ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়া উপজেরা নির্বাচন প্রভাবমুক্ত হলে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবো -ফজলুল করিম সাঈদী

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার ::
আসন্ন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণায় দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম-এর বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ফজলুল করিম সাঈদী।

আজ রবিবার (১০ মার্চ) বিকালে কক্সবাজারে একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে ফজলুল করিম সাঈদী এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন- এমপি জাফরের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হলে তিনি লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, ১৮ মার্চ, ২০১৯ অনুষ্ঠিতব্য চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আসছি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। কিন্তু দু:খের বিষয় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী স্থানীয় নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় জাতীয় সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণে বিধি-নিষেধ রয়েছে। একই বিধি-নিষেধ আরোপ রয়েছে মেয়র, চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় আচরণবিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কক্সবাজারের-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম বি.এ (অনার্স), এম.এ, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, চিরিংগা ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম আমার প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী তথা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে বদরখালী, বিএমচর, হারবাং, কৈয়ারবিল, চিরিংগা, কাকারা, ডুলাহাজারা, সাহারবিল ও চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশে প্রকাশ্যে বক্তৃতা, মিছিল সমাবেশের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, আমার প্রতীক আনারস মার্কার সমর্থকদের ১৮ মার্চ ভোট কেন্দ্রে না যেতে প্রকাশ্যে-গোপনে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও উল্লেখিত মেয়র, চেয়ারম্যান’রা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে কোমর বেঁধে শক্ত অবস্থান নেয়ায় আমার হাজারো কর্মী, সমর্থক ও সচেতন ভোটাররা চরম আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছে।

সাঈদী বলেন, আমিও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজপথের নির্যাতিত লড়াকু সৈনিক। আমি চাই, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের আসন্ন ১৮ মার্চ ২০১৯ এ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হোক। নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হোক। আমি সর্বদা চেষ্টা করেছি, জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে উনার হাতকে শক্তিশালী করতে। যেহেতু আমি প্রতীক না পেলেও আওয়ামী পরিবারের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে কোন কেন্দ্রীয় নির্দেশনা নেই, সেহেতু আমার নেতা, আমি ও আমাদের পরিশ্রমের ফসল কক্সবাজার-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম বি.এ (অনার্স) এম.এ-এর আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষ অবস্থান আশা করছি। উনার উদারতায় চকরিয়ার জনগণ সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে যে কাউকে বিজয়ী করলে আমার কোন আপত্তি নেই। চকরিয়ার জনগণের যে কোন সিদ্ধান্ত আমি মাথা পেতে নেব।

এছাড়া তিনি, নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি ভঙ্গকারী উপরোক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট জোর দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রশিদ, কক্সবাজার ক্রীড়া লেখক সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

পাঠকের মতামত: