গরমের হাওয়া লেগেছে জেলার নিত্যপণ্যের বাজারে। বাজারে মাছ ও সবজির দাম কমছে না। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম বেড়েছে আরেক দফা। বিক্রেতারা সবজির দাম বাড়ার পেছনে নানা অজুহাত দাঁড় করালেও কোনো কারণ দেখছেন না ক্রেতারা। অপরদিকে মাছের সংকট থাকার অজুহাতে আকাশছোয়া দাম হাকাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। মুদিপণ্যও অস্থিতিশীল রয়েছে।
গতকাল শহরের বড়বাজার, কানাইয়ার বাজার, বাহারছড়া বাজার ও কালুরদোকান ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামালের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। তবে দাম তো কমছেই না বরং উল্টো বেড়ে চলেছে। গ্রীষ্মকালীন বেশির ভাগ সবজি কেজিপ্রতি গড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দুয়েকটি সবজি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ টাকার নিচে।
বড়বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা ইসলাম মাহমুদ বলেন, বাজারে যে পরিমাণ মৌসুমি সবজির আমদানি তাতে দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকার বেশি হওয়ার কথা না। অথচ বাজারে বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার উপরে। তবে বিক্রেতা মনির জানান, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে তাদের সবজি কিনতে হয় বেশি দামে, তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। তাছাড়া খরায় সবজির ক্ষতি হওয়ায় দাম চড়া বলে ব্যাখ্যা দিলেন এই বিক্রেতা।
বাজারভেদে সবজির দাম ভিন্ন ভিন্ন দেখা গেছে। প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৪৫-৫০ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি কাঁকরোল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঢেড়স ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা, লাউ ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, শশা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৩৫ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ২৫ টাকা, দেশি রসুন ১০০ থেকে ১১০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৮০ টাকা, আলু ২০ টাকা, আদা ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুদি পণ্যের মধ্যে কেজি প্রতি দেশি মসুর ডাল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, ভারতীয় মোটা মসুর ডাল ১০০-১১০ টাকা, মুগ ডাল ১১০ টাকা, বুটের ডাল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মাসকলাই ৯০ টাকা, ছোলা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভোজ্য তেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮৫-৯০ টাকা, সুপার ৬৩-৬৫ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন প্রতিটি ৫ লিটারের রূপচাঁদা ৪৫৫ টাকা এবং তীর ৪৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে প্রতিকেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল ৩০০- ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ২০০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৬৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা, টেংরা ৪৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, এবং দেশি মাগুর ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে আকারভেদে প্রতি হালি ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে ৫ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে।
প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪২০-৪৩০ টাকা, খাসির মাংস ৬০০-৬৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪০-১৫০ টাকা, লেয়ার ১৬০-১৭০ টাকা এবং দেশি মুরগি আকারভেদে ২৮০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের লাল ডিম প্রতি হালি ৩২ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৪০ টাকা ও হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে।
পাঠকের মতামত: