ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দেশে প্রথম দুর্যোগ এড়ানোর জন্য সেন্সর গভেষনা কেন্দ্র স্থাপন হচ্ছে বাঁকখালী নদীর তীরে

রেরররনিজস্ব প্রতিবেদক ::

সেন্সর ও প্রযুক্তি দিয়ে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর তীরে স্থাপন হচ্ছে সেন্সর গভেষনা কেন্দ্র। এ গভেষনা কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষে সুইডেনের একটি গভেষনা দল পরিদর্শনে এসেছে। সুইডেন ভিক্তিক এ পাইলট প্রকল্পের যোগাযোগ প্রযুক্তি সহায়তা করবে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যদ্বাণী এবং বন্যা দ্বারা সৃষ্ট বিপর্যয় রোধ করার জন্য বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরের গাঙ্গেয়বদ্বীপের অবস্থিত উজান থেকে অনেক নদী দেশ বঙ্গোপসাগরে বিভক্তি মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। বাংলাদেশের ৮০% প্লাবনভূমি এবং একটি ব্যাপক সমুদ্র তটরেখা আছে এই বাংলাদেশ বন্যা সেখান থেকে প্রবণ করে তোলে। এই বন্যায় বাংলাদেশে প্রতি বছর ৫০০০ জনেরও বেশি লোক নিহত এবং অধিক সাত লক্ষ ঘরবাড়ী ধ্বংস হয়ে যায়। তাই এর ঝুঁকি, বন্যা ও সেন্সর নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষে কক্সবাজারে দেশের প্রথম সেন্সর গভেষনা কেন্দ্র স্থাপন হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ৩ মে সকাল ১১টায় কক্সবাজারের বাংলাবাজারস্থ বাঁকখালী নদীতে সরেজমিনে সুইডেনের প্রধান লুলিও ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. কার্ল এন্ডারসন ও বাংলাদেশ প্রধান প্রফেসর ড. শাহাদাত হোসেন নদী, বন্যার পুর্বাভাস (সেন্সর) ও প্রকল্প কার্যক্রম স্থান পরিদর্শন করেছেন।

বাঁকখালীর নদীর তীরে প্রকল্পের উদ্ভাবনীতে একটি উপন্যাস ইন্টিগ্রেটেড বিশ্বাস নীতিভিত্তিক (বিআরবি) বন্যা ঝুঁকি প্রাক্কলন ও অনিশ্চয়তা অধীনে বিশ্লেষণের জন্য সিস্টেম বিকাশ চালু, বিআরবি সিস্টেম একটি জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) এর মধ্যে এমবেডেড করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। একটি সংকর সিদ্ধান্ত সমর্থন সিস্টেম (বেনিফিট এজেন্সীর), জেনারেট ঠাহর করা এবং বিশ্লেষণ সম্ভাবনা, পরিণতি, ঝুঁকি ও বন্যার প্রতিক্রিয়া কৌশল বিকাশ করার একটি বেতার সেন্সর-নেটওয়ার্কিং পরিবেশ প্রযুক্তি গবেষকরা তথ্য সংগ্রহ, তথ্য বিতরণ, এবং মৌলিক ডাটা প্রসেসিং জন্য অনুমতি নিয়ে একটি দক্ষ ভিন্নধর্মী বেতার সেন্সর যোগাযোগ স্থাপত্য করার কাজ এগিয়ে চলছে। সিস্টেম সেন্সর এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির বিভিন্ন ধরনের একটি ভিন্নধর্মী বেতার সেন্সর-নেটওয়ার্কিং পরিবেশ গঠনের বিভিন্ন ধরনের গঠিত একটি বেতার সেন্সর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করে গভেষনাও প্রায় শেষ হয়েছে।

এই জন্য এ সেন্সর গভেষনা দল বিভিন্ন বেতার সেন্সর নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি অধ্যায়ন, ওভারহেড কর্মপরিধি, শক্তির দক্ষতা, সময়ানুবর্তিতা, বার্তা হিসাবে সুপরিচিত ছন্দোবিজ্ঞান নির্ণয় ও বাস্তব বিশ্বের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পাদন করতে সিমুলেশন বাইরে নিয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রধান চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, বেতার সেন্সর নেটওয়ার্ক দ্বারা বন্যা ঝুঁকি মূল্যায়ন জন্য প্রকল্পের নিয়ম-ভিত্তিক সিদ্ধান্ত সমর্থন সিস্টেম তিন বছর স্থায়ী হবে ও সুইডিস রিসার্চ কাউন্সিল দ্বারা অর্থ দিয়ে সাহায্য করবে এবং এটি সুইডিস গভেষনা কাউন্সিলের একটি প্রকল্প। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে এই সেন্সর স্থাপনে বিভিন্ন গভেষনা করে নেটওয়ার্কিং কাজ শেষ হয়েছে। কাজটি প্রায় ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বন্যা, ঝুঁকি ও পলিসি ঝুঁকি কমাতে বেশী অবদান রাখবে।

তিনি আরো বলেন, বেতার সেন্সরের কারনে উপকুলীয় এলাকার মানুষ সহজেই বন্যা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ জলোচ্ছাস থেকে বাঁচতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত পেয়ে যাবেন। এতে মানুষ ঝুঁকির আগেই নিরাপদ স্থানে বা বন্যা মোকাবেলা করতে পারবে এবং তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে এই সেন্সর মোবাইলে এ্যাপসের মাধ্যমে দেখতে ও নির্ণয় করতে পারবে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার বন্ধু উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মুনির উদ্দিন হাসান তালুকদার ও পরিব্যাপক পিএইচডি ছাত্র মোবাইল এবং পরিব্যাপক কম্পিউটিং, কম্পিউটার সায়েন্স ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড স্পেস প্রকৌশল অধিদপ্তর সুইডেনের রায়হান উল ইসলামসহ বিভিন্ন গভেষক উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: