ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪০ শতক জমি অবৈধ দখলমুক্ত

‍ুুুুইমাম খাইর, কক্সবাজার ::

কক্সবাজার কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্টে দীর্ঘ দিন অবৈধ দখলে থাকা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪০ শতক জায়গা মুক্ত করেছে প্রশাসন। এ সময় ২০ টি অবৈধ ঝুঁপড়ি ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে।

২৯ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত কক্সবাজার সদর (ভূমি) কমিশনার মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে এই অভিযান চলে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ শহিদুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক শরিফুল ইসলাম, ৩৩ আনসার ব্যাটালিয়ানের কমান্ডার মুফিজুর রহমান ও সদর থানার এসআই রাজীব কান্তি নাথ।

কক্সবাজার সদর (ভূমি) কমিশনার মাজহারুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্টে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪০ শতক জমি দখল করে ঝুঁপড়ি ঘর নির্মাণ করেছে অনেকেই। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে নির্মাণ করা প্রায় ২০ টি ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। আর আগে সৈকত পাড়া এলাকায় সরকারি পাহাড় কেটে নির্মাণ করা ১০ টি বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়।

পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম জানান, উচ্ছেদকৃত ঘরের টিন ও বাঁশের ঘুটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। জব্দ করা হয়েছে বৈদ্যুতিক তারও। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। এমনকি চার অভিযোগে শতাধিক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা তদন্ত রয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

আর আগে কলাতলী সৈকতপাড়া এলাকায় সরকারি পাহাড় কেটে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে আরও ১০ টি ঝুঁকিপূর্ণ ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদকৃত ঘরের বাঁশের খুঁটি ও টিন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

এদিকে কলাতলী ছাড়াও, শহরের ঘোনার পাড়া, বৈদ্যঘোনা, পাহাড়তলী, লাইট হাউজ, হালিমা পাড়া, বাস টার্মিনালস্থ লারপাড়া, ডিককুল, সদর উপজেলা পরিষদের পিছনে, বিজিবি ক্যাম্পের পশ্চিম পাশে ও সাহিত্যিকা পল্লী এলাকায় চলছে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ। এসব স্থানে প্রশাসন বেশ কয়েকবার উচ্ছেদ অভিযান করলও থেমে নেই পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী পরিবেশবাদীদের।

পাঠকের মতামত: