ছবির ক্যাপশন: ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সামনে বিজয় মেলার নামে অবাধে চলছে অশ্লীল নৃত্য, যাদু প্রদর্শনী ও সার্কাস।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণের অনুমতি নিয়ে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সামনে বিজয় মেলার নামে অবাধে চলছে অশ্লীল নৃত্য, যাদু প্রদর্শনী, সার্কাস ও জুয়ার আসর। তাছাড়া অয়োজকরা সবাই স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতা হওয়ায় অসামাজিক কর্মকান্ড চালানোর সাহস পাচ্ছেন। যেন দেখার কেউ নেই।
জানা যায়, মহান বিজয় দিবস ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে মাসব্যাপী বিজয় মেলার অনুমতি নেয় ডুলাহাজারা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। এরপক্ষে আবেদন করেন ইউনিয়ন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আমির হামজা। গত ১৬ডিসেম্বর উদ্বোধন করে মেলাটি। ওইদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর থেকে মেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমুলক কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি। শুরুর দিন থেকে চলছে সার্কাসে উলঙ্গ নৃত্য, জুয়া, যাদু প্রদর্শন ও লটারি। মেলায় বেপরোয়া বাজানো হচ্ছে মাইক ও বড়বড় সাউন্ড বক্স। মারাত্মক শব্দ দুষণের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় এলাকাবাসি। এতে উঠতি বয়সের সব স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী ও গ্রাম্য যুবকসহ দূর-দূরান্তের বিকৃত মানসিকতার মানুষের উপচেপড়া ভীড় সেখানে মোহিত করে রেখেছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে আসা দেশিবিদেশি পর্যটকরাও প্রবেশধারে এধরণের বিজয় মেলা দেখে বিরক্ত প্রকাশ করছেন।
মুলত ডুলাহাজারা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে মেলাটি অনুমোদন নিলেও এসব নিয়ন্ত্রণ করছেন যুবলীগের সভাপতি এহেসানুল হক, সাধারণ সম্পাদক তওহিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সভাপতি জিকু ও স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আবছার সহ তার অনুগত কিছু স্থানীয় দলীয় লোকজন। প্রশাসন ও পুলিশকে ম্যানেজ করে বিজয় মেলার নামে চালাচ্ছে এসব অপকর্ম। ফলে এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যুব সমাজসহ সব বয়সের লোকদেরকে গ্রাস করছে। মেলা পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তওহিদুল ইসলাম জানান, মেলাটি মুক্তিযোদ্ধাদের নামে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। এখানে কোন ধরণের জুয়া বা উলঙ্গ নৃত্য চলছে না। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নানা অনুষ্ঠান হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এলাকার বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও সচেতন ব্যক্তি জানান, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাসে বিজয় মেলার নামে সেখানে অশ্লীলতা ও অপরাধ কার্যক্রম চলছে। তা বন্ধ করতে হবে। তা হলে দেশের বিজয় অর্জন ম্লান হবে। বদনাম হবে সূর্য সন্তানদের।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাহেদুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসক থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণের জন্য স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিজয় মেলার অনুমতি নিয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু কেউ মেলা অনুমতির নামে জুয়া, লটারী বা উলঙ্গ নৃত্য চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##
পাঠকের মতামত: