ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চিকিৎসকদের আগে মানবিক মানুষ হতে হবে -অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া

নিউজ ডেস্ক :: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, একজন চিকিৎসককে আগে মানবিক মানুষ হতে হবে। ডাক্তারি সেবামূলক পেশা। এ পেশায় জড়িত অনেকের বিরুদ্ধে রোগীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠে। এমনটি হয়ে থাকলে চিকিৎসকের প্রতি সেবাপ্রার্থীদের বিশ্বাস জন্মাবে না। বিশ্বাস এবং ভালবাসার সমন্বয়ে মানবিক আচরণ যুক্ত করতে পারলে চিকিৎসক হিসেবে পূজনীয় হওয়া যায়।

কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের পরিচিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এসব কথা বলেছেন।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু না হয়ে আজ স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে পরিচয় দেয়া সম্ভব হতো না। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৬ ডিসেম্বর যুদ্ধ বিজয়ের পর ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার হতে বঙ্গবন্ধু মুক্তি পান। সেখান থেকে লন্ডন ও ভারত হয়ে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে অপূর্ণ স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর সেই ঐতিহাসিক দিনে তোমরা (নতুন ভর্তিকৃত মেডিকেল শিক্ষার্থীরা) মানব সেবার অবিস্মরণীয় পেশায় যুক্ত হতে পেরেছে। তাই বঙ্গবন্ধুর মতো মানবিক মানুষ হয়ে দেশ ও দশের সেবায় নিযুক্ত হও। এসময় তিনি যোগ্য পিতার উত্তরসূরী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়ন কান্ড এবং চিকিৎসা পেশার সার্বিক অগ্রগতির ব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন।


কোরআন তেলাওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠ ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ’র অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সুবাস চন্দ্র সাহা।

প্যাথলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রুপস পালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সার্জারি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক শাখাওয়াত হোসেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন -ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক ও বিএমএ’র কেন্দ্রীয় সাবেক সেক্রেটারি ডা. কাজি শহিদুল আলম, বিএমএ কক্সবাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আবদুল মতিন, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. ফরহাদ হোসেন।

বক্তব্য রাখেন মেডিকেলের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানরা।

শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন -ঢাকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবদুল মজিদ। তিনি মেডিকেলে চান্স পাওয়া মতো আগামীতে মানবসেবায় সেভাবে অবদান রেখে অভিভাবকদের মুখ উজ্জ্বল রাখতে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন।

নবাগত শিক্ষার্থীদের পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন -কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় প্রথম হওয়া শিক্ষার্থী রাহাত হোসেন ও জান্নাতুল ফেরদৌস।

রাহাত হোসেন রাজমিস্ত্রী বাবা ও নিরক্ষর গৃহিণী মায়ের সন্তান হয়েও চরম প্রতিকূলতা পেরিয়ে চিকিৎসা বিদ্যা শাখায় ভর্তি হতে পেরে মহান আল্লাহর প্রতি শোকরিয়া ও অভিভাবক এবং শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। জান্নাতুল ফেরদৌসও মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে প্রতিকূলতা পেরিয়ে অবিশ্বাস্য ভাবে মেডিকেলে মেধাতালিকায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়ে চান্স পাওয়ার কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হন।

অনুষ্ঠানে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, অভিভাবক, আমন্ত্রিত অতিথি, সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারি ও বিগত ১১টি ব্যাচের প্রতিনিধি ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: