ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

জেলায় তীব্র লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগে জনগণ

mail.google.comািাাএম.এ আজিজ রাসেল ::

তীব্র লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে জেলাবাসী। বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে ব্যাহত হচ্ছে শিল্প কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম। একই সাথে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা-বাড়িতে পানি সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে রান্নাবান্না ও গোসল সারতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সকাল থেকে রাত অবদি ৮ থেকে ৯ বার বিদ্যুৎ থাকছে। অপরদিকে বিদ্যুৎ সংকটে হ্যাচারী গুলো কোটি টাকার লোকসান গুনছে। এছাড়া বিদ্যুৎ অভাবে শিক্ষার্থীদের অবস্থা কাহিল। গরমের মাঝে লোডশেডিংয়ে পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটছে। পাশাপাশি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দৃশ্য আরো করুণ বলে জানান কর্মজীবিরা।

বিদ্যুৎ বিভাগ সুত্রে জানা যায়, জেলায় দৈনিক বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে ২৫ থেকে ৩০ মেগাওয়াট। তার বিপরীতে জাতীয় গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় মাত্র ১৫ মেগাওয়াট। এতে বিদ্যুতের ব্যাপক চাহিদা মেটানো সম্ভব না। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও লোডশেডিং করা হচ্ছে। তবে কোথাও অতিরিক্ত লোডশেডিং করা হয়না। শিফট অনুপাতে জায়গা ভেদে লোডশেডিং করা হচ্ছে। বেশিক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকলে মনে করতে হবে জাতীয়গ্রীডে কোন সমস্যা হয়েছে।

শহরের টেকপাড়ার ব্যবসায়ী মোজাহেরুল ইসলাম আনু জানান, এখন প্রচন্ড গরম পড়ছে । তার উপর সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ৮-১০ বার লোডশেডিং। যার মরার উপর খাড়ার ঘা। বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা সরওয়ার আলম জানান, জীবন নির্বাহের তাগিদে বাড়ির পাশে আমার ফ্যাক্স এর দোকান রয়েছে। এখন দিনে ৫/৬ বার লোডশেডিং হচ্ছে। এতে আমার দোকান বন্ধ হওয়ার পথে। হ্যাচারী ব্যবসায়ী রইস উদ্দিন জানান, লোডশেডিংয়ের কথা চিন্তা করে জেনের‌্যাটরের ব্যবস্থা করা হয়। তবে দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিংয়ের জন্য বেশি তেল লাগছে। যার জন্য অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে। অনেক সময় জেনেরেটরের তেল শেষ হয়ে গেলেও বিদ্যুতের খবর নেই। এতে উৎপাদনের চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। ইসলামপুর শিল্প এলাকার লবণ কারখানা ম্যানেজার আবদু সবুর জানান, এতো লোডশেডিং আর সহ্য করা যায়না। একবার বিদ্যুৎ গেলে দেখা মিলছে ২ থেকে ৩ ঘন্টা পর। তাও আবার কিছুক্ষণ পর চলে যায় বিদ্যুৎ। এতে কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম।

কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জাতীয় গ্রিড থেকে যেমন বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে তা সম ভাবে বণ্টন করা হয়। তবে সব জায়গায় একসাথে বিদ্যুৎ বিতরণ করা সম্ভব নয় ।

পাঠকের মতামত: