কক্সবাজার প্রতিনিধি ::
ভূমি অধিগ্রহন অফিসের কর্মকর্তারা দালাল নির্ভর হয়ে পড়ায় দালালের সংখ্যা বেড়েছে। এতে জমির মালিকরা আরো বেশী হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এখন দালালিতে নেমেছেন অনেক আইনজীবী, আইনজীবী সহকারি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা পর্যন্ত। জমির মালিকদের দাবী ভূমি অধিগ্রহন অফিসে জমির প্রকৃত মালিক ছাড়া অন্যদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে হয়রানি অনেকাংশে কমে আসবে।
কক্সবাজার ভূমি অফিস কেন্দ্রিক দালালি করতে গড়ে উঠেছে অনেক অফিস। শহরের বিলাসবহুল হোটেলও রয়েছে প্রভাবশালী দালাল চক্রের অফিস। এতে রয়েছে দালাল, দালালের সহকারি ও উপ-দালাল। বিগত সময়ে জেলা প্রশাসন ৩২ জন দালালের একটি তালিকা প্রকাশ করলেও এখন দালালের সংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক।
মহেশখালী হোয়ানকের জমির মালিক জাফর আলম জানিয়েছেন, আমি জমির মালিক হয়েও এখনো ভূমি অধিগ্রহন অফিসে প্রবেশ করতে পারিনি। একজন সার্ভেয়ারের পিছনে ৮/১০ জন করে দালাল আছে। এই দালালের কারণেই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কমিশনের টাকা অগ্রিম পেতেই সার্ভেয়ারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা দালালদের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আইনজীবী সহকারি জানান, অন্তত ২৫/৩০ জন আইনজীবী ও তাদের সহকারিরা আদালতে কাজ করেন না। তারা সার্বক্ষণিক ভূমি অধিগ্রহন অফিস নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এরাই এখন ভূমি অধিগ্রহন অফিসের শীর্ষ দালাল। ইতোমধ্যে কয়েকজন শীর্ষ দালাল বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাছে বিপুল টাকা অগ্রিম বিনিয়োগ করেছেন। এদের দৌরাত্ব বন্ধ করতে পারলে ভূমি অধিগ্রহন অফিসে শৃংখলা ফিরে আসবে।
কক্সবাজার ঝিলংজা ইউনিয়নের শাখাওয়াত হোসেন জানান, দালালরাই বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টির মাধ্যমে বেশী কমিশন আদায় করছেন জমির মালিকদের থেকে। সার্ভেয়ারদের সহযোগিতায় দালালরা এ সব কাজ করছেন। মাধ্যম দিয়ে না আসলে কমিশনের টাকা অগ্রিম পাওয়া যায় না। তাই ভূমি অধিগ্রহন অফিসে অবশ্যই মাধ্যম নিয়ে আসতে হয়। বর্তমানে দালালের বিরুদ্ধে যে অভিযানের কথা শোনা যাচ্ছে তা একেবারে লোক দেখানো। বিগত সময়ে এমন ঘোষনা অনেকে এসেছে, বাস্তবায়ন হয়নি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, কোন দালালের স্থান ভূমি অধিগ্রহন অফিসে হবে না। দালাদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে। জমির মালিক ছাড়া কোন দালাল অফিসে গেলেই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রকাশ:
২০১৯-০৩-১৬ ১০:৪৭:৫৩
আপডেট:২০১৯-০৩-১৬ ১০:৪৭:৫৩
- সরকার বিদেশ ফেরত কর্মীদের কর্মসংস্থান সুযোগসহ নানা সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন
- চকরিয়ায় মানিকপুরে চৌকিদারসহ ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদে বঙ্গবন্ধুর নতুন ভাস্কর্য ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনে সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ
- বৃদ্ধা মরিয়মের বাড়ি থেকে লুটে নেওয়া দুইটি গরু ১৭ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পেকুয়া থানা পুলিশ
- চকরিয়ায় মোটর সাইকেল থামিয়ে তল্লাশি, ৪ হাজার ৮শত পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
- চকরিয়া শাউউবি-২০০০ ব্যাচের বন্ধু ও পারিবারিক মিলিয়ন মেলা অনুষ্ঠিত
- চকরিয়ায় জমি বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী হামলা, গুলিবর্ষণ, গুলিবিদ্ধ হয়ে নারীসহ ৬ জন আহত
- অবৈধ গাছ পাচারে মাসিক ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় রেঞ্জ কর্মকর্তার
- কক্সবাজারে বিদ্যুৎ সংকট না থাকার আভাস : মিলছে চাহিদার পুরো ২০০ মেগাওয়াটই
- রুমা-থানচির ব্যাংক ডাকাতি: ১৮ নারীসহ ৫৬ জন কেএনএফ সদস্য গ্রেফতার, অস্ত্রসহ মাস্টারমাইন্ড ও সরঞ্জাম উদ্ধার
- চকরিয়ায় মোটর সাইকেল থামিয়ে যুবককে গুলি করে কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা: দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
- কক্সবাজারে বিদ্যুৎ সংকট না থাকার আভাস : মিলছে চাহিদার পুরো ২০০ মেগাওয়াটই
- চকরিয়ায় জমি বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী হামলা, গুলিবর্ষণ, গুলিবিদ্ধ হয়ে নারীসহ ৬ জন আহত
- চকরিয়ায় মানিকপুরে চৌকিদারসহ ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা
- রুমা-থানচির ব্যাংক ডাকাতি: ১৮ নারীসহ ৫৬ জন কেএনএফ সদস্য গ্রেফতার, অস্ত্রসহ মাস্টারমাইন্ড ও সরঞ্জাম উদ্ধার
- অবৈধ গাছ পাচারে মাসিক ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় রেঞ্জ কর্মকর্তার
- চকরিয়া শাউউবি-২০০০ ব্যাচের বন্ধু ও পারিবারিক মিলিয়ন মেলা অনুষ্ঠিত
- চকরিয়ায় মোটর সাইকেল থামিয়ে তল্লাশি, ৪ হাজার ৮শত পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
- বৃদ্ধা মরিয়মের বাড়ি থেকে লুটে নেওয়া দুইটি গরু ১৭ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পেকুয়া থানা পুলিশ
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদে বঙ্গবন্ধুর নতুন ভাস্কর্য ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনে সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ
- সরকার বিদেশ ফেরত কর্মীদের কর্মসংস্থান সুযোগসহ নানা সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন
পাঠকের মতামত: