ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় জমি বিরোধের জের:

কৃষকের মরিচ ক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছে দখলবাজরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়ায় প্রায় ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে রোপন করা এক কৃষকের মরিচ ক্ষেত উপড়ে ফেলে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। চকরিয়া প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক অভিযোগ করে বলেন, এতে ওই কৃষকের প্রায় ৭০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ২টার সময় বিএমচরের উত্তর বহদ্দ্রকাটা গ্রামের মো: আলমগীরের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মো: আলমগীর বলেন, আমার বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে গত ২৪মার্চ/২০১৪ সালে (সাত বছর আগে) তিনশত টাকার ষ্ট্যাম্প মুলে বিএমচর মৌজার ৫৭৬ নং খতিয়ানের ১৩৮৫ দাগের ৪০শতক, পাশ্চবর্তী দাগের ১১শতক ও বসতভিটির ৩৯শতকসহ মোট ৯০শতক জমি ক্রয় করে ভোগদখলে থাকিয়া ৩৯শতক জমিতে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস এবং ৫১শতক জমিতে চাষাবাদ করে আসছি। পরবর্তীতে আমাকে জমি গুলো রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার জন্য বললে জমি রেজিষ্ট্রি না বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে আমাকে ও আমার পরিবারকে হয়রানী করে আসছে। জাহাঙ্গীর আলম গং ওই জমি রেজিষ্ট্রি করে না দেওয়ার ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিক বৈঠক করে সমাধানও করা হয়েছে। কিন্তু দাতা: জাহাঙ্গীর আলম তা অমান্য করায় গ্রহীতা পরবর্তীতে গ্রাম আদালতে বিচার দেয়। গ্রাম আদালতও গ্রহীতা মো: আলমগীরের পক্ষে রায় প্রদান করে।
এরপর আত্বীয়-স্বজনরাও মিলে শালিশ বৈঠকে মিলিত হয়ে গ্রহীতা আলমগীরকে জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করে।

কিন্তু সহোদর জাহাঙ্গীর আলম গং এসব রায়কে অমান্য করায় নিরুপায় হয়ে তার আপন ভাইকে আসামী করে জমি উদ্ধারের জন্যে চকরিয়ায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সিআর মামলা নং ৫১১/২০২০ দায়ের করে আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। আগামী ০৫/১১/২০২০ ইং তারিখে মামলার ধার্য্য দিনও রয়েছে। ওই মামলার আসামী জাহাঙ্গীর আলম গং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জমি রেজিষ্ট্রি না দিয়ে সমোদয় টাকা আত্বসাতের অপরাধ থেকে রেহাই পাবেনা বুঝতে পেরে রাতের অন্ধকারে মরিচ ক্ষেত নষ্ট করে জমি দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
ওই প্রতারণার অংশ হিসেবে গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মো: জাহাঙ্গীর আলমে নেতৃত্বে আরো ১০/১২ জনের মতো দুষ্কৃতকারীরা মরিচ ক্ষেতে হামলা করে মরিচ গাছ নিধনযজ্ঞ চালায়। এতে সহোদর কৃষকের প্রায় ৭০হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে। এরপরও দখলবাজরা ওই জমি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ফলে বাদ্য হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক মো: আলমগীর বাদী হয়ে এসব দখলবাজদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানা ও আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: