চকরিয়ায় শেষ হয়েছে মাতামুহুরী নদীর বাঘগুজারা পয়েন্টে নির্মিতব্য মাটির তৈরী একটি অস্থায়ী ক্রসবাঁধ নির্মাণ কাজ। রোববার থেকে শুরু হবে নতুন অপর একটি ক্রসবাঁধ নির্মাণ কাজ। নদীর এই পয়েন্টে টানা ১৬দিন পর মাটির তৈরী ক্রসবাঁধটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ার মাধ্যমে সেচ সুবিধা নিতে পারায় স্থানীয় হাজারো কৃষকের মাঝে আশা জাগিয়েছে। এতে করে চলতি মৌসুমে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার প্রায় ৬০ হাজার একর জমিতে বোরো চাষবাদ নিশ্চিত হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মাতামুহুরী নদীর পয়েন্টে ২০০৯ সালে প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাঘগুজারা রাবার ড্যামের কয়েকটি জয়েন্ট গত ডিসেম্বর মাসে অস্বাভাবিক পানির চাপে খুলে যায়। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্থ রাবার ড্যামটি মেরামম ও কৃষকের সেচ সুবিধা নিশ্চিতের উদ্যোগ নেয় কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদীর দুই অংশে মাটির তৈরী দুটি অস্থায়ী ক্রঁসবাধ নির্মাণের কাজের উদ্বোধন করেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।
কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার ও বিএমচর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বদিউল আলম এবং কোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সার্বিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে অবশেষে শনিবার বিকালে শেষ হয়েছে মাতামুহুরী নদীর বাঘগুজারা পয়েন্টে নির্মিতব্য মাটির তৈরী একটি অস্থায়ী ক্রসবাঁধের নির্মাণ কাজ। রোববার থেকে শুরু হবে নতুন অপর একটি ক্রসবাঁধ নির্মাণ কাজ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের চকরিয়া উপজেলা শাখা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার কৃষকের বোরো চাষের সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং ক্ষতিগ্রস্থ রাবার ড্যামটি মেরামতের জন্য পানি বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় নদীর দুই অংশে মাটির তৈরী অস্থায়ী দুটি ক্রঁসবাধ নির্মাণ করা হচ্ছে। যাতে ড্যাম এলাকার পানি শুকিয়ে মেরামত কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। পাশাপাশি দুই উপজেলার কৃষকরা নদীর মিঠাপানির সেচ সুবিধা নিতে পারে। #
পাঠকের মতামত: