ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়া বাজারের পূর্ব পার্শ্বে বন বিভাগের অনুমতিবিহীন ফিশিং ট্রলার নির্মাণ চলছে!

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::
পেকুয়া উপজেলার অন্যতম বানিজ্যিক কেন্দ্র পেকুয়া বাজারের পূর্ব পার্শ্বে প্রশাসনের নাকের ঢগায় বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া ফিশিং ট্রলার তৈরী করছে দুই কাঠ ব্যবসায়ী। চকরিয়া ও লামা বন বিভাগের সংরক্ষিত বাগানের মাদার ট্রি গর্জন গাছ রাতের অাধাঁরে পেকুয়া বাজারে এনে বাজারের অবৈধ স’মিলে চিরাই করে ওই দুইটি ফিশিং বোট তৈরির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগের স্থানীয় এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পেকুয়া বাজারের ওই দুই ব্যবসায়ীকে ফিশিংবোট তৈরী করার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করছে।

এ ব্যাপারে উপকূলীয় বন বিভাগের চনুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা জুয়েল চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় সংবাদের সাথে বক্তব্য সংযোজন করা সম্ভব হয়নি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পেকুয়া বাজারের পূর্ব পাশে মাদার ট্রি গর্জনসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ দিয়ে পেকুয়া বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফরিদ ও সদস্য ফোরকান বন বিভাগের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই অবৈধভাবে ফিশিং বোট তৈরী করে যাচ্ছে।

অবৈধভাবে ফিশিং বোট তৈরী প্রসঙ্গে পেকুয়া বাজারের কাঠ ব্যবনায়ী সমিতির সভাপতি ফরিদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া ফিশিং বোট তৈরী করার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।

উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, পেকুয়া বাজারে অবৈধভাবে তৈরী ওই দুইটি ফিশিং বোট জব্দ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: