ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ার বদরখালী-মহেশখালী চ্যানেলে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::  চকরিয়ায় বদরখালী-বদরখালী নৌ চ্যানেলের বিভিন্ন স্থান থেকে স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাকের ডগায় হরদম চলছে বালি উত্তোলন। যার ফলে নদী গর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছে বেশ কয়েকটি বসতিপূর্ন গ্রাম ।  অবৈধভাবে বালি উত্তোলনে মানছে কোন নিয়মনীতি। ইচ্ছা মত বালি উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এতে সরকার পাচ্ছেনা এক কানাকড়িও রাজস্ব।

জানা গেছে,চকরিয়া উপজেলার বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ীর উত্তর পাশে সড়কের পশ্চিম নতুনঘোনা এলাকায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালি মহাল তৈরি করে তা বছর জুড়ে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকার রমরমা বানিজ্য চলছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় সচেতন মহল জানান-উপজেলার বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভূট্টো সিকদার ও কালু ড্রাইভারের নেতৃত্বে বালি দস্যুরা সাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করে থাকলেও উপজেলা প্রশাসন রহস্যজনক নীরব ভূমিকা পালন করছে।

আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে কোনোভাবেই সরব হতে পারছে পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও উপজেলা নদী রক্ষা কমিটি ও পরিবেশ অধিদপ্তর। এসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে দিন দিন। প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট বালি উত্তোলন করছে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাকর্মীরা। এ ভাবে বালি উত্তোলনের কারণে গ্রামীণ জনপথ, গুরুত্বপূর্ণ বেঁড়িবাঁধ, মহেশখালী-বদরখালী ব্রীজ, জনবসতীসহ হাজার কোটি টাকার সম্পদ মারাত্মক হুমকির মূখে পড়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, থানা, ফাঁড়ি পুলিশ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজার (পাউবো) বিভাগকে স্ব-স্ব এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত জনগন বহুবার মৌখিক ভাবে জানানোর পরও বালি উত্তোলন এখনো বন্ধ হয়নি।

অভিযোগ উঠেছে স্থানিয় গুটি কয়েক সংবাদকর্মীকে ম্যানেজ করায় এসব অবৈধ বালি মহলের বিরুদ্ধে তেমন সংবাদও প্রচার হয়নি। বালি উত্তোলনের কারণে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হলেও দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবৈধ বালি উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে ফ্রি স্টাইলে বালি উত্তোলনে সহায়তা করে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড এর স্লুইচগেট এর জায়গা দখল করে ও পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বালি উত্তোলন ও বালি মহাল বন্ধ করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপজেলা প্রশাসনকে তাগাদা দিয়েও  কোন প্রকারের প্রতিকার পাচ্ছেন না।

 

পাঠকের মতামত: