ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়া বাজারে ধন্ত চিকিৎসার নামে প্রতারণা চলছে

mail.google.com্ি্‌মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::

পেকুয়া উপজেলার বৃহত্তম বানিজ্যিক কেন্দ্র পেকুয়া আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে ধন্ত চিকিৎসার নামে প্রতারণা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পত্র-পত্রিকায় চাক্যচিক্যময় বিজ্ঞাপন প্রচার করে এক শ্রেণীর ভূঁইফোঁড় চিকিৎসক নামধারী লোক ধন্ত চিকিৎসার নামে সাধারন রোগীদের সাথে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অপচিকিৎসা দিয়ে গলাকাটা বানিজ্য চালাচ্ছে বলে স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, পেকুয়া বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে গাউছিয়া মার্কেটের ২য় তলায় একটি দোকান ভাড়া নিয়ে শিলখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা কথিত ধন্ত চিকিৎসক নামধারী মো. মূসা বিগত ৭-৮ বছর ধরে ধন্ত চিকিৎসার নামে এ রোগীদের সাথে চিকিৎসার নামে রমরমা প্রতারণা বানিজ্য চালাচ্ছেন। গত কয়েক মাস পূর্বে অপচিকিৎসার অভিযোগে পেকুয়ার ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মারুফুর রশিদ খান পেকুয়া বাজারের ওই কথিত চিকিৎসকে আটক করে পুলিশ দিয়েছিল। পরে ইউএনওর কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কথিত ধন্ত চিকিৎসক ছৈয়দ এম এ মূসাকে অর্থদন্ডসহ বিশেষ সতর্ক দিয়েছিল। পেকুয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের আদালত সূত্রে জানা গেছে, পেকুয়া বাজারের ওই ধন্ত চিকিৎসককে একজন মহিলা রোগীকে অপচিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ জরিমানা করা হয়েছিল এবং তাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাগজপত্র ছাড়া ধন্ত চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল।

পেকুয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, কথিত ধন্ত চিকিৎক মূসা আদালতের আদেশ অমান্য করে প্রতিনিয়তই ধন্ত চিকিৎসার নামে সাধারান রোগীদের সাথে প্রতারণা বানিজ্য চালিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নিয়মিত কিছু পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রচার সাধারন রোগীদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে। এসব বিজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দাঁত ও মুখ রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা: মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম নিয়মিত রোগী দেখছেন ছৈয়দ এম এ মুসার ‘কেয়া ডেন্টাল কেয়ারে’ এসব লিখে অপপ্রচারে নেমেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কথিত চিকিৎসক ছৈয়দ এম এ মুসার চেম্বারে ডা: ফরিদুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি। ডা: ফরিদুল ইসলাম পরিচয়ে মূলত কথিত ধন্ত চিকিৎসক নামধারী প্রতারক ছৈয়দ এম এ মূসাই রোগীদের ধন্ত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয়রা পেকুয়ার সাত ইউনিয়নের সাধারন রোগীদের কথিত ধন্ত চিকিৎসক মূসার প্রতারণার কবল থেকে রক্ষায় জরুরী ভিত্তিতে পেকুয়ার ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মারুফুর রশিদ খানের কাছে হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: