ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

টাকার লোভে চেয়ার ছাড়ছেনা ডা. সিরাজী

sadarকক্সবাজার সংবাদদাতা:
বদলীর আদেশের পর নানা চেষ্টা-তদবির চালিয়ে ব্যর্থ আরএমও সুলতান আহমদ সিরাজী কক্সবাজার সদর হাসপাতালে গত দেড় বছর ধরে দায়িত্ব পাপলন করছেন নিয়ম বহির্ভূতভাবে।
৪ বছর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক আদেশে তাকে বান্দরবানের রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে বদলী করা হয়।
তিনি ওই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। ওই রিট পিটিশনটি ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন আদালত। এর প্রেক্ষিতে তিনি বদলির আদেশ হওয়া কমস্থলে (বান্দরবানের রুমা উপজেলা) যোগদানের কথা থাকলেও তা করেননি।

সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতবাবে তিনি এখনও পর্যন্ত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৬ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে পরিচালক (প্রশাসন) ডা: মতিউদ্দিন আহমেদ ডিজি ¦ইেচএস/পার-২/এস-৪৯/৮৩/৭৪৯৫ স্মারকমূলে সুলতান আহমদ সিরাজীকে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে বদলীর আদেশ দেন। ওই আদেশ ঠেকাতে তিনি সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দাখিল করেন। এতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কে বিবাদী করা হয়। দীর্ঘদিন পর গত ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও কাজি মো: এজহারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ রিট পিটিশনটি খারিজ করে দেন। এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বদলি আদেশ বহাল থাকলেও অদৃশ্য কারণে সুলতান আহমদ সিরাজী কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আরএমও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জানা গেছে, ডা: সুলতান আহমদ সিরাজী হাসপাতালের পরীক্ষা, ব্ল্যাড ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাত থেকে প্রতি মাসে ৩০% করে কিমশন হাতিয়ে নিচ্ছেন। অন্যভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানের মানুষকে এক প্রকার জিম্মি করে সার্টিফিকেট বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর.এম.ও) সুলতান আহমদ সিরাজীর সাথে অংখ্যাবার মোবাইলে যোগাযোগ করার পরও মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। কক্সবাজার জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ আলমগীর (তার ব্যবহৃত মোবাইল নং- ০১৮১৯৬১৪৯৫২) যোগাযোগ করা হলে ব্যস্ততা দেখিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

পাঠকের মতামত: