ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সিআইসি ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা: আটক ১০

ফারুক আহমদ, উখিয়া ॥

উখয়িা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিবাদমান দু’গ্রুপের সংর্ঘষ থামাতে গেলে ক্যাম্প ইনর্চাজ (সিআইসি) ও পুলশিরে ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা। রববিার রাত সাড়ে ১টার দিকে উখয়িার কুতুপালং রোহঙ্গিা ক্যাম্পের ই-টু ক্যাম্প এ ঘটনা ঘটছে। পুলশি জানায়, ক্যাম্পে আধপিত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নেতা ইউনুছ গ্রুপ ও ইসমাইল গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংর্ঘষ হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্প ইনর্চাজ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে পুলশিরে একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে রোহিঙ্গারা তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় ১০ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয় বলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল খায়ের জানান।

আত্মরর্ক্ষাথে পুলশি ১০/১২ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়লে রোহিঙ্গারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালেিয় যায়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথ অভিযান চালেিয় ১০ রোহঙ্গিাকে আটক করেছে। আটক রোহিঙ্গারা হলো, কুতুপালং ক্যাম্প-২ এর আব্দুর রহমানরে ছেলে মো. ইসমাইল (২৩), কুতুপালং ক্যাম্প ৬-এর মোহাম্মদ জলিলের ছেলে মাহমুদ হোসনে (৩০), ক্যাম্প ২-এর হাবিব উল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ আলম (১৮), ছৈয়দ আলমের ছেলে মোহাম্মদ (২৯), সাহাব মিয়ার ছেলে ভুট্টু আলম (৫০), ক্যাম্প ৭-এর শামশুল আলমের ছেলে মো. রফিক (১৪), ক্যাম্প ৬-এর মোহাম্মদ আয়ুবের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুছ (১৮), মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ রফিক (১৮), দিল মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন (১৮), ক্যাম্প ৭-এর জাহেদ হোসনের ছেলে খায়ের মোহাম্মদ (৫৫)। ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে।

একাধকি রোহঙ্গিা জানান, উখিয়ার কুতুপালং ২নং ক্যাম্পের অদূরে জনমানবহীন খেলার মাঠ ইসমাইল গ্রুপ নামে একটি রোহিঙ্গা দলের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তিন মাসে আগে মোহাম্মদ ইউনুছ নামের এক রোহিঙ্গা নেতা পুিলশের হাতে আটক হওয়ার সুযোগে ওই এলাকাটি দখলে নেয় ইসমাইল গ্রুপ। এক মাস পর ইউনুছ জেল থেকে ছাড়া পেয়ে খেলার মাঠ পুনরুদ্ধারে চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে এর আগেহ উভয় পক্ষরে মধ্যে বেশ কয়েকবার হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাত আড়াইটার দিকে রোহিঙ্গা নেতা ইউনুছ তার গ্রুপ নিয়ে মাঠটি দখলে নিতে গেলে দু-গ্রুপরে মধ্যে সংর্ঘষ শুরু হয়। কুতুপালং ক্যাম্প ইনর্চাজ রেজাউল করিম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহনিীর সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে উশৃঙ্খল রোহিঙ্গারা তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এ সময় আত্মরর্ক্ষাথে পুলশি ১০/১২ রাউন্ড রাবার বুেলট ছুড়লে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ১০ রোহিঙ্গাকে আটক করে। উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, ক্যাম্প ইনর্চাজ ও পুলিশের ওপর হামলা ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আটক ১০ রোহিঙ্গাকে বিকালে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ক্যাম্পে আরও নজরদারি বাড়িয়েছে এবং উশৃচ্ছৃঙ্খল রোহিঙ্গাদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে।

পাঠকের মতামত: