ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় দু’পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ, গুলি বর্ষন

songarsপেকুয়া অফিস ::

পেকুয়ায় পরাজিত দু’মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পরাজিত এক প্রার্থীর লোকজন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অপর প্রার্থীর বাড়িতে হানা দেয়। এলাকায় ভীতি ছড়াতে ওই প্রার্থীর পক্ষ থেকে অন্তত ৫-৭রাউন্ড গুলি বর্ষনের খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বটতলিয়াপাড়া এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন গেল ইউপি নির্বাচনে সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড় থেকে প্রতিদ্বন্ধিতা করছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা গোলাম ছোবহান ও ১নং ওয়ার্ড় আ’লীগের সভাপতি আমিরুল খালেদ। নির্বাচনে দু’জনেই সদস্য পদে পরাজিত হয়েছেন। এদিকে গতকাল শনিবার বিকেলে পরাজিত দু’প্রার্থী পেকুয়া বাজারে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে একজন অপরজনকে দুষলেন। এনিয়ে দু’প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরপর স্থানীয়রা এগিয়ে এসে দু’জনকে নিবৃত করে। জানা গেছে ওই ঘটনা প্রার্থীর নিজ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এর জের ধরে ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দু’প্রার্থীর সমর্থক ও গ্রামবাসির মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দু’গ্রামবাসির মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে। যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা করছেন স্থানীয়রা। এ সময় গোলাম ছোবহানের এলাকা বটতলিয়াপাড়া ও আমিরুল খালেদের বকশোচকিদারপাড়া এলাকার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে গোলাম ছোবহান মেম্বারের লোকজন পার্শ¦বর্তী বকশোচকিদারপাড়া এলাকায় অন্তত ৫-৭রাউন্ড গুলি ছোড়ে বলে ওই এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমিরুল খালেদ জানিয়েছেন পেকুয়া বাজারে গোলাম ছোবহান মেম্বারসহ দুর্বৃত্তরা আমাকে হামলা চালায়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের ধাওয়া দেয়। এরপর রাতে তারা উত্তেজিত হয়ে আমার বাড়িতে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গোলাম ছোবহান মেম্বারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি। পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া জানিয়েছেন বিষয়টি জেনেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

পাঠকের মতামত: