ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কুতুবদিয়া ও মহেশখালীতে ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ

নিজস্ব প্রকিবেদক,  চকরিয়া ::  ঘূর্ণিঝড় আম্ফান কক্সবাজারে বড় ধরনের তেমন আঘাত না হানলেও দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর বিভিন্ন এলাকায় সমুদ্র তীরবর্তী বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। আম্ফানের সাথে যোগ হয়েছে অমাবস্যার জোয়ারের প্রভাবও। এতে দুই উপজেলার সমুদ্র তীরের বেড়িবাঁধও বিভিন্নস্থানে ভেঙে সাগরবক্ষে তলিয়ে যায়। এই অবস্থায় জোয়ারের প্রভাব অব্যাহত থাকায় বিভিন্ন লোকালয়েও ঢুকে পড়েছে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি। আম্ফানের প্রভাবে গতকাল সারাদিন দমকা হাওয়ার সাথে থেমে থেমে মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে কঙবাজারে।
এদিকে জেলা প্রশাসন ৮ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে জেলাবাসীকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ আগে থেকে গ্রহণ করে রাখে। এমনকি উপকূলীয় উপজেলাগুলোর কয়েক লাখ লোককে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রেও নিয়ে আসা হয়েছিল।

কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় ঘরবাড়ির তেমন ক্ষতি না করলেও বড় ধরনের আঘাত হেনেছে দ্বীপের রক্ষাকবচ বেড়িবাঁধে। তিনি জানান, ভয়াবহ জ্বলোচ্ছ্বাসের তোড়ে কুতুবদিয়া উপজেলার ধুরুং ইউনিয়নের কাইছার পাড়া ও নয়াপাড়া বেড়িবাঁধের বিশাল অংশ সাগরবক্ষে তলিয়ে গেছে। বর্তমানে দ্বীপের ৭১ নম্বর পোল্ডারের ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে দ্বীপের কয়েকটি এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এই ভাঙা অংশ মেরামতের প্রয়োজন রয়েছে।

অপরদিকে আরেক দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর ৭০ নম্বর পোল্ডারের ৩২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে মাতারবাড়ি ও ধলঘাট ইউনিয়নের কিছু অংশের বেড়িবাঁধ সাগরে তলিয়ে গেছে।

এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) শাহ আরমান সালমান জানান, মহেশখালীর ধলঘাট ইউনিয়নের উমখালী বেড়িবাঁধের ৩৫০ মিটার, সরইতলা বেড়িবাঁধের ২৫০ মিটার এবং মাতারবাড়ি ইউনিয়নের ষাইটপাড়া বেড়িবাঁধের প্রায় ৭০০ মিটার মতো সামুদ্রিক অস্বাভাবিক ঢেউয়ের তোড়ে সাগরে বিলিন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের জন্য ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে।

দুই দ্বীপ উপজেলার বাইরে জেলার সমতলের অন্যান্য উপজেলা চকরিয়া, পেকুয়া, উখিয়া, টেকনাফ, কক্বাসজার সদর ও রামুতে তেমন ক্ষয়ক্ষতির চিত্র পাওয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত: