কক্সবাজার সদরে লবণ শিল্প নগরী নামে খ্যাত ইসলামপুর ইউনিয়নের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও বিরোধী দল বিএনপি তাদের একক চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্ধারণ করলেও অপর দল জামায়াত এখনো কৌশলী ভূমিকায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তফসিল ঘোষণা না হলেও বসে নেই সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। চষে বেড়াচ্ছে পাড়া মহল্লায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগে ভাগে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষের মনোনয়ন পান বর্তমান পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উদীয়মান আবুল কালাম মেম্বার। সেই থেকে তিনি দলের নেতা কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে নিজেকে বিরামহীনভাবে উপস্থাপন করে চলছেন। ইতিমধ্যে নিজ দলের পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অনেক উল্লেখযোগ্য নেতা কর্মীকেও তার সাথে মাঠে দেখা যাচ্ছে। এ স্বল্প সময়ে ইউনিয়ন জুড়ে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন এ নতুন মুখ। তাই আসন্ন নির্বাচনে অন্য সব প্রতিদ্বন্ধিদের সহজে ছাড় দেবেন না। অপরদিকে সাবেক চেয়ারম্যান মনজুর আলমও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন। সরকারী দলের পাশাপাশি ইউনিয়নে তার নিজস্ব একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। এছাড়া অতীতে তার উন্নয়ন কর্মকান্ডকে পূজি করে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মাঠ গরমে ব্যস্ত তিনিও। এক কথায় সেও শক্ত প্রতিদ্বন্ধি। বর্তমান চেয়ারম্যান মাস্টার আবদুল কাদের ও বসে নেই। বিগত পাঁচ বছরে তার হাত দিয়ে যে উন্নয়ন হয়েছে তা জনগণের সামনে তুলে ধরে জামায়াতের সমর্থনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য মাঠে কাজ করছে। শেষ পর্যন্ত জামায়াতের সমর্থন পেলে ইউনিয়নের আসন্ন নির্বাচন যে ত্রিমুখী যুদ্ধের উত্তাপ ছড়াবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে এক্ষেত্রে একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান অছিয়র রহমান যদি কোন প্রার্থীর পক্ষ নেয়, তবে তার জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে সচেতন ভোটারদের অভিমত। অন্যদিকে জামায়াত যদি দলীয় সমর্থনে কোন প্রার্থী না দেয়, তবে বিগত সংসদ, উপজেলা ও ইউপি নির্বাচনে জামায়াত শিবিরের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পাওয়া এ ইউনিয়নের শত শত জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মীকে যদি কোন প্রার্থী মাঠে নামাতে পারেন, তাহলে ঐ প্রার্থী জয়ের পাল্লা ভারি হতে পারে বলে সাধারণ ভোটারদের ধারণা। কারণ বিগত নির্বাচনে জামায়াতের এ শক্তি ব্যবহার করে বর্তমান চেয়ারম্যান মাস্টার আবদুল কাদের ৯ কেন্দ্রের সবটিতে বিপুল ভোটে জয়ী হয়। তাই এ পর্যন্ত জামায়াতের কৌশলী ভূমিকার কারণে বুঝা যাচ্ছে না তাদের সমর্থনে কোন প্রার্থী আদৌ হচ্ছে কিনা? তবে শেষ পর্যন্ত যদি কেউ প্রার্থী না হয় তাহলে সব প্রার্থীর টার্গেট থাকবে জামায়াতের ভোট ব্যাংক। সাধারণ ভোটারদের ধারণা উপজেলার সব চাইতে কঠিন ভোট যুদ্ধ হবে ইসলামপুরে। কারণ উল্লেখিত তিন প্রার্থীর মধ্যে অর্থ আর পেশি শক্তিতে কেউ কারো চাইতে পিছিয়ে নেই। গুরুত্বপূর্ণ এ ইউনিয়নের জনসাধারণ একটি জমজমাট ভোট যুদ্ধ দেখার প্রতীক্ষায়।
পাঠকের মতামত: