ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মাতামুহুরী সেতুর এপ্রোচের সরকারি জমি উচ্ছেদে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

চকরিয়ায় নতুন মাতামুহুরী সেতুর এপ্রোচ অংশে সরকারি জমি উচ্ছেদে দূর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার নতুন মাতামুহুরী সেতুর নির্মাণের শুরুতে সেতুর এপ্রোচ অংশে সরকারি জমি উচ্ছেদে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ভুক্তভোগী একাধিক জমি মালিক অভিযোগ তুলেছেন, উচ্ছেদ অভিযানে থাকা সড়ক বিভাগ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে পক্ষপাতিত্ব করেছেন। তাঁরা দেখে দেখে গরীব মানুষের সম্পদ ভেঙ্গে দিয়েছেন। অপরদিকে গোপনে আর্থিক সুবিধা নিয়ে প্রভাবশালীদের সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। এ অবস্থার ফলে পক্ষপাতিত্বমুলক উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর মাতামুহুরী ব্রীজের এপ্রোচের উভয় পার্শ্বে রাস্তা সংলগ্ন সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারী জমি ও নতুন একোয়ারকৃত জমি উদ্ধারের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের একটি দল বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

অভিযোগ উঠেছে, উচ্ছেদ অভিযানে টাকা লেনদেনের মাধ্যমে অনেকের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী জমি মালিকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে উচ্ছেদকৃত ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, অভিযানের সময় স্থানীয় জমজম হাসপাতালের রাস্তা সংলগ্ন কয়েকটি দোকান ও একটি দ্বিতল ভবন গাছ পালা ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়েছে।

স্থানীয় একাধিক দোকানদার ও জমির মালিক অভিযোগ করেন তাদের দোকানঘর ভেঙ্গে দেওয়া হলেও চিরিঙ্গা মৌজার বিএস ৭৩৬ ও ৭৫৪ দাগের অধিগ্রহনকৃত জমিতে একটি দ্বিতল ভবনসহ কয়েকটি দোকান রহস্যজনক কারণে উচ্ছেদ করা হয়নি।

স্থানীয় জমি মালিক শাহাব উদ্দিন ওসমানী জানান, চলতিবছরের ২৬ মে ৬০৯২নং রিট মামলায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত চিরিঙ্গা মৌজার ৭৫৪ এবং ৭৩৬ দাগের ২৩ শতক জমি অধিগ্রহন করা হলেও অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে উল্লেখিত জায়গা স্থাপনা সম্পূর্ণ ভাবে উচ্ছেদ করা হয়নি। একইভাবে ৭৫৪ দাগের অধিগ্রহনকৃত জমিতে সোলাতান আহমদ সিরাজীর একটি দ্বিতল ভবন এখনো বিদ্যামান রয়েছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, উচ্ছেদকৃত জমিতে ফের দুবাই এহছান ও সোলতান সিরাজী গং আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুনরায় দোকান ঘর ও স্থাপনা নির্মাণের চেষ্ঠা করছে। নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকলে উক্ত জমির দখল নিয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের হানাহানির আশঙ্কা রয়েছে।

মাতামুহুরী সেতুর এপ্রোচ অংশের অধিগ্রহন জায়গা প্রসঙ্গে স্থানীয় জমজম হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: গোলাম কবির বলেন, আমাদের হাসপাতাল এরিয়ায় দোকান ও আরসিসি সাইন বোর্ড ইত্যাদির পক্ষে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও উচ্ছেদ করা হয়েছে। অথচ আমাদের হাসপাতালের পাশে সোলতান আহমদ সিরাজীর অবৈধ স্থাপনা এখনো বহাল আছে।

অপরদিকে চিরিঙ্গা মৌজার ৭৩৬ ও ৭৫৪ দাগের জমির মালিক দাবিদার শফিউল্লাহ গং উল্লেখিত দুইটি দাগের একোয়ারকৃত ২৩ শতক জমির সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারী দখলে আনার দাবী জানান। স্থানীয় ভুক্তভোগী অনেক জমি মালিক ও দোকানদার অভিযোগ তুলেছেন, অভিযানে আমাদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন কর হলেও স্বজনপ্রীতি ও দূর্নীতির মাধ্যমে অনেকের অবৈধ স্থাপনা রহস্যজনক কারণে উচ্ছেদ করা হয়নি। এটি কোন ধরণের আইন। ##

পাঠকের মতামত: