ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

প্রথম নারী হিসেবে টিকা নিলেন সাংসদ কানিজ ফাতেমা মোস্তাক

এম.এ আজিজ রাসেল :: মহামারী থেকে মুক্তির প্রত্যাশায় সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারেও করোনা ভাইরাসের টিকাদান শুরু হয়েছে। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টা মহাখালী স্বাস্থ্য ভবনে ভার্চুয়ালি টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রথম নারী হিসেবে টিকা নিয়েছেন সাংসদ কানিজ ফাতেমা মোস্তাক। এ যেন ভয়কে জয় করার আনন্দ। নারীসহ অন্যান্যদের অনুপ্রেরণা যোগাতেই তিনি টিকা নিয়েছেন বলে জানান সাংবাদিকদের।

প্রথম নারী হিসেবে টিকা নেওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করে সাংসদ কানিজ ফাতেমা মোস্তাক বলেন, করোনার ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। টিকা দিতে পেরে স্বস্তিবোধ করছি। আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি টিকা নেওয়ার জন্য। টিকা না দিলে নিজের ক্ষতি, দেশের ক্ষতি।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার লোক টিকাদানের নিবন্ধন করেছেন। তারমধ্যে সদর উপজেলার নিবন্ধন করেছেন ১১শ’ জন। প্রথমদিন ৯০ জনকে টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়। তবে যারা আসবেন সবাইকে টিকা দেয়া হবে।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, জেলায় ৯টি টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হলো-কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, রামু ক্যান্টনমেন্ট হাসপাতাল, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রথমদিন সদর, টেকনাফ, উখিয়া ও রামুতে এই কার্যক্রম চলছে। দ্বিতীয়দিন থেকে একযোগে সব কেন্দ্রে টিকাদান চলবে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে টিকাদানের ৮টি বুথ স্থাপন করা হয়। টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মী, রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকসহ একাধিক টিম কাজ করছে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া বলেন, এই টিকা অত্যন্ত নিরাপদ। নির্ভয়ে করোনা ভ্যাকসিন নেয়া যাবে। ভ্যাকসিন নেয়ার পর সামান্য জ¦র জ¦র ভাব দেখা দিতে পারে। এতে কোন পাশর্^প্রতিক্রিয়া হবে না।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া আরও বলেন, আপতত ৫৫ বছরের উর্ধ্বে ব্যক্তিদের টিকা দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ১৮ বছর থেকে সবাই টিকা দেয়া হবে। তবে গর্ভবতীরা টিকা দিতে পারবেন না। জ¦র, সর্দি, কাশি আক্রান্ত ব্যক্তিরাও টিকা নিতে পারবে। করোনায় আক্রান্ত বা প্লাজমা নিয়েছেন এমন ব্যক্তি ৯০ দিন পর টিকা নিতে পারবে। প্লাজমা দিয়েছেন ব্যক্তিরাও টিকা নিতে পারবেন।

 

পাঠকের মতামত: