ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

জেলার ১৪ ইউপি’র ফলাফল ঘোষণা, স্থগিত ১ বিদ্রোহীসহ আ’লীগ ১০ বিএনপি ৩ জামায়াত ১

ুুুুুকক্সবাজার প্রতিনিধি:::

ইউপি নির্বাচনে  জেলার ১৬ টি ই্উপির ১৪ টি ফলাফল পাওয়া গেছে। বড় মহেশখালি ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত রয়েছে । এছাড়া গতকাল রাত ১২ টা পর্যন্ত সাবরাং ইউপির বিজয়ী চেয়ারম্যানের নাম ঘোষনা করা হয়নি। তবে প্রাপ্ত ফলাফলে আওয়ামীলীগ ৭ টি, আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী ৩ টি , বিএনপির ৩ টি জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী একটিতে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে কুতুবদিয়ার ৩ টি বিএনপিতে ২টিতে আওয়ামীলীগ, ১ টি জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। টেকনাফের ৪টির মধ্যে ১টিতে আওয়ামলীগ ও ২ টিতে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু সাবরাং ইউপির ফলাফল পাওয়া যায়নি।  মহেশখালিতে ভোট হওয়া ৬ টি ইউপির মধ্যে ৪ টি আওয়ামীলীগ, ১ টিতে আওয়ামলীগের বিদ্রোহী ও অন্য ১টি ইউপির ফলাফল স্থগিত রয়েছে।
কুতুবদিয়ার উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন নির্বাচনে জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী  আ স ম শাহরিয়ার চৌধুরী ৪৫১০ ভোট পেয়ে বেসর-কারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার  নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামীলীগ প্রার্থী ইয়াহিয়া ২৬৩০ ভোট পেয়েছেন। দক্ষিণ ধুরুং  ইউনিয়ন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ছৈয়দ আহমদ ৩৩০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাউদ্দিন আল আজাদ ৩১০২ ভোট ।  লেমশীখালি ইউনিয়ন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী  আকতার হোসাইন ৫৫৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।তার  নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী  আওয়ামীলীগ প্রার্থী ছৈয়দ আহমদ কুতুবী ২৩৯৬ ভোট পেয়েছেন। আলী আকবর ডেইলে আওয়ামীলীগ প্রার্থী নুরুচ্ছফা বিকম বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।বড়ঘোপে আওয়ামীলীগ প্রার্থী এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এবং কৈয়ারবিলে বিএনপি প্রার্থী জালাল আহমেদ বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
টেকনাফ সদর ইউপি নির্বাচনে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাজাহান মিয়া বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। সেন্টমার্টিনে ১ হাজার ৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুর আহমদ । তার  নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আ.লীগের প্রার্থী মুজিবুর রহমান পেয়েছেন ৭৪৫ ভোট। ধানের শীষের প্রার্থী মাও. আবদুর রহমান পেয়েছেন ৬৬৬ ভোট।  আর বাহারছড়্য়া আওয়ামলীগ প্রার্থী মৌলভী আজিজ বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তবে গতকাল মধ্যরাতে সাবরাংয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যানের ব্যাপারে মুখ খোলেননি সরকারের সংশ্লিষ্ঠ সংস্থা।
গতকাল রাত সাড়ে ১২ টায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদে ৬৮৪৬ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জিহাদ বিন আলী বেসরকারী ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সামাদ পেয়েছেন ৩৩৩৬ ভোট। কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদে ১০৯২২ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি প্রার্থী মো. শফিউল আলম পেয়েছেন ২২৮২ ভোট। এদিকে বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে হোয়ানক ইউনিয়নে ১৭১৮১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ মোস্তাফা কামাল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি প্রার্থী এনামুল হক পেয়েছেন ৭৩১৩ ভোট। মাতারবাড়িতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ  ৮৩৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি প্রার্থী রুহুল বাবার পেয়েছেন ৬৩১৫ ভোট। এদিকে গতকাল দিনভার নানা নাটকীয়তা চলেছে বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে। গভীর রাতে বড় মহেশখালীর রির্টানিং অফিসার সূত্রে জানাগেছে এখানে ৮ টি কেন্দ্রের ফলাফলে সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত উল্লাহ বাবুল ১১৪৪৬ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ শরীফ বাদশা পেয়েছেন ১০৬১০ ভোট। এখানে ৮৩৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন সতন্ত্র প্রার্থী। এই ইউনিয়নে ব্যালট পেপার ও ব্যলট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনার পটভূমিতে মগরিয়া কাটা একে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের স্থগিত করা হয়েছে। ফলে ওই কেন্দ্রে পুণ: নির্বাচন ছড়া ফলাফল ঘোষণা করা যাবেনা বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জারিয়েছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা কন্ট্রোল রুমে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ফলাফল আসছিল।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেছবাহ উদ্দিন জানান, আজ আনুষ্ঠানিকভাবে জয়ীদের নাম ঘোষনা করা হবে।
সাবরাংয়ে কে জিতেছে ? ঃ টেকনাফ ৩ টি ইউপির ফলাফল পাওয়া গেলেও সাবরাংয়ে ফলাফল পাওয়া যায়নি। জানা যায়নি বিজয়ী চেয়ারম্যানকে। সাবরাংয়ে জয়ী চেয়ারম্যান কে এ নিয়ে চলছে জেলা জুড়ে আলোচনা। কিন্তু গতকাল রাত সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত উপজেলা কিংবা জেলা কোন দায়িত্বশীল সংস্থা এ ব্যাপারে কথা বলেন নি। ওই ইউপির ফলাফল জানতে আইনশৃঙ্খলা  বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ  হয় বিদ্রোহী প্রার্থীর। এতে নিহত আ’লীগের বিদ্রোহ প্রার্থীর ছোট ভাই । এর আগে ভোট গণণাকে কেন্দ্র করে একই ইউপিতে নিহত হয় আরো এক যুবক। আহত হয় ২০ জন।
এছাড়া বিভিন্ন রকম খবর প্রকাশিত হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। কোথাও বিদ্রোহী প্রার্থীকে জয়ী কোথাও আ’লীগ প্রার্থীকে জয়ী বলা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ঠ কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি।
এদিকে  একটি সূত্র জানায়,সাবরাংয়ে ৭ হাজার ৭৭১ টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়্মাীলীগের প্রার্থী সোনা আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুর হোসেন পেয়েছেন ৭ হাজার ১৩৩ ভোট।
তবে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা  গতকাল রাত সাড়ে ১২ টায় জানান, সাবরাংয়ের ফলাফল এখনো তিনি পাননি।

পাঠকের মতামত: