ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

বন বিভাগের জায়গা দখল করে প্রভাবশালী মহলের স্কুলের নামে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ

sssssশাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :::

কক্সবাজার সদরে ঈদগাঁওতে বনবিভাগের ৩০ লক্ষাধিক টাকার জায়গা দখল করে স্কুলের নামে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও ফরিদ আহমদ কলেজের পূর্ব পার্শ্বে মেহেরঘোনা রেঞ্জের আওতাধীন রিজার্ভ জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখে অন্য একটি প্রভাবশালী মহলকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত মহলটি কয়েকদিন ধরে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। বিট কর্মকর্তাদের দৃশ্যমান কোন উচ্ছেদ অভিযান ও ঘটনাস্থলেও যায়নি। জনসম্মুখে এ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে দেখে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদগাঁও ভাদিতলা এলাকার জনৈক প্রভাবশালী বদিউল আলম ও আবু ছিদ্দিক নামে ২ ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে জায়গাটি টিন দিয়ে ভাড়াটিয়া ঘর হিসাবে ঘেরাও করে রাখছিল। সরকারী রিজার্ভ জায়গা হওয়ায় তারা দীর্ঘদিন কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে না পেরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যানার টাঙিয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, তাদের পক্ষ হয়ে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি উপস্থিত থেকে ২০/৩০ জনের শ্রমিক নির্মাণ কাজ করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানায়, সরকারী এ জায়গাটি দখল হওয়ায় বিপুল অংকের ভূ-সম্পত্তি হারাচ্ছে। তারা অবৈধ স্থাপনাটি উচ্ছেদ করার দাবী জানান। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবু ছিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংশ্লিষ্টদের অনুমতি নিয়ে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছেন বলে জানান। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা জানান, যতবড় ক্ষমতাশীল ব্যক্তি হোক, সরকারী কোন ভূমি দখল পূর্বক স্থাপনা নির্মাণ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরদিকে মেহেরঘোনা বিট কর্মকর্তা আতাউল এলাহী জানান, খোঁজ খবর নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।

————————————————–

ঈদগাঁওতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর ::

১লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন ঈদগাঁও পালপাড়া শ্রী শ্রী গীতা বিদ্যাপিঠের ২য় বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে বর্ষবরণ, ধর্মীয় আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ১৪ এপ্রিল পাল পাড়াস্থ স্কুল মাঠে ভোর ৫টায় নগর কীর্তন, ৭ টায় চন্ডীপাঠ, ৯টায় সমবেত প্রার্থনা, ১১টায় ধর্মীয় আলোচনা, ১টায় মহাপ্রসাদ বিতরণ ও দুপুর ২টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুপন পালের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার পরিতোষ পালের সঞ্চালনায় ধর্মীয় আলোচনা ধর্মীয় আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম লোহাগাড়ার চরম্বা অধিপতি শ্রী শ্রী কৃষ্ণানন্দ গোস্বামী। এ সময় ডাক্তর রূপস পাল, স্থনীয় যুবক মিল্টন পাল,বাবুল পালসহ এলাকার বিপুল সংখ্যক শুভানুধ্যায়ী উপস্থিত ছিলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা নৃত্য,গান,কৌতুক পরিবেশন করে। এ অনুষ্ঠানে শিক্ষাও সামাজকিতায় অমূল্য রতন পাল, সামাজিকতায় প্রদোষ পাল মুন্না, সাবেক এমইউপি রাখাল পাল, শ্রীমতি এলি পাল, অর্চনা পাল, শ্রীমতি কাজল রাণী পাল, শ্রীমতি মিনতি বিশ্বাস এমইউপি, প্রিয়রঞ্জন পাল এমইউপি, অনাথ বন্দু পালকে সম্মাননা দেয়া হয়।

————————————————–

ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে, ঈদগাঁওতে বসতবাড়ীতে ডাকাতি, আহত-৩

শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :::

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে বসতবাড়ীতে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এসময় ডাকাতের উপর্যুপরী হামলায় গৃহস্থের ২ পুত্রসহ আহত হয়েছে ৩ জন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। সংঘটিত ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ১৫ এপ্রিল রাত ২টার দিকে বর্ণিত ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাদিতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ঐদিন স্থানীয় মৃত হাজী ইসমাইলের পুত্র নুরুল কবির বান্ডুর বসতবাড়ীতে দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে নগদ ২ লক্ষ টাকা ও ৪/৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে যায়। বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে নুরুল কবির বান্ডুর পুত্র রিদুয়ানুল কবির, সালমান কবির ও তার ভাগিনা আবদুর রশিদের পুত্র সরওয়ারকে কিরিচ ও বন্দুক দিয়ে উপর্যুপরী হামলা করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে ৪/৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে নিরাপদ স্থানে চলে যায় ডাকাতদল। গৃহস্থ নুরুল কবির বান্ডু জানায়, ঘটনার দিন ১০/১২ জনের মুখোশ পরিহিত ডাকাতদল তার বাসায় হানা দিয়ে নগদ টাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে যায়। এসময় তাদেরকে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুত্রদের উপর উপর্যুপরী হামলা করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের ঈদগাঁওস্থ একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জাহাঙ্গীর আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডাকাতদের আটকের চেষ্টা চালায়। এসআই জাহাঙ্গীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডাকাতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায়।

পাঠকের মতামত: