ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জের: বরযাত্রীর উপর হামলায় ৮ জন আহত: ৩শ মেহেমানের খাবার নষ্ট:

মনির আহমদ, কক্সবাজার ::
চকরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে বরযাত্রীর উপর দা-কিরিচ দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় বরের ওমান প্রবাসী বড় ভাই ও নারী সহ ৬ জন ও প্রতিপক্ষের ১ নারী গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় বর পক্ষের ৬ জনকে কক্সবাজার সরকারী হাসপাতালে ও প্রতিপক্ষের ১ নারীকে চমেক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। তবে বরের ভাই এহেছান আশংখাজনক হওয়ায় মুমুর্ষ অবস্থায় কক্সবাজার থেকে চমেক হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ছায়রাখালী উত্তরপাড়া বড় মসজিদের পার্শ্বে এ হামলার ঘটনা ঘঠেছে।

খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ছায়রাখালী উত্তরপাড়ার মনছুর আলমের পুত্র হাবিবুল্লাহর বিয়ের দিন ছিল আজ। এ দিন দুপুরে ৩০০ মেহেমানকে খাওয়ানোর জন্য আয়োজন হয় বাড়ীর উঠানে। বাড়ীর মুরব্বিরা স্থানীয় বড় মসজিদে জুমার নামাজের পর বৈরাত যাবে। ফুল দিয়ে ২ টি হাইয়েছ গাড়ী মসজিদের পার্শ্বে সাজিয়ে রাখা হয়। মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বেরিয়ে দেখে কতিপয় শিশু গাড়ীর ফুল ছিড়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বাকবিতন্ডা হলে মুসল্লিরা মিমাংসা করে দেন। মিমাংশার পর বরযাত্রীরা গাড়ীতে উঠার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। এমতাবস্থায় ফুল ছিড়ে ফেলা শিশুর বাবা জয়নাল উদ্দীন ও তার পরিবারের ১০/১২ জন নারী পুরুষ লম্বা কিরিচ ও লোহার রড় নিয়ে বরযাত্রীদের ঘেরাও করে এলোপাতাড়ী কোপাতে থাকে।

খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এবং অবশিষ্টদের বউ আনার জন্য গাড়ীতে তুলে দেন। এ ঘটনায় আহতরা হলেন,
বরের প্রবাসী ভাই এহেছান (৩৫), শরিফ উল্লাহ (২০), আব্দুর রহিম (২৮), আব্দুল গনি (১৮), বাহাদুল করিম(৩০),আব্দুল মান্নান (২৪)। প্রতিপক্ষের মধ্যে আহত হয়েছে জয়নাল আবদীন ও রুবী নামে ২ জন। আহতদের চকরিয়া সরকারী নেওয়া হলে আশংখাজনক হওয়ায় তাদের সকলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সরকারী হাসপাতাল ও ‘চমেক’ হাসপাতালে প্রেরন করেছে।

এ ব্যাপারে বরের মা রোশন আরা (৬৫) বলেন, বর হাবিবুল্লাহ ছাড়া সকল পুত্র-কন্যাদের কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ওমান প্রবাসী এহেছানের অবস্থা খুব খারাপ।কক্সবাজারের ডাক্তারেরা এহেসানকে চমেক হাসপাতালে প্রেরন করেছে। তাদের ধাওয়া খেয়ে বাড়ীতে আসা ৩ শতাধিক মেহেমান ভাত না খেয়ে পালিয়ে গেছে।

স্থানীয় চেয়ারম্যানও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, উভয় পক্ষকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। আহতরা ভাল হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বর হাবিবুল্লাহ বলেন, বাড়ীর সবাইকে কুপিয়েছে জয়নালরা। পরে নিজেদের এক নারীকে কুপিয়ে নিজের কুপ নিজে খেয়ে আহত হয়েছে আমাদের বিরোদ্ধে উল্টা মামলা সাজানোর জন্য। তবে আহতরা ভাল হলে মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জয়নালের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় দরজার বাহিরে তালা। প্রতিবেশীরা বলেছেন, বাড়ীতে তালা দিয়ে সবাই পালিয়েছে।

 

পাঠকের মতামত: