ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

জেলায় ৪০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

াাাাকক্সবাজার প্রতিনিধি :::

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলার ১৮টি ইউনিয়নের ৪০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজোয়াপ্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জন বিএনপির প্রার্থী, ৯ জন জাতীয় পার্টির প্রাথীর্, একজন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র প্রার্থী ও ২৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। ভোটারদের মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগেরও কম ভোট পাওয়া এসব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত কোন প্রার্থী এই নির্বাচনে জামানত হারাননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: মেছবাহ উদ্দিন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মহেশখালী উপজেলায় জামানত হারিয়েছেন ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হুদা। তার প্রাপ্ত ভোট ৪৫৬। একই ইউনিয়নে মাত্র ৩১ ভোট পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিরাজুল মোস্তফা। ওই ইউনিয়নে ১৩ হাজার ৬১৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে ২০৪ ভোট বাতিল করা হয়। কুতুবজোম ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তারা হলেন বিএনপির প্রার্থী মো: শফিউল আলম (প্রাপ্ত ভোট ২), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সোহেল (প্রাপ্ত ভোট ৮০) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদুল ইসলাম মুন্না (প্রাপ্ত ভোট ২১)। ওই ইউনিয়নে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১৩ হাজার ৩০৫। এর মধ্যে ২০৯ ভোট বাতিল হয়েছে। বড় মহেশখালী ইউনিয়নে জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৪ জন প্রার্থীর। তারা হলেন, সতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নান (প্রাপ্ত ভোট ১৯), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহবুব আলম (প্রাপ্ত ভোট ৫৬), স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতার কামাল চৌধুরী (প্রাপ্ত ভোট ৩৫), স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহমতউল করিম (প্রাপ্ত ভোট ২০)। বড় মহেশখালী ভোট দিয়েছেন ২২ হাজার ১৮৬ জন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৭৯৮ ভোট।  হোয়ানক ইউনিয়নে মোট ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আমান উল্লাহ ( প্রাপ্ত ভোট ১৬২), স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসরাত জাহান নিনা (প্রাপ্ত ভোট ২৩) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব আলম (২০০)। হোয়ানকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ২৪ হাজার ৮৮৯ জন। এর মধ্যে ৪০৩ ভোট বাতিল হয়। মাতারবাড়ি ইউনিয়নেও ৩ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। তারা সকলেই সতন্ত্র প্রার্থী। তারা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশতাক আহমদ (প্রাপ্ত ভোট ২৩), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মো: ইলিয়াস (প্রাপ্ত ভোট ৭৭) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: কাউচার ( প্রাপ্ত ভোট ২১)। মাতারবাড়িতে মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ২১ হাজার ১৯৬। এর মধ্যে ১৯৩ ভোট বাতিল করা হয়েছে। ধলঘাটা ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম মনি। তিনি পেয়েছেন মাত্র ৪০ ভোট। ওই ই্উনিয়নে ৬ হাজার ৬২৮ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে ৬৫ ভোট বাতিল করা হয়।
টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদ। তিনি মাত্র এক হাজার ৩৭২ ভোট পেয়েছেন। হ্নীলায় ভোট দিয়েছেন ১৮ হাজার ৭৮৮ জন ভোটার। এর মধ্যে বাতিল করা হয় ২৫৫ ভোট। হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে একজনও জামানত হারাননি। টেকনাফ সদর ইউনিয়নে ৪ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রহমান (প্রাপ্ত ভোট ৪৮), স্বতন্ত্র প্রার্থী দিদার মিয়া (প্রাপ্ত ভোট ১৪), স্বতন্ত্র প্রার্থী মুকতার আহমদ (প্রাপ্ত ভোট ৫) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো: ইসমাঈল (প্রাপ্ত ভোট ১১৯)। এই ইউনিয়নে ভোট দেন ১৮ হাজার ৪৯৮ জন। এর মধ্যে বাতিল করা হয় ৩৩৭ ভোট। সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ২ জন জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রহমান (প্রাপ্ত ভোট ২২১) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কেফায়েত উল্লাহ (প্রাপ্ত ভোট ১৪)। সেন্টমাটিনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ২ হাজার ৬৭৬ জন। এর মধ্যে ৬৮ ভোট বাতিল করা হয়। সাবরাং ইউনিয়নে ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তারা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল ফয়েজ (প্রাপ্ত ভোট ২৭), স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহেদ হোসাইন (প্রাপ্ত ভোট ২০০), স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুর রহমান (প্রাপ্ত ভোট ৫৫২) ও জাতীয় পাটির প্রার্থী মোহাম্মদ আয়াছ ( প্রাপ্ত ভোট ১২২)। সাবরাংয়ে ভোট দিয়েছেন ২১ হাজার ৮৮০ জন। এর মধ্যে ৫৮৫ ভোট বাতিল করা হয়। বাহারছড়া ইউনিয়নে ৬ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী জসিম উদ্দিন (প্রাপ্ত ভোট ১১৮), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: মুশাররফ হোসেন চৌধুরী (প্রাপ্ত ভোট ২৫), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল্লাহ (প্রাপ্ত ভোট ৮), স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিব উল্লাহ (প্রাপ্ত ভোট ১৫২৯), স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসিনা আকতার (প্রাপ্ত ভোট ১৯) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন কাদের চৌধুরী (প্রাপ্ত ভোট ৭৭২)। বাহারছড়ায় মোট ১৪ হাজার ৩৯০ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৩১১ ভোট।
কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নে জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩ জন প্রার্থীর। তারা হলেন, বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মোবারক হোছাইন (প্রাপ্ত ভোট ৭৫৭), স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাবের আহমদ (প্রাপ্ত ভোট ৪) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান (প্রাপ্ত ভোট ১৩)। বড়ঘোপে ভোট দিয়েছেন ১১ হাজার ৬৬৫ জন। এর মধ্যে ৬৪৩ ভোট বাতিল করা হয়েছে। আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। তিনি হলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি মাত্র ৬৭ ভোট পেয়েছেন। ওই ইউনিয়নে ভোট দিয়েছেন ৮ হাজার ৩২০ জন। এর মধ্যে ৩৫০ ভোট বাতিল হয়েছে। দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নেও ৩ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়নাল আবেদীন (প্রাপ্ত ভোট ১২), স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেক মোহাম্মদ নওশাদ (প্রাপ্ত ভোট ৫) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল আমিন (প্রাপ্ত ভোট ২৩২)। সেখানে বৈধ ভোট পড়েছে ৮ হাজার ১৪৭ জনের। এর মধ্যে ১২৭ ভোট বাতিল করা হয়েছে। কৈয়ারবিল ইউনিয়নে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীও জামানত হারাননি। উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১ জন জামানত হারিয়েছেন। তিনি হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজ মোহাম্মদ শাহনিয়াজ। তিনি মাত্র ৩৪ ভোট পেয়েছেন। উত্তর ধুরুংয়ে ভোট দিয়েছেন ১১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ৫১৪ ভোট বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে কুতুবদিয়ার লেমশিখালী ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: বেনজির আহমদ জানিয়েছেন, ওই ইউনিয়নে ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের জামানত বায়েজাপ্ত করা হয়েছে। তারা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু মজিদ আব্দুল্লাহ (প্রাপ্ত ভোট ১০৭), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: সরওয়ার আলম (প্রাপ্ত ভোট ১২৮) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম (প্রাপ্ত ভোট ১১)। লেমশীখালীতে ৯ হাজার ৩২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে বাতিল করা হয় ১৮২ ভোট।

পাঠকের মতামত: