ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

পেকুয়ায় প্রবাসির টাকা মেরে গা ঢাকা দিয়েছে জিটিসিএল এর সাব-কন্ট্রাকটার!

ovijog_1পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় জিটিসিএল এর সাব-কন্ট্রাকটার মো.রিপন ও মো.হাসেমের বিরুদ্ধে টাকা আতœসাতের অভিযোগ দিয়েছেন এক সৌদি প্রবাসি। পেকুয়ায় গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন কাজ চলমান রয়েছে। এ সুবাধে পেট্ট্রো বাংলার ঠিকাদারি প্রতিষ্টান জিটিসিএল এর সাব-কন্ট্রাকটার হিসেবে পেকুয়ায় গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন কাজ বাস্তবায়ন করছেন তারা দু’জন।

 এদিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পুর্ব গোঁয়াখালী এলাকার মৃত. সোলমানের ছেলে সৌদি প্রবাসি মুহাম্মদ হোসেন ওই দু’ সাব-ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তিন লাখ পঁয়ছট্ট্রি হাজার টাকা আতœসাতের অভিযোগ করেছেন। গতকাল বৃহষ্পতিবার (২৮এপ্রিল) প্রবাসি মো.হোসেন বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা রুজু করেন। ওই মামলায় বাদি ঢাকা মহনগরের বাসিন্দা মো.রিপন ও মো.হাসেমকে বিবাদি করেছেন।

 মামলাসুত্রে জানা গেছে বিবাদিগন গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপনে সাব-ঠিকাদার হিসেবে পেকুয়ায় এর বাস্তবায়ন কাজ পরিচালনা করছেন। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ছিরািিদয়া-মইয়াদিয়া-গোঁয়াখালী এলাকা হয়ে কাজ সম্প্রসারন হচ্ছে। এরমধ্যে রিপনের সাথে বাদির পরিচয় হয়। পরে প্রবাসির তাদের সাথে নিবীড় সম্পর্ক হয়। রিপন ঢাকা থেকে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে প্রবাসির বাড়িতে বেড়াতেও আসেন।

 কোটি কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন করছে রিপন। এ সুবাধে প্রবাসির কাছে তার আস্থাও বাড়ে। এদিকে রিপন হঠাৎ অর্থ সংকটে পড়ে। শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে রিপন প্রবাসির কাছ থেকে প্রথম ধাপে তিন লাখ টাকা নেন। পরে পৃথক সময়ে একই অযুহাত দেখিয়ে ছয় লাখ আশি হাজার টাকা ধার নেয়। অপরদিকে ঠিকাদার রিপন বিভিন্ন কিস্তিতে প্রবাসিকে চেক ও নগদে তিন লাখ পনের হাজার টাকা পরিশোধও করে।

 মামলায় বাদি জানিয়েছেন অবশিষ্ট টাকা পরিশোধের কথা বলে গত এক সপ্তাহ আগে তাকে মুঠোফোনে পেকুয়া ইসলামী ব্যাংক শাখার সামনে ডেকে আনে। এ সময় তাকে রিপন ও হাসেম একটি কক্ষে ঢুকিয়ে জিম্মি করে একটি নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে দ্রুত গাড়ি নিয়ে সটকে পড়ে। বর্তমানে ওই রিপন গা ঢাকা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়ার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ইউএনও মো.মারুফুর রশিদ খান প্রবাসির মামলার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন বিবাদি পক্ষকে সমন জারি করা হবে।

পাঠকের মতামত: