ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পর্যটন শহর কক্সবাজারের সড়কগুলো মৃত্যুকূপে পরিনত

কক্সবাজার প্রতিনিধি :: কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক, উপ-সড়ক ও পর্যটন এলাকার সড়কগুলো মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। ছোট-বড় পুকুর সাইজের গর্ত ছাড়া ১০ গজ রাস্তাও ভালো নেই কোথাও।

একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় শহরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতে। খুবই নাজুক অবস্থা পর্যটন এলাকাগুলোর। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

দীর্ঘদিন ধরে কোনো সড়ক সংস্কার কিংবা নালা-নর্দমা পরিষ্কার না করায় এই করুণ দশার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। সচেতন মহলের মতে, পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলা, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও সড়ক বিভাগের রশি টানাটানির কারণে সড়কের এই বেহাল অবস্থা। এতে যেমন পর্যটন শহরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন্ন হচ্ছে তেমনিই শহরবাসীর দুর্ভোগের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিশেষ করে প্রধান সড়ক ও পর্যটন এলাকার হোটেল-মোটেল জোনের একাধিক সড়কসহ পর্যটন এলাকার বেশ কয়েকটি সড়কের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। পৌর শহরের বৌদ্ধ মন্দির, গোলদীঘির পাড়, হাসপাতাল সড়ক, বড়বাজার, আইবিপি মাঠ, ভিআইপি সার্কিট হাউস, বার্মিজ মার্কেট, টেকপাড়া, মাছবাজার, কস্তুরাঘাট, আলীর জাহাল, রুমালিয়ারছড়া, নুনিয়ারছড়া, পাহাড়তলী ও বাহারছড়াসহ বিভিন্ন সড়কের অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ।

এসব সড়কে অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দ। কিছু কিছু সড়কের গর্তগুলোর অবস্থা এমন আকার ধারণ করেছে সেগুলোকে মিনি পুকুর বললেও ভুল হবে না।

এসব সড়ক দিয়ে দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে শুষ্ক মৌসুমে কোনো রকমে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে ওইসব এলাকায় কোনটি সড়ক কিংবা কোনটি ড্রেন তা বুঝে ওঠা দায়।

শুধু তাই নয়, কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে হলিডে মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন থেকে ৪ কিলোমিটার সড়কের অবস্থাও বেহাল। সংস্কার কিংবা উন্নয়নের নামে মাঝেমধ্যে লোক দেখানো কিছু কাজ করে গর্ত ভরাট করে পৌরসভা, কউক আর সড়ক বিভাগ। কিন্তু তাদের এসব কাজে কিছুদিন পরই সড়কের আবারও একই অবস্থা হয়।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, করোনা ও বর্ষার কারণে সড়কের কাজ করা হয়নি। তবে দ্রুত সময়ে কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

মেয়র বলেন, সড়ক সংস্কারের জন্য সম্প্রতি কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি মিটিংও হয়েছে।

সড়কের এই দুরবস্থার বিষয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, সড়ক নিয়ে জনগণ যে কষ্ট পাচ্ছে, তা আমি নিজেও অনুভব করছি। মন্ত্রণালয়ের কাজ শেষ হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে কক্সবাজারের প্রধান সড়কের কাজ শুরু হবে। সেজন্য তিনি সবার সহযোগিতাও কামনা করেন।

পাঠকের মতামত: