ্টার হানিফ চৌধুরী, ওলামালীগ নেতা ইউনুস কাদেরী ও শফিকুর রহমান, ছাত্রলীগ সভাপতি কপিল উদ্দিন বাহাদুর, সম্পাদক এহেতাশামুল হক। উপস্থিত ছিলেন, সদর সভাপতি আযম খান, সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, বারবাকিয়ার সভাপতি আবুল শামা, সম্পাদক কামাল হোসেন, শীলখালী সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, উজানটিয়া সম্পাদক শাহাজামাল এমইউপি, মগনামার সম্পাদক রশিদ আহমদ, মহিলা আ’লীগ সভাপতি মর্জিনা বেগমসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় বক্তারা বলেন, সারা বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ ও নৈরাজ্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে ধারাবাহিক জঙ্গি হামলা ও সন্ত্রাস চালিয়ে নিরহ জনগনকে হত্যা ও জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হচ্ছে। এর থেকে উত্তরণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী প্রত্যেক ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি গঠন করে তা মোকাবেলা করার নির্দেশ প্রদান করেন। আর এ কমিটি জেলা আ’লীগের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ বরাবর পাঠানো হবে। আগামী ২০ জুলাই ভিতরে এ কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে।

 ######################

 পেকুয়ায় রোয়ানু ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ইউনিসেফের ত্রাণ বিতরণ

 মো: ফারুক, পেকুয়া :::

 কক্সবাজারের পেকুয়ায় ঘূর্ণিঝড় রোয়ান আঘাত ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিলি করেছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল সংস্থা (ইউনিসেফ)। ১৮জুলাই সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পেকুয়া উপজেলা পরিষদ এ দাতা সংস্থা ইউনিসেফ ৫শত দুর্গত উপকারভোগির মাঝে এসব ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয়।

ঘুর্নিঝড় রোয়ানুর আঘাতে ব্যাপক ভাবে পেকুয়ায় নিন্মাঞ্চল জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হয় উপকূলীয় তিন ইউনিয়ন মগনামা, রাজাখালী ও উজানটিয়া। বিশুদ্ধ পানি ও পয়নিস্কাশনের জন্য দুর্গত এলাকায় জাতিসংঘের সহযোগি সংস্থা (ইউনিসেফ) পেকুয়া উপজেলায় এসব সামগ্রীর মধ্যে স্যানিটেশন, সাবানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মারুফুর রশিদ খান জানান, মগনামা ইউনিয়নে দু’শ, উজানটিয়া ইউনিয়নে এক’শ ও রাজাখালী ইউনিয়নে দু’শত দুর্গত পরিবারের মাঝে ইউনিসফের পক্ষ থেকে এসব সামগ্রী বিতরন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, ইউনিসেফ কক্সবাজারের ইনর্চাজ আছমা খাতুন, সহকারি প্রধান রুহুল আমিন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কামাল হোসেন, ম্যাকানিক ছাদেক ছিদ্দিক, শওকত ইসলাম, শাহেদুল ইসলাম, মো.ফোরকান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, অফিস সহকারি আবু ছৈয়দসহ প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: