ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ট্রিম্যান আবুলের অপারেশন সফল

4503-400x256সি এন ডেস্ক :
অপারেশন করে ট্রিম্যান আবুল বাজনাদারের ডান হাতে দুই আঙুল থেকে বর্ধিত অংশ ফেলে দেয়ার সময় যে রক্তক্ষরণ হয়েছে, সেটি ভালদিক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাছাড়া তার হাতের আঙুলের অস্তিত্ব বোঝা গেছে, সেসব নাড়াতেও পারছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আবুল বাজনাদারের অপারেশন শেষে তার চিকিৎসায় গঠিত ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে সম্পন্ন হওয়া পরীক্ষামূলক এই অপারেশন সফল বলে দাবি করেন আবুল কালাম আজাদ। এ হাসপাতালেরই প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান আবুল কালাম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আবুল বাজনাদারের অপারেশন কঠিন কিছু না হলেও এই রোগ যাতে পুনরায় সংক্রমিত না হয়- তা-ই ভাবনার বিষয়। রোগটি জ্বিনগত সমস্যা থেকে হয়। এরই মধ্যে তার দেহ থেকে সংগৃহীত নমুনা আমেরিকায় একজন বিজ্ঞানীর কাছে পাঠানো হয়েছে। এর যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার উপায় বের করা। একইসঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষাও করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বের করার চেষ্টা চলছে আক্রান্ত জ্বিন সনাক্তের। তখন জ্বিন থেরাপি দিয়ে প্রতিরোধ সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আবুল কালাম বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেয়া। কমপক্ষে তিনমাসের আগে আবুলের আর কোনো ধরণের অপারেশন করা হবে না জানিয়ে শমরিতা মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও চর্মরোগের অধ্যাপক ডা. কবীর চৌধুরী বলেন, ভাইরাসটি আক্রমণ করে চামড়ার ইপিডার্মিস স্তরে। এখানেই অপারেশন করা হয়েছে। এটি সেরে পুনরায় অপারেশনের উপযোগী হতে হবে। ডাইথার্মি নামক যন্ত্র দিয়ে তার আঙুল থেকে বৃক্ষের মতো বর্ধিত অংশ কেটে ফেলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এই অধ্যাপক বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা আবুলের পাশে দাঁড়ান। তার জন্য সহায়তা খুব জরুরি। তার মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তান আছে। তাদের ভবিষ্যৎ আছে।
বার্ন ইনস্টিটিটিউটের উপদেষ্টা ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আবুল ও তার পরিবারের জন্য সরকার আছে যতদিন তিনি সুস্থ্ না হন।
বর্তমানে আবুলকে রাখা হয়েছে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে। অপারেশন চলাকালে তিনি চিকিৎসদের সঙ্গে কথাও বলেছেন স্বাভাবিকভাবে।
অপারেশনে ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রত্যেকেই অংশ নেন।

পাঠকের মতামত: