ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় চাঞ্চল্যকর ‘হোসাইন’ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হয়নি,পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ

aaaaপেকুয়া প্রতিনিধি ::

পেকুয়ায় সিএনজি চালক মো.হোসাইন (১৭) এর চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের রহস্য এখনো উদঘাটন হয়নি। হত্যাকান্ডের ঘটনার ১৬দিন অতিবাহিত হয়েছে। অথচ পুলিশ এ পর্যন্ত ঘটনার কোন ধরনের ক্লু উদঘাটন করতে সক্ষম হননি। তবে ঘটনার পরপরই পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে আব্দু রহমান নামের এক যুবককে আটক করে। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের জালিয়ারচাং এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। নিহত মো.হোসাইন এর পরিবার অভিযোগ করেছেন ছেলে দুর্বৃত্তের হাতে নিষ্টুরভাবে খুন হওয়ার পর থেকে পুলিশ অতৎপর রয়েছেন। মামলার অগ্রগতি ও তদন্ত চলছে স্লো-গতিতে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পেকুয়া থানার এসআই সুমন নিহত মো.হোসাইনের পরিবারকে কোন ধরনের সহযোগিতা না করছে।

 এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন চাঞ্চল্যকর ওই হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর আতাউল্লাহ ও রুবেল নামের দু’যুবক আতœগোপন হয়েছে। এদের মধ্যে রুবেলের বাড়ি একই ইউনিয়নের মৌলভী হাসানের জুম কেরনছড়ি মগকাটা এলাকয়। অপর যুবক আতাউল্লাহ’র বাড়িও একই এলাকায়।

 নিহত মো.হোসাইনের মা হামিদা বেগম জানিয়েছেন গত ২৬মার্চ রাতের যেকোন সময়ে তার ছেলে মো.হোসাইনকে দুর্বৃত্তরা গলাকেটে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে তার লাশ জালিয়ারচাং টেইট্যাখালী বিলের ধান ক্ষেতে ফেলে দেয়। আমার ছেলেকে হাত-পা রশি দিয়ে বেধে গলার পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে। ঘটনার দিন আব্দু রহমান, রুবেল, আতাউল্লাহসহ ৫জনকে স্থানীয় মাহমদ মাঝিসহ লোকজন প্রায় ১টার দিকে ঘটনার দিন রাতে কাছারীমুড়া দেখতে পান।

 একই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক কি.মিটার দক্ষিনে জালিয়ারচাং বড়পাড়া এলাকায় জাহেদ নামে এক ব্যক্তি একই ব্যক্তিদের ভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করতে দেখতে পান। অপরদিকে যেখানে লাশ পাওয়া গেছে ওই স্থানে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদেরকে ঘুরাফেরার সময় দেখতে পান দু’জন মৎস্য শিকারী। তবে ওই তিন যুবকের গতিবিধি সন্দেহজনক ও বিচলিতভাব দেখছিলেন স্থানীয়রা। এর সুত্র ধরে ঘটনার আব্দু রহমানকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

 হামিদা বেগম জানিয়েছেন হত্যাকান্ডের ঘটনার দিন রাতে পুলিশের হাতে আটক আব্দু রহমান আতাউল্লাহ’র বাড়িতে রাত্রি যাপন করে। নিহত মো.হোসাইনের জেঠা মোজাফ্ফর জানিয়েছেন খুন হওয়ার পর আতাউল্লাহ ও রুবেলসহ তিন যুবক রাজাখালী এক আতœীয়’র বাড়িতে আতœগোপনে ছিলেন। খুনের বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে আলাপ চারিতা হয়। বিষয়টি পাশ্ববর্তী এক মহিলা শুনতে পান।

 মোজাফ্ফর আহমদ অভিযোগ করেছেন আব্দু রহমানের বাড়ি থেকে পুলিশ হত্যাকান্ডের কিছু আলামত জব্দ করেছেন। এসবে মধ্যে হোসাইনের ব্যবহৃত লুঙ্গি, প্যান্ট ও লুঙ্গি মোড়ানো একটি ধারালো দা উদ্ধার হয়েছে। আতাউল্লাহ’র বাড়িকে ঘিরে হত্যাকান্ডের মুল রহস্য। পুলিশকে ওই বাড়িতে যেতে বলেছি। কিন্তু পুলিশ সময় নেই বলে ওই বাড়িতে এখনো যাইনি । এদিকে মো.হোসাইন এর হত্যাকান্ডের ঘটনা নিয়ে কোল কিনারা মিলেনি এ পর্যন্ত। হামিদা বেগম বাদি হয়ে ঘটনার পর আব্দু রহমানসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে পেকুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করে।

 বাদি অভিযোগ করেছেন থানা পুলিশ মামলা নিয়ে কোন ধরনের সহযোগিতা করছেনা। মাঝে মধ্যে আমাকে থানায় ডেকে ধমক দেয়। মামলা ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য পুলিশ উল্টো আমি ও আমার স্কুল পড়–য়া মেয়েকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করছে। আমার ধারনা এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে যারা ঘটনার সাথে জড়িত তারা পুলিশকে ম্যানেজ করেছে।

 জানা গেছে গত ২৬মার্চ গভীর রাতে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের গর্জনীয়াপাড়া এলাকার দুবাই প্রবাসি আব্বাস উদ্দিনের ছেলে মো.হোসাইনকে গলাকেটে হত্যা করে। স্থানীয়রা সকালে টেইট্যাখালী বিলে তার লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে এক হৃদয় বিদারক ঘটনার অবতারনা হয়।

 বাদি হামিদা বেগম বলেন আমার ছেলে নির্দোষ। তাকে নিষ্টুরভাবে খুন করা হয়েছে। আমার ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি। পুলিশ ঘটনার ক্লু বের না করতে পারায় এখনো বিচার নিয়ে আমি সন্দিহান। পুলিশের আচরনে বোঝা যাচ্ছে তারা এ ঘটনায় তৎপর হবেননা। আমি অধিকতর তদন্ত ও মামলার অগ্রগতির জন্য প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পেকুয়া থানার এসআই সুমন এর কাছে জানতে তার মুঠোফোনে যোগোযোগ করা হয়। রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।

#################

পেকুয়ায় উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ইউএনও’কে ফুলেল শুভেচ্ছা

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নব-নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মারুফুর রশিদ খান এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। এসময় উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এম.শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ইউপির নবনির্বাচিত সদস্যারা পেকুয়ার ইউএনওকে ফুলের শুভেচ্ছাও জানান। গতকাল ১০এপ্রিল রবিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সাক্ষাতে মিলিত হয়েছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম.শহিদুল ইসলাম চৌধুরী। সংরক্ষিত নারী সদস্যদের মধ্যে পারভিন আকতার, রাহেলা মুর্তজা রিপু ও নাদিয়া সুলতানা সুখি। সাধারন সদস্যদের মধ্যে শাহ জামাল, জাফর আলম চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আব্দু রহিম, জিয়াবুল হক, আহসান হাবিব, ছিদ্দিক আহমদ, ওসমান গনি ও ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এইচ.এম মনিরুজ্জামান রব্বানী, উপজেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি এস.এম মাহবুব ছিদ্দিকী ও উজানটিয়ার ইউপির সচিব মোজাহের আহমদ উপস্থিত ছিলেন। এসময় নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য ইউএনও মো.মারুফুর রশিদ খান বলেছেন জনগন অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আপনাদেরকে নির্বাচিত করেছেন। আপনারা জনগনের এ আমানত অত্যান্ত নিষ্টা, সততার সাথে পালন করবেন। দায়িত্ব আপনারা পেয়েছেন এখন আপনাদের কাজ হবে কিভাবে এলাকাকে সাজাবেন। বিচার ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধিদের নিরপেক্ষ থাকতে হবে। স্থিতিশীলতার জন্য আপনাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। এসময় উজানটিয়ার নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এলাকার উন্নয়নসহ আর্থ সামাজিক অগ্রগতি ও পরিবর্তনের জন্য ইউএনও’র আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

 ##############

পেকুয়ায় গাঁজাসহ আটক-১, দুই মাসের জেল

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় গাঁজাসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাকে পেকুয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মারুফুর রশিদ খান তাকে দুই মাসের সাজা প্রদান করেছেন। গতকাল ১০এপ্রিল ভ্রাম্যমান আদালতে এ সাজা দেওয়া হয়েছে। আটককৃত ব্যক্তির নাম মো.মুজিবুর রহমান(৩৮)। তিনি গোঁয়াখালী মিঠাবেপারী পাড়া এলাকার দানুমিয়ার ছেলে। গত শুক্রবার গভীর রাতে পেকুয়া থানার এ.এস.আই মনিতোষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুজিবুর রহমানকে তার বাড়ি থেকে গাঁজাসহ আটক করেন। পেকুয়া থানার এ.এস.আই মনিতোষ জানিয়েছেন, আটক মুজিবুর রহমানকে গাঁজাসহ আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত ২ মাসের সাজা প্রদান করেছেন।

পাঠকের মতামত: