ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়া ও থাইল্যান্ডে সরকারি সফর শেষে চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরীকে সংবর্ধনা

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  দক্ষিণ কোরিয়া এবং থাইল্যান্ডের ৮দিনের সরকারি সফর শেষে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার চকরিয়ায় আগমন করলে চকরিয়া পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ, পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁকে পুষ্পমাল্য সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে চকরিয়া পৌরভবনস্থ হলরুমে প্যানেল মেয়র বশিরুল আইয়ুবের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংবর্ধিত চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাহাংগীর আলম বুলবুল, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোসলেহ উদ্দিন মানিক, সহ-সভাপতি আমান উল্লাহ আমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পৌরসভার বিল্ডিং পরির্দশক রাজিফ চৌধুরী।

সংবর্ধিত চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন – সকলের দোয়া ও সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধিনে ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সম্পদ একত্রিকরণ’ বিষয়ক কর্মশালায় অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন পর্যটন স্পট পরিদর্শন, আধুনিকমানের পর্যটন স্পট নির্মাণ, বিনোদন পার্ক, পরিবেশবান্ধব নিরাপদ পর্যটন জোন গঠনের অংশ হিসেবে ব্যাংককের পাতায়া সী-বীচে প্রশিক্ষণার্থীদের সরেজমিন ধারণা গ্রহন করেছি এবং থাইল্যান্ডে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন নগর উন্নয়ন প্রকল্পের রোল মডেল প্রশিক্ষণার্থীদের সম্মুখে উন্মোচন, পাশাপাশি সকলের জন্য বাসযোগ্য মডেল টাউন নির্মাণ, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরেজমিনে ধারণা নিয়ে আমি দেশে ফিরে এসেছি। তিনি আরো বলেন- আমার ৮ দিনের অর্জিত প্রশিক্ষণের আলোকে আমি চকরিয়া পৌরসভাকে সাজানোর চেষ্টা করবো। তিনি আরো বলেন- আমি জীবনে কারো সাথে বেঈমানি করি নি, ভবিষ্যতেও করবো না। আমি আমার এলাকার উন্নয়নে যা কিছু করা প্রয়োজন সবই করবো এবং চকরিয়া পৌরসভাকে মেগাসিটি হিসেবে উপহার দেব। এই জন্য আপনাদের পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।

অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া পৌর সচিব মাসউদ মুর্শেদ, পৌরসভার কাউন্সিল যথাক্রমে কাউন্সিলর মছুদুল হক মধু, রেজাউল করিম, জাফর আলম কালু, ফোরকানুল ইসলাম তিতু, জিয়াবুল হক, জামাল উদ্দিন, মুজিবুল হক, নজরুল ইসলাম, মহিলা কাউন্সিলর রাজিয়া সোলতানা খুকুমনি, রাশেদা বেগম, আন্জুমান আরা বেগম, আওয়ামীলীগ নেতা আমির হোসাইন আমু, চকরিয়া পৌরসভার কর আদায়কারী জহুরুল মওলা, সহকারী প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মৃনাল কান্তি ধর, হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা সফায়াত হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছৈয়দুল হক আজাদ, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার বানু, স্যানিটারী পরির্দশক হায়দার আলী, পৌর কর নির্ধারক ফরিদুল আলম, সহকারি হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছ, উচ্চমান সহকারী ওসমান গনী, অফিস সহকারী আবদুল হামিদ, সহকারী কর আদায়কারী নুরুল আবছার মুনিরী, রাকিব হাসান, মোহাম্মদ এমরান, ছলিম উল্লাহ, রাকিব হাসান চৌধুরী, আদায়কারী রাশেদ কামাল, জানে আলম, মৌলানা রিদুয়ানুল হক, পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক আবুল কালাম, আওলাদ কামাল, লাইসেন্স পরির্দশক কামাল হোসেন, ঠিকাদানকারী সুপার ভাইজার নাজেম উদ্দিন, সহকারী ঠিকাদানকারী চম্পক দত্ত, আবদুল লতিফ, মিনহাজ উদ্দিন, রফিক আহমদ, রুবি আক্তার, সার্ভেয়ার নুরুস ছমদ, মোহাম্মদ শফি, বিদ্যুত লাইনম্যান ফরিদুল আলম, রফিকুল আলম, শফিকুল কাদের, রুরাল চালক রুবেল, জিয়াউর রহমান, মাহামুদুল করিম, জুবায়ের, এমএলএলএস আলী আকবর, খোকন কুমার চৌধুরী, মৌলানা সাহাব উদ্দিন, মো. শফিকুল কাদের, নুরুল আমিন, আব্বাস উদ্দিন, হারুন, সেলিম ও অফিস সহায়ক আক্তার হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরীসহ দেশের বিভিন্ন পৌরসভার ২৬ জন মেয়র, একজন যুগ্ম সচিব, একজন সহকারী সচিব এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ৪ জন কর্মকর্তা গত ২৪ আগস্ট (শনিবার) রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং সেখান থেকে তাঁরা থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে সফর করেন। সফরকারীরা ৫দিন দক্ষিণ কোরিয়া এবং ৩দিন থাইল্যান্ডে প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।##

পাঠকের মতামত: