মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :::
কক্সবাজারের পেকুয়া থানার বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত দারোগা এএসআই জয়নালের বিরুদ্ধে পুলিশের মহা পরিদর্শক (আইজিপির) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যবসায়ী। আজ ১২ মার্চ রাজধানী ঢাকার পুলিশ সদর দফতরে হাজির হয়ে পেকুয়া থানার দারোগা জয়নালের বিরিদ্ধে লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেছেন কাইছার মিয়া। তিনি পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম জালিয়াকাটা গ্রামের জাফর আলমেন পুত্র ও পেকুয়া চৌমুহনী ষ্টেশনের ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ী জয়নাল আইজিপির কাছে দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন; গত দুই মাস ধরে পেকুয়া থানার দারোগা জয়নাল চৌমুহুনীস্থ তার ফলের দোকান এসে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। গত ৩ মার্চ তার দোকানে গিয়ে সরাসরি হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যায়। ওই ব্যবসায়ী আরো উল্লেখ কররছেন, পেকুয়া থানার দারোগা জয়নাল গত ০৫/০৩/২০১৭ ইংরেজী তারিখে রাত আনুমানিক ৮ঘটিকার সময় এসে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় প্রায় ১৭ ঘন্টা আটকে রাখার পর ৬মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে আদালতে প্রেরন করেন। পরে ক্যবসায়ী কাইছার মিয়া জানতে পারেন, ঢাকার সিএমএম আদালতে দএয়রকৃত চেক প্রতারনা মামলা নং ৯৪৩/১৬ইং মামলার আসামী উল্লেখ করে আদালতে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, ঢাকার এডরুক ফামা লিঃ এর এমআইও হিসেবে চাকুরী করা পেকুয়ার বারবাকিয়া ইউানয়নের জাফর আহমদ এর পুত্র মোহাম্মদ কাইছারের বিরুদ্ধে ওই কোম্পানি ঢাকার সিএমএম আদালতে চেক প্রতারনার মামলাটি দায়ের করেছিলেন। আর ওই মামলায় মোহাম্মদ কাইছারের বিরুদ্ধে সমন জারীর পর আদালতে হাজির না হওয়ায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে পেকুয়া থানায় প্রেরণ করেন। কিন্তু মামলার প্রকৃত আসামী এডরুকের এমআইও মোহাম্মদ কাইছারকে গ্রেফতার না করে শুধুমাত্র নামের মিল থাকায় চৌমুহনী ষ্ট্রেশনের ব্যবসায়ী কাইছার মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ্দ করেন।
পরে আদালতে ব্যবসায়ীর আইনজীবিরা চ্যালেঞ্জ করলে আদালত কাইছার মিয়াকে জামিন দেন।
কাইছার মিয়া অভিযোগ করেছেন, তিনি কোন মামলার আসামী না হওয়ার পর দারোগা জয়নাল তাকে হয়রানী করতে এবং তার দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় অন্য জনের মামলায় গ্রেফতার করেছে। ব্যবসায়ী কাইছার এহেন অসাধু দারোগা জয়নালের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইজিপির কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: