ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার এলও অফিস থেকে ৪ দালাল আটক, কারাদন্ড 

নিজস্ব প্রতিবেদক ::  কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আওতাধীন ভূমি অধিগ্রহন শাখা থেকে ৪ দালালকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় তাদের আটক করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আশরাফুল আফসার। আটককৃত দালালরা হল মহেশখালী কালামারছড়া এলাকার নাজির আহমদের ছেলে খোরশেদ, একই এলাকার মঈনুল আলমের ছেলে রকি উল্লাহ, মাতারবাড়ীর জাবের আহমদের ছেলে কাইয়ুম ও হোয়ানকের মোঃ ছব্বিরের ছেলে ইব্রাহীম। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে রকিউল্লাহ ও কাইয়ুমকে ১০ দিন ও অপর ২ জনকে ২০ দিন কারাদন্ড কারাদন্ড প্রদান করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সেলিম শেখ। অভিযান টের পেয়ে  চিহ্নিত দালাল বদরু, হামিদ উল্লাহ ও গিয়াস উদ্দীন আবু পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেলিম শেখ জানান, সরকারী কাজে বাঁধাপ্রদান ও এলও শাখার কর্মকর্তা-কমচারীদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়। দন্ডিতদের সদর মডেল থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভূক্তভোগীরা জানান, এলও অফিসকেন্দ্রীক গড়ে ওঠেছে অন্ততঃ হাফ ডজন শক্তিশালী সিন্ডিকেট।আদালতপাড়া ও শহরের বিভিন্নস্হানে গড়ে ওঠেছে দশটিরও বেশী দালাল অফিস। টাউটদের এসব অফিস থেকে  নিয়ন্ত্রণ হয় দালালিপনা। তাদের দাবীকৃত অগ্রিম কমিশন দিলেই মেলে ক্ষতিপূরণের চেক।  ঈদগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের একসময়ের উমেদার ও চৌফলদন্ডী হায়দার পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে বদরুদ্দোজা ওরফে বদরু, ইসলামাবাদ সিকদার পাড়ার মৃত মোঃ আলমের ছেলে হামিদ উল্লাহ ও  একই এলাকার মৃত শফিউল আলমের ছেলে গিয়াস উদ্দীন আবু কয়েকটি দালাল সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করছে বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে জমির মূল মালিকরা। এদের কাঙ্খিত টাকা না আগ্রীম না দিলে আটকিয়ে রাখে ক্ষতিপূরণের চেক। এদের কারনে দোহাজারী কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে অধিগ্রহনকৃত জমির ক্ষতিপূরনের চেক পেতে রকমারী হয়রানী পোহাচ্ছে জমি মালিকরা। এসব দালালরা কখনো এলও অফিসের স্টাফ, আবার কখনো উপরস্হ কর্মকর্তার আস্থাভাজন লোক পরিচয় দেয়। সুযোগ বুঝে অনেকে সরকারী দলের পরিচয় দিয়েও চলে ।

অনুসন্ধানে শহরে অন্তত ১০টি দালাল অফিসের সন্ধান মেলেছে। এর মধ্যে জেলা আইনজীবি সমিতি ভবনের উত্তর দিকে অফিস নিয়ে দালালী নিয়ন্ত্রন করছে বদরু, হামিদ উল্লাহ ও গিয়াস উদ্দীন আবু।

পাঠকের মতামত: