সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার ) প্রতিনিধি ::
কক্সবাজার সদরের বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁও বাজারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকা হিসাবে পরিচিত জাগির পাড়া সড়কের রাস্তার মাথাস্থ টিএন্ডটি পুকুর যেন ময়লা আবর্জনার নির্ধারিত খোলা ডাস্টবিন হিসাবে পরিণত হয়েছে। এতে ঐ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী ও মুসল্লীরা দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। ফলে একদিকে হচ্ছে পরিবেশ দূষণ, অপরদিকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ ও মুসল্লীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গোটা ঈদগাঁও বাজারের ময়লা আবর্জনা রাতের আঁধারে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল বায়তুশ শরফ রাস্তার মাথাস্থ টিএন্ডটি অফিসের পুকুরে স্তুপ করে রাখে। এক পর্যায়ে এর ময়লা আবর্জনা বিশাল দুর্গন্ধযুক্ত স্তুপে পরিণত হলে ঐ সড়ক দিয়ে দৈনিক ৫/৬ সহস্রাধিক যাতায়াতকারী সাধারণ জনগণ ও মুসল্লীদের চরম দুর্গন্ধ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে চলে যায়। এছাড়া রাতের অন্ধকারে বাজারে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ঐ টিএন্ডটি পুকুরকে প্রস্রাব ও মল ত্যাগের নির্দিষ্ট স্থান হিসাবে বেঁচে নিয়েছে। বাণিজ্যিক রাজধানী নামে খ্যাত ঈদগাঁও বাজারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকা হিসাবে পরিচিত জাগির পাড়া ইতোমধ্যে স্থান করে নিলেও ঐ টিএন্ডটি অফিসের পুকুরের খোলা ডাস্টবিনের দুর্গন্ধযুক্ত স্তুপের ঐ এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী জনসাধারণ ও মুসল্লীরা ঐ এলাকা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বৃহত্তর ঈদগাঁওবাসীর একমাত্র টিএন্ডটি অফিসটি ঐ স্থানে থাকলে সরকারের কোন ধরণের কর্মকর্তার সুদৃষ্টি না থাকায় টিএন্ডটি অফিসের পুকুরের এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাতের অন্ধকারে এক শ্রেণীর বাজার ইজারাদার পুরো ঈদগাঁও বাজারের যত্রতত্র- ময়লা আবর্জনাগুলো ঠেলাগাড়ি যোগে ঐ টিএন্ডটি পুকুরে এনে ফেলে দেয়। এতে করে বাজারে আসা লোকজনদেরকে দুর্গন্ধ পোহাতে হচ্ছে। অথচ এ বাণিজ্যিক এলাকা থেকে সরকারের কোষাগারে বিশাল অঙ্কের রাজস্ব হিসাবে জমা হলেও এ গুরুত্বপূর্ণ পুকুরের প্রতি কারো সুদৃষ্টি না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ জনগণকে পোহাতে হচ্চে চরম দুর্ভোগ। এদিকে ঈদগাঁও বাজারে পরিচালনা কমিটি থাকলেও নাই বললেও চলে। বাজার পরিচালনা কমিটি শুধু নামমাত্র। অথচ বাজার কমিটির নির্বাচন আসলেই বাজার উন্নয়ন করা, ময়লা আবর্জনাযুক্ত ও আধুনিক বাজারে রূপান্তরিত করার ঘোষণা দিলেও তা মূলতঃ ভোটারদের আকৃষ্ট করা ছাড়া আর কিছু নয়। নির্বাচন শেষে টয়লেট পেপার হয়ে যায়। দুশ্চরিত্র লোক অবৈধ পন্থায় অবৈধ টাকা দিয়ে ভোট কিনে নেতারা সভাপতি-সেক্রেটারী হলে উক্ত টাকা সুদাসলে উসুল করে অথচ বাজার উন্নয়নে কোন কাজেই হাত দেয়নি। এ ব্যাপারে বাজার ইজারার নামের ব্যক্তির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও মোবাইল বন্ধ থাকার কারণে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। ঐ টিএন্ডটি পুকুর এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী জনসাধারণ ও সচেতন মহল দুর্গন্ধমুক্ত যাতায়াত করতে এবং ময়লা আবর্জনা সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পাঠকের মতামত: