ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার বিমান বন্দর নিরাপত্তা ঝুঁকিতে

coxs logoশাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ॥

কক্সবাজার বিমান বন্দরে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নাজুক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সিভিল এভিয়েশন নিরাপত্তাকর্মী ও আনসার সদস্যদের সীমাহীন দূর্নীতি এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। ফলে কক্সবাজার বিমান বন্দরের নিরাপত্তাকে সার্বিক দুর্র্বল ও হুমকির সম্মুখীন করে তুলেছে। এছাড়াও কয়েকটি এয়ারলাইন্স এর বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ এম্বারকেশন ফি ও রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিরাপত্তা হুমকি ও অনিয়ম দূর্ণীতির ব্যাপারে একটি গোয়েন্দা সংস্থা চার পৃষ্টার গোপন প্রতিবেদনে সুনির্দষ্ট ভাবে নয়টি বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অবহিতও করেছেন বলে নির্ভরয়োগ্য সুত্রে জানা গেছে।

কক্সবাজার বিমান বন্দর সদরস্থ বাহারছড়া এলাকায় অবস্থিত। এটিকে আর্ন্তজাতিক মানে উন্নিত করণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ কাজ সম্পন্নও হয়েছে। এ বিমান বন্দরে ৪টি এয়ারলাইস দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৭/৮’শ জন যাত্রী কক্সবাজার থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসা যাওয়া করেন। বিমান বন্দরটি পর্যটন এলাকায় হওয়ায় এর গুরুত্ব দিনদিন প্রসারিত হচ্ছে।

বিমান বন্দরের সীমানা প্রাচীরে দুরাবস্থা বিরাজ করছে। ১৩,১৯৫ ফুট সীমানা প্রাচীরের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার ফুট সীমানা এলাকা পিএসপি/ টিনের বেড়া দিয়ে বেষ্টিত। অন্যান্য স্থানের পিএসপি ফেন্সিং অবস্থা খুবই নাজুক। দুর্বল ফেন্সিং অতিক্রম কওে এবং সীমানা প্রাচীরের বিভিন্ন অরক্ষিত স্থান দিয়ে আশপাশের লোকজন সহজেই যাতায়ত করছে। বর্তমানে বিমান বন্দরের রানওয়ে ১৭ এর পূর্ব দিকে এবং রানওয়ের ৩৫ এর পূর্ব পাশে রানওয়ে সম্প্রসারণের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান থাকায় সীমানা প্রাচীরের মুল কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি।

বিমান বন্দরে কর্মরত আনসার সদস্যরা বিভিন্ন ভাবে দায়িত্ব অবহেলা ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। গাড়ি পাকিং থেকে টাকা আদায়, আগমনি গেইটে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের মতো ঘটনা এখানের সংগঠিত হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে অনত্র বদলি করা হয়েছে প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) সামশু উদ্দিনকে। এর আগে একই অভিযোগে বদলি করা হয়েছিল আনসার রূপম মহাজন ও বেলাল হোসেনকে।

এব্যাপারে কক্সবাজার বিমান বন্দর ব্যবস্থাপক সাধন কুমার মহন্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় সার্বক্ষনিক নিয়োজিত রয়েছে আনসার সদস্যরা। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ চলছে।

পাঠকের মতামত: