ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় পুলিশির বাঁধায় বিএনপি সমর্থীত প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারনায় ভাটা

পেকুয়া ইউপি নিবর্কাচননিজস্ব প্রতিনিধি,  পেকুয়া:

কক্সবাজারের পেকুয়ায় পুলিশের বাঁধায় বিএনপি সমর্থীত ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারনায় ভাটা হয়ে পড়েছে। উপজেলার ৭ইউনিয়ন ঘুরে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এনিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে চাঁপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা যায়, চলতি মাসের ৩১মার্চ পেকুয়া উপজেলার ৭ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। প্রতিক বরাদ্ধের পর প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীরা শুরু করে তাদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা। প্রচার প্রচারনার প্রথম পর্যায়ে নির্বাচনী আচরন বিধি সচেতন ও আইন শৃংখলা রক্ষার্থে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের জরুরী মতবিনিময় সভার আয়োজন করে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। এদিন নির্বাচনী আচরন বিধি ভংগ করে দেয়ালে পোষ্টার লাগানোয় প্রায় ৫জন প্রার্থীকে অর্থদন্ড ও অনেককে সতর্ক করে। এদিকে, গত সপ্তাহ জুড়ে চলা নির্বাচনী প্রচারনাকালে পুলিশ দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে প্রায় হাফ ডজন বিএনপি সমর্থীত চেয়ারম্যান মেম্বার প্রার্থীকে অর্থদন্ড ও ব্যবহৃত মাইক জব্দ করে। এনিয়ে বিএনপি সমর্থীত চেয়ারম্যান মেম্বার প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারনায় ভাটা পড়ে। স্থানীয় বিএনপি’র নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী ও প্রচার সেল প্রধান শ্রমিকদল নেতা মুজিবুল হক চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, এবারের ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের মনোনীত প্রতিদ্বন্ধী চেয়ারম্যান মেম্বার প্রার্থীদের প্রচারনায় পুলিশ ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন নির্বাচনী আচরন বিধি ভংগের অজুহাতে ব্যাপক হারে অভিযান চালিয়ে অর্থদন্ড ও প্রচার যন্ত্র জব্দ করছে। এতে বিএনপি সমর্থীত চেয়ারম্যান মেম্বার প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনায় ভাটা নেমে এসেছে। বিএনপি’র এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওসি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে বলেন, আচরন বিধি ভংগের অভিযোগের সূত্র ধরে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। এক্ষেত্রে পক্ষপাতদূষ্টতার প্রশ্ন তুললে তিনি তাও এড়িয়ে যান। এ প্রসঙ্গে পেকুয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ধানেরশীষ প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান সদর ইউপি চেয়ারম্যান এম.বাহাদুর শাহ বলেন, স্থানীয় থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন বেছে বেছে বিএনপি সমর্থীত প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনায় অভিযান চালিয়ে অর্থদন্ড ও প্রচারযন্ত্র জব্দের মাধ্যমে হয়রানী অব্যাহত রাখায় এবারের ইউপি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ট, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষতায় সম্পন্ন নিয়ে আমরা সন্দিহান। লেভেলপ্ল্যয়িং ফিল্ড গড়ে তোলা ছাড়াই সরকারীদলের প্রার্থীদের অবাধে প্রচার প্রচারনার সূযোগ দিলেও আমি ও আমাদের প্রার্থীরা সে সূযোগ পাচ্ছিনা বলে জানান। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খানের কাছে বিএনপি’র অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

###########

পেকুয়ায় বিশ্ব যক্ষা  দিবস পালিত

 নিজস্ব প্রতিনিধি,পেকুয়া:

পেকুয়ায় বিশ্ব য´া দিবস পালিত হয়েছে। জানা যায় গত ২৪ মার্চ সকাল ১০ টায় পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এন জিও সংস্থা ব্র্যাকের যৌথ উদ্যোগে “ঐক্যবদ্ধ হলে সবে, য´া মুক্ত দেশ হবে” এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে স্বাস্থ্য কর্মী ও শতাধিক ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি র‌্যালী বের হয়ে উপজেলা প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালীতে অংশ নেন উপজেলা স্বাস্থ্য প:প: কর্মকর্তা ডা: মজিবুর রহমান, মেডিকেল অফিসার ডা: নুরুল আলম, ব্র্যাকের উপজেলা ম্যানেজার আবু নাছের সরকার, প্রোগ্রাম অর্গানাজার নায়েব আলী, মোবারকা বেগম, আক্তার বেগম, হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা গাজী সালাহউদ্দিন, উজ্জল দত্ত, একলাবের উপজেলা ম্যানেজার জাহিদুল আলম, পি এইচ ডি’র উপজেলা ম্যানেজার কামরুজ্জামান, টেকনোলজিষ্ট আতিকুল বাহার, টি এল সি এ শহিদুল ইসলাম, স্টোর কিপার কাউচার প্রমুখ। এসময় ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য প: প: কর্মকতা ডা: মজিবুর রহমান বলেন আগের দিনে কথা ছিল য´া হলে রক্ষা নাই কিন্তু বর্তমানে তার কোন ভিত্তি নেই। আধুনিক যুগে য´া রোগ নিমুল করতে স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। এ ধরণের স্বাস্থ্যমূলক কাজে এনজিও সংস্থা এগিয়ে আসার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানায়। পেকুয়ায় বর্তমানে কারো য´া রোগের কোন ধরণের লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে ঔষুধ পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন ওষুধ তৈরি করায় আর য´া রোগের জন্য চিন্তা করতে হবে না।

################

রাজাখালী ইউনিয়নে তিনটি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া:

পেকুয়ার রাজাখালী ইউনিয়নে তিনটি কেন্দ্র ঝুঁিকপূর্ন দাবী করে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছৈয়দনুর বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। সুন্দরীপাড়া আজগরিয়া দাখিল মাদ্রাসা, রাজাখালী ইয়ার আলীখান উচ্চ বিদ্যালয়, ফাতেমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এ কেন্দ্র তিনটি ঝুকিপূর্ণ উল্লেখ করেন। এ দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছৈয়দ নুর এ প্রতিবেদককে জানান, প্রতিদ্বন্ধী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমগীর চৌধুরী আমাকে ও আমার কর্মী সমর্থকদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এমনকি আমাকে পর্যন্ত সহ সরকারী আইন শৃংখলা বাহিনী দিয়ে ক্রস ফায়ারের হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরো জানান,আমার ইউনিয়নে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এমনকি নির্বাচনের দিন ইউনিয়নে র‌্যাব, পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনী বৃদ্ধি করে সুষ্ঠু ভোট নেওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান।

####################

পেকুয়ায় বি.এন.পি নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে পুলিশি তল্লাশির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া

পেকুয়ায় বি.এন.পি নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে পুলিশি তল্লাশির নামে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ করেন পেকুয়া উপজেলা বি.এন.পির সভাপতি ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ধানের শীষের প্রার্থী বাহাদুর শাহ। তিনি গত ২৪ মার্চ পেকুয়ার কর্মরত সাংবাদিকদের কে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানান। পেকুয়া বাজারে নৌকার মিছিলে ফাঁকা গুলির ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। গতকাল আবুল শামা নামের এক আওয়ামীলীগ কর্মী বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ রুবেল ও উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুটকে প্রধান আসমি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। অপরদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী বাহাদুর শাহ গতকাল পেকুয়া প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তার নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় পুলিশ হানা দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে বলে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাত আচরণ বন্ধের দাবী জানিয়েছেন। তিনি তার নেতা কর্মীদের অহেতুক হয়রানির প্রতিকার চেয়ে একটি আবেদন দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। বাহাদুর শাহ জানান, ফাঁকা গুলির একটি নাটক সাঁজিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পুলিশী হয়রানি করে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য তারা এ কাজটি করেছে। এদিকে আওয়ামীলীগের কর্মীরা নৌকার মিছিলে ফাঁকা গুলির বিষয়ে জামায়াত শিবিরকে দায়ী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও সদর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট কামাল হোসেন এ বিষয়ে কিছু জানেননা বলে সাংবাদিকদের জানান। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি দক্ষিণ মেহেরনামা এলাকায় একটি পথসভায় ছিলাম। পরে শুনলাম আওয়ামীলীগের যারা মেম্বার প্রার্থী আছে তারা মিলে পেকুয়া বাজারে মিছিল চলাকালে কে বা কারা ফাঁকা গুলি করেছে। আমি এখন ভোটের প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত। এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় আমার নেই। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার (ওসি) অফিসার ইনচার্জ জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঘটনার পরপরই যারা মৌখিক অভিযোগ করেছিলেন তাদেরকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গুলাগুলির কোন সিমটম পাইনি তবুও বিষয়টি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে তদন্ত করছি। এ বিষয়ে দুই দলের পক্ষ থেকে তার কাছে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ ও চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: