রামু প্রতিনিধি ::
রামু উপজেলার উখিয়ারঘোনা গ্রামে স্বত্ত্বদখলীয় জমি জবর-দখলে মরিয়া হয়ে দূর্ধর্ষ ভূমিগ্রাসী চক্র। কক্সবাজার শহরের হাসপাতাল রোড এলাকার বিভিন্ন মামলা আসামী আল মামুন ছিদ্দিকী বাহাদুরের নেতৃত্বে এ চক্রটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ওই এলাকায় গিয়ে নিরীহ লোকজনের জমিতে স্থাপনা ভাংচুর করে জমি জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সন্ত্রাসীদের হামলা-মামলার ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়েছেন ১৪ জন জমির মালিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। হয়রানির শিকার জমির মালিকরা হলেন, মৃত হাজ¦ী গোলাম বারীর ছেলে রফিকুল ইসলাম, আমানত উল্লাহ, মেয়ে হালিমা আকতার, ছালেহা বেগম ও আরেফা বেগম, মৃত হাজ¦ী আবদুস ছোবাহানের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হোসেন, নুরুল হক, নুরুল ইসলাম, আমির হোছন, মরহুম মোজাহের আহমদের ছেলে এমতাজুল হক, হারুন অর রশিদ, আহমদ রশিদ, মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে ছিদ্দিক আহমদ ও নজির আহমদ।
জমির উল্লেখিত মালিকরা জানান, হাজ¦ী গোলাম বারীর ২ দশমিক ৯৮ একর জমি তারা ওয়ারিশ ও খরিদসূত্রে বিগত ৫০ বছর ভোগ দখল করে আসছেন। তাঁরা এ জমিতে চাষাবাদ, গভীর নলকূপ স্থাপন সহ বসত ঘর নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছিলেন।
ইতিপূর্বে বিএস জরিপে ভুলবশত এসব জমি হাফেজ ছিদ্দিক আহমদের নামে রেকর্ড ভুক্ত হয়। যা নিয়ে জমির মালিকরা কক্সবাজার বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা জজ আদালতে (২য়) বিএস রেকর্ড সংশোধনের লক্ষ্যে মামলা (অপর ৪০/২০২০) করেন। কিন্তু ভুলক্রমে বিএস রেকর্ড হওয়ার সূত্র ধরে হাফেজ ছিদ্দিক আহমদের ছেলে আল মামুন ছিদ্দিকী জমিটি জবর দখলের চেষ্টা শুরু করে। জমির মালিকরা গোলাম বারীর পক্ষে দলিলাদি উপস্থাপন করলেও আল মামুন ছিদ্দিকী তাদের কথার তোয়াক্কা না করে জমিটি জবর দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। উল্লেখিত মামলায় বিগত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিবাদী বেগম জাহান ছিদ্দিকী গংকে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রচার করা হইবে না, তৎমর্মে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
চলতি বর্ষা মৌসুমের পূর্বে আল মামুন ছিদ্দিকী জমির মালিক ও বর্গা চাষিদের হুমকী-ধমকি দিয়ে এ জমিটি জবর-দখল ও জমি কেটে মাটি উত্তোলনের চেষ্টা চালায়। ওই সময় জমির মালিকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রামু থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে ডেকে কাগজপত্র বিবেচনায় বিরোধী জমিতে না যাওয়ার জন্য আল মামুন ছিদ্দিকী ও তার সহযোগিদের নির্দেশ দেন।
জমির মালিক রফিকুল ইসলাম ও আমানত উল্লাহ জানিয়েছেন-১৯৭০ সালের ২২ জুলাই হাফেজ আহমদ নামের এক ব্যক্তি ২ দশমিক ৯৮ একর জমি নিলাম খরিদ করেন। নিলাম খরিদের অর্থ দেন হাজ¦ী গোলাম বারী। একারণে ওই বছরের ১০ নভেম্বর হাফেজ আহমদ এ জমি ৬৩৭০ নং মুক্তিনামামূলে মৃত মোহাম্মদ ইসমাইলের ছেলে হাজ¦ী গোলাম বারীকে প্রদান করেন।
গোলাম বারীর মৃত্যুর পর থেকে স্ত্রী মেহেরজান, ছেলে নুরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আমানত উল্লাহ, ছালামত উল্লাহ, মেয়ে হালিমা বেগম, ছালেহা বেগম ও আরেফা বেগম এ জমি প্রাপ্ত হয়ে ভোগ দখলে ছিলেন। পরে এদের মধ্যে মেহের জান, নুরুল ইসলাম ও রফিকুল, মেয়ে আরেফা বেগম তাদের প্রাপ্য অংশ থেকে বিভিন্ন লোকজনকে বিক্রি করেন। এ নিয়ে ইতিপূর্বে কখনো কারো সাথে দ্বন্ধ দেখা দেয়নি।
জমির মালিকরা জানান-বর্তমানে কোন স্বত্ব না থাকার পরও আল মামুন ছিদ্দিকী এবং তার সহযোগিরা তাদের জমিতে চাষাবাদে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। এছাড়া জবর-দখলে বাধা দেয়ায় জমির মালিক ও কৃষকদের নামে মিথ্যা অপপ্রচার, মারধর-প্রাণনাশের হুমকী এবং মামলায় জড়িয়ে হয়রানির চেষ্টা চালাচ্ছে। এ জমিতে আল মামুন ছিদ্দিকীর কোন স্থাপনা কখনো ছিলো না, এখনো নেই। নিরীহ লোকজনকে চাষাবাদে বাধা ও মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে হুমকি দেয়ার ঘটনায় শিবির ক্যাডার আল মামুন ছিদ্দিকীর বিরুদ্ধে জনমনে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
রামু থানার ওসি মো. আবুল খায়ের জানিয়েছেন, যেহেতু জমি নিয়ে মামলা চলছে। তাই বিষয়টি প্রশাসনিক। প্রশাসনিক ভাবে অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রকাশ:
২০২০-০৯-১৭ ১৫:৩২:৪০
আপডেট:২০২০-০৯-১৭ ১৫:৩২:৪০
- চকরিয়াতে দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নামসর্বস্ব অবৈধ হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের নজরদারী নাই
- লামা বনবিভাগের মানিকপুর রিজার্ভে পাহাড়কাটার ধুম: নিরব প্রশাসন
- চকরিয়ায় বাড়ির পাশে ট্রেন দেখতে গিয়ে কাটাপড়ে কিশোরী মাদারাসা ছাত্রীর মৃত্যু
- চকরিয়ায় ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে দলছুট বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
- চিরিংগা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মাহবুবুল হকের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের মানববন
- চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ জেলের মরদেহ ১৯ ঘন্টা পর উদ্ধার
- চকরিয়ায় সাড়ে ৫ কেজি গাঁজাসহ পেশাদার মাদক কারবারি গ্রেফতার
- পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়াসহ পালাল আসামি
- রামুতে ৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
- চকরিয়া ৩৪ বছরের চলাচলের রাস্তা দখলমুক্ত করলেন ইউএনও, খুশি এলাকাবাসী
- চকরিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তে পুড়ে ছাই ৫ বসতঘর, ৪০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন
পাঠকের মতামত: