ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় বিউটি পার্লারে আড়ালে এসব কি চলছে!

12144705_889534974455838_5989135785643671443_nস্টাফ রির্পোটার, উখিয়া ॥

উখিয়ায় বিউটি পার্লারের আড়ালে চলছে হয়রানী ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়। নিম্নমানের প্রসাধনি সামগ্রী ব্যবহার করে গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। কেউ প্রতিবাদ করলে বিউটি পার্লারের অভ্যন্তরে মহিলা গ্রাহদেরকে নির্যাতন ও নাজেহালের শিকার হতে হয় বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধশতাধিক বিউটি পার্লার গড়ে উঠেছে। উখিয়া সদর, কোটবাজার, মরিচ্যা, সোনারপাড়া, থাইংখালী, বালুখালী, কুতুপালংসহ হাটবাজার ও স্টেশনে বউ সাজানোর কথা বলে এসব বিউটি পার্লার খোলা হয়েছে। মূলত যত্রতত্র ভাবে গড়ে উঠা বিউটি পার্লারে চলছে গলাকাটা ব্যবসা। অল্প কয়েকদিন প্রশিক্ষণ নিয়ে কিছু সংখ্যাক মহিলা বিউটি শিয়ান সেজে বিউটি পার্লার চালু করলেও সেখানে চলছে নামে মাত্র সেবা। শুধু তাই নয় ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্ন ও কম দামের প্রসাধনিক সামগ্রী। এমনকি মেয়াদ উর্ত্তীণ বেজাল পারফিউম ব্যবহার করার কারণে অনেকের স্কীন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করে বলেছে।

গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে উখিয়া উত্তর পার্শ্বে ফুটবল খেলা মাঠ সংলগ্ন টুটু বিউটি পার্লারে চলছে গলা কাটার ব্যবসা। কলেজের পড়–য়া মেদেরকে চুলের ডিজাইন ও কালার করে দেওয়ার নাম করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। উক্ত পার্লারে ব্যবহার করা হচ্ছে মেয়াদ উর্ত্তীণ পারফিউম। নিম্নমানের প্রসাধনি সামগ্রী ব্যবহার করে চুলের কালার ও ডিজাইন করার কারণে তা স্থায়ী হচ্ছে না। কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী অভিযোগ করে বলেছে টুটু বিউটি পার্লারে চুলের ডিজাইন ও কালার করতে গিয়ে হয়রানী শিকার হতে হয়েছে। অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যেনতেন ভাবে কাজ করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। কেউ প্রতিবাদ করলে টুটু বিউটি পার্লারে কর্মরত মহিলারা সন্ত্রাসী স্টাইলে দূর্ব্যবহার সহ নাজেহাল করে। এমনকি বেশী বাড়াবাড়ি করলে পার্লারে বেঁধে রাখা হবে বলে হুমকি দেয়।

সচেতন মহিলাদের অভিমত উখিয়ায় যত্রতত্র ভাবে গড়ে উঠা বিউটি পার্লারে আসলে কি চলছে এসব তদারকি করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোরদাবী জানিয়েছেন।

#################

উখিয়ার পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিংকমিটির নির্বাচন সম্পন্ন

ফারুক আহমদ, উখিয়া ॥

উখিয়ার পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন উৎসবমূখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অভিভাবক প্রতিনিধি পদে আবুল হাসনাত চৌধুরী আবুলু ৬০০ ভোট, হাসান জামাল রাজু ৪৬৫ ভোট, সাকের উদ্দিন সাগর ৪৪৪ ভোট ও মোহাম্মদ আলমগীর ৩৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ১১ জন প্রতিদ্বন্দিতাকারী প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট হচ্ছে আব্দুল্লাহ আল-হাকিম ৩৪৪ ভোট, আবছার উদ্দিন ৩০৪ ভোট, ফরহাদ মাহমুদ ২৬৫ ভোট, আব্দুল গফুর দানু ২৫৬ ভোট, মুজিবুল হক ভুট্টু ২১১ ভোট ও নিমাংশু বড়–য়া ১৬২ ভোট পেয়েছেন।

সংরক্ষিত মহিলা পদে মরহুম জাকের আলম মাস্টারের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম ৭৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী হোসনে আরা বিউটি মাত্র ২৩০ ভোট পান। এছাড়াও শিক্ষক প্রতিনিধি পদে খাইরুল বশর ও কায়সার উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রাপ্ত ভোট হচ্ছে ৫। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইদ্রিস মিঞা জানান, ১১৬০ জন ভোটার ছিল।

পাঠকের মতামত: