ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় স্কুলছাত্রী মুন্নির খোঁজ ৩ দিনেও মেলেনি

wwwwমুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :::

নিলুফা আক্তার (মুন্নি)। বয়স ১৪এর কাছাকাছি। গত ১৬ এপ্রিল সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। মুন্নি পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন সুতাচোরা গ্রামের নবী হোছাইনের কন্যা ও উজানটিয়া জুনিয়র হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর নিয়মিত ছাত্রী।

মুন্নির বড় ভাই হেফাজ উদ্দিন জানান, গত ১৬ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে তার বোন মুন্নি স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ী থেকে বের হন। ওই দিন যথাসময়ে বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পরও মুন্নি বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অপরাপর শিক্ষকদের অবহিত করে। এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তার বোন ওই দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিল বলে তাকে জানানো হয়। পরে গত তিন ধরে বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন ও বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়েও তার বোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান, তার বোন মুন্নি নিখোঁজের সময় পরনে ছিল স্কুলের ইউনিফরম সাদা কামিজ ও লাল রংয়ের পায়জামা। গায়ের রং ফর্সা ও উচ্চতা ৪ফুট ৮ইঞ্চির মতো হবে।

পেকুয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, উজানটিয়া জুনিয়র হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী নিখোঁজ নিলুফা আক্তার মুন্নি বড় ভাই হেফাজ উদ্দিন গতকাল ১৮ এপ্রিল রাতে পেকুয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন। যার জিডি নং ৬০৮, তাং ১৮/০৪/২০১৬ইং।

পেকুয়া থানার এএসআই মো. নাজির জিডির সত্যতা নিশ্চিক করে জানান, নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী মুন্নির বড় ভাইয়ের দায়েরকৃত জিডি তিনি তদন্ত করবেন।

এদিকে স্কুল ছাত্রী মুন্নি নিখোঁজের পর থেকে তার মা ও পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা মুন্নির চিন্তায় নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়েছেন। স্থানীয়রা আশংকা করছেন, কোন নারী শিশু পাচারকারী চক্র অথবা সংঘবদ্ধ অপহরণকারীর দল মুন্নিকে স্কুলে যাওয়ার পথে জোরপূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে গেছে। অপরদিকে স্কুল ছাত্রী মুন্নির কোন ধরনের খোঁজ পেলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের যে কোন নিকটস্থ থানা বা মুন্নির বড় ভাই হেফাজ উদ্দিনের মোবাইল নং ০১৮৩১-৮১৯৯১৫ অথবা সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিনের মোবাইল নং ০১৮১৯-০১৯১০৪ নাম্বারে জানানোর জন্য সচেতন নাগরিকদের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

পাঠকের মতামত: