ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিনটি মৎস্য সার্ভিস সেন্টার তালাবদ্ধ

এম.জাহেদ চৌধুরী, চকরিয়া ::

কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকা মৎস্য চাষের জন্য বেশ খ্যাত। এখানে রয়েছে কয়েক লাখ একর মাছের ঘের (প্রজেক্ট)। এসব ঘেরের মাছ বিক্রয় করে আয় হয় বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। মৎস্য চাষের সাথে জড়িত রয়েছে প্রায় লক্ষাধিক চাষি। এসব মৎস্য চাষিদের কথা চিন্তা করে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
মৎস্য চাষিরা যাতে তাদের আহরণ করা মাছ সংরক্ষণ করতে অসুবিধা না হয় সে কথা চিন্তা করে চকরিয়ায় তিনটি মৎস্য সার্ভিস সেন্টার (মাছ প্রক্রিয়াজাত করণ) নির্মাণ করে। কিন্তু এসব সার্ভিস সেন্টারগুলো বর্তমানে কোন কাজে আসছে না। অযতœ-অবহেলায় পড়ে রয়েছে এসব সার্ভিস সেন্টারগুলো। স্থানীয় লোকজন এসব সার্ভিস সেন্টারগুলো গো-চারণ, খড় শুকাতে দেয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছে। যার কারণে এসব সার্ভিস সেন্টার মৎস্য চাষিদের কোন কাজে আসছেনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯০-৯১ সালে মাছ সংরক্ষণের জন্য চকরিয়ায় তিনটি সার্ভিস সেন্টার নির্মাণ করা হয়। চকরিয়ার ডুলাহাজার, সাহারবিলের ছোয়ার ফাঁড়ি এবং চিরিংগা ইউনিয়নের পালাকাটা এলাকায় মৎস্য সার্ভিস সেন্টার তিনটি নির্মাণ করতে প্রায় কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। যেখানে মৎস্য চাষিরা তাদের আহরণকৃত মাছ ঘের থেকে এনে সার্ভিস সেন্টারে সংরক্ষণ করবে এবং বরফ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করবেন। পরে এসব মাছ দেশে-বিদেশে রপ্তানী করবে।

ডুলাহাজারা মৎস্য সার্ভিস সেন্টার ঘুরে দেখা গেছে, সার্ভিস সেন্টারটির দু’পাশে দুটি লোহার গেইট রয়েছে। এসব গেইটে লাগানো রয়েছে তালা। তালা লাগানো থাকলেও স্থানীয় লোকজন গেইট টপকে খড় স্তপ করে রেখেছে। কেউ কেউ আবার গরুও পালন করছে। অনেকটা অযতেœ-অবহেলায় পড়ে রয়েছে সার্ভিস সেন্টারটি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চকরিয়া নিউজকে বলেন, এখানে যে একটা মৎস্য সার্ভিস সেন্টার রয়েছে তা আমার জানা নেই। আপনার কাছ থেকে শুনলাম। কি কারণে বন্ধ রয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখবো।
স্থানীয় মৎস্য চাষি নজরুল ইসলাম চকরিয়া নিউজকে বলেন, সার্ভিস সেন্টারটির পাশে কয়েক হাজার একর মাছের ঘের রয়েছে। একসময় ভোরে ঘের থেকে মাছ এনে এই সেন্টারটিতে সংরক্ষণ করতাম। কিন্তু দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে সার্ভিস সেন্টারটি বন্ধ রয়েছে। যার কারণে আমাদের স্থানীয়ভাবে নির্মিত বরফ কলগুলোতে মাছ প্রক্রিয়াজাত করতে হয়।
এব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো.সাইফুর রহমান চকরিয়া নিউজকে বলেন, সরকার এলাকার মৎস্য চাষিদের কথা চিন্তা করে কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি মাছ প্রক্রিয়া করণের জন্য সার্ভিস সেন্টার নির্মাণ করে। কিন্তু এসব সার্ভিস সেন্টারগুলো কোন কাজে আসছেনা। তা আমাদের জন্য খুবই উদ্ধেগের।
তিনি আরো বলেন, সার্ভিস সেন্টার তিনটি ইজারা দেয়া হয়েছে। কিন্তু কি কারণে সার্ভিস সেন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে তা খতিয়ে দেখবো।

পাঠকের মতামত: