ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে দুর্নীতি সম্পর্কিত সংবাদ প্রসঙ্গে সাবেক অধ্যক্ষ রেজাউল করিমের বক্তব্য

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ::  সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে দুর্নীতি হয়েছে মর্মে নানা শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এ প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য এবং ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ২০ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার ভুয়া ফার্নিচার বিল আটকে দেয়ার বিষয়টি সত্য নয়। এখনো এসব ফার্নিচারের বিল করা হয়নি এবং কোন সরকারী তহবিল ব্যয় হয়নি। যার বিলই হয়নি তা ভুয়া বিল কিভাবে হলো? ফার্নিচার সমূহ গত ২ বছর ৩ মাস ধরে কলেজ ও হোষ্টেলে ব্যবহার হচ্ছে। আসবাব পত্রগুলি নিম্নমানের বলে যে কথা উল্লেখ্য করা হয়েছে তাও সত্য নয়। যে কেউ আসবাব পত্রগুলি দেখতে পারেন। দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয় প্রক্রিয়ায় কাউকে কাজ দেয়ার ব্যাপারে কারো একক ক্ষমতা নেই। আসবাব পত্রগুলির দাম অন্যান্য মেডিকেল কলেজ কর্তৃক ক্রয়কৃত আসবাব পত্রের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ। উম্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে আসবাব পত্রের দাম এরকমই হয়ে থাকে কারন দরপত্রে উল্লেখিত দামের সাথে ভ্যাট, আইটি, মুনাফা ও অন্যান্য ব্যয়ও ধরা হয়ে থাকে। প্রতিবেদকরা আমার সাথে কোন কথা না বলে আমার মতামত না নিয়ে বিষয়টি অতিরঞ্জিত করে প্রতিবেদন করেছেন যা কাম্য নয়।

তিনি বলেন, ২০১১ সালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয় এবং মাত্র ৬ বছরের মধ্যে মে’ ২০১৭ সালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়। ২০১৩ সালে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয় এবং মাত্র ৪ বছরের মধ্যে এপ্রিল, ২০১৭ সালে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়। অথচ, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ২০০৮-২০০৯ সেশনে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি শুরু হয়। আমি অধ্যক্ষ হিসাবে কর্মকালীন সময়ে ০৬/০৫/২০১৭ ইং তারিখে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ উদ্বোধন করেন ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু গত ১১ বছরেও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। কবে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হবে তা অনিশ্চিত। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নিরবতা হতাশাজনক। এটা কক্সবাজারবাসীর প্রতি এক ধরনের অবিচার। সমাজকে আঘাত করা আর সমাজের অবিচারকে আঘাত করা এক বিষয় না। আমি সমাজ গড়তে সমাজের অবিচারকে আঘাত করতে চেয়েছি।

তিনি বলেন, কক্সবাজার মেডিকেল প্রায় দেড় বছর অধ্যক্ষ হিসাবে কর্মরত ছিলাম। আমার কর্মকালীন সময়ে কলেজের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আগে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে কোন নিয়ম শৃংখলা ছিলনা (দৈনিক কক্সবাজার, ০২/০৭/২০১৪ ইং) । ছিলনা ভালো কোন লাইব্রেরী, লেকচার হল, ভাল ক্লাশ রুম, ডিসেকশন হল, ল্যাব, কনফারেন্স রুম ইত্যাদি। ক্লাশে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল নাম মাত্র ১০-১৫%। ক্লাশ রুমে প্রায়ই গানের আসর বসত, বার বি কিউ হত, রাতে নাচা-নাচিও চলত। কলেজটি ছিল যেন একটা অন্ধকার জগৎ। ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে প্রয়োজনীয় উপস্থিতি না থাকলেও বিশ্ব-বিদ্যালয়ের পরীক্ষা দেওযার সুযোগ করে দেওয়া হত। এমন নজির ও আছে কার্ড শেষ না করে, টার্ম পরীক্ষা পাশ না করে, ৫% এর কম ক্লাশ করেও কেউ কেউ বিশ্ব- বিদ্যালয়ের প্রফেশনাল পরীক্ষা দিয়েছে। বিএমডিসি ও বিশ্ব- বিদ্যালয়ের কারিকুলামের কোন নিয়ম মানা হতনা। পরীক্ষা অনুষ্ঠানে কোন সুষ্ট নিয়ম ছিলনা। এক কথায় এই কলেজ থেকে নিম্নমানের চিকিৎসক তৈরি হচ্ছিল। ছাত্র-ছাত্রীদের কোন হোষ্টেল ছিলনা। ৫ টি ভাড়া বাড়ীতে ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থান করতে হত। এমতাবস্থায় তিনি ১৯/১২/২০১৫ ইং তারিখে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। এরপর নানা পদক্ষেপ গ্রহন করে কলেজে শৃংখলা ফিরিয়ে আনেন (দৈনিক রুপসীগ্রাম, তারিখ ০৫/০৬/২০১৬ ইং ও দৈনিক কক্সবাজার ৭১, তারিখ ০৫/১১/২০১৬ ইং)। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ২৯ টি কর্মচারীর পদ দীর্ঘ ১১ বছরেও পুরণ করার অনুমোদন দেয়া হয়নি। ২০০ শিক্ষকের পদ থাকার কথা থাকলেও সৃস্টি করা হয়েছে মাত্র ৮৭ টি পদ। তারও আবার ৫০% পদ অদ্যাবধি শুন্য আছে।

অধ্যক্ষ রেজাউল করিম জানান, তাহার প্রচেষ্ঠায় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা সহ শিক্ষার্থীদের সুষ্ট  শিক্ষা ও নবজাতক রুগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়। ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি বেড়ে ৯৫% এ উন্নীত হয়। বিএমডিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পর পর ২ বার মে’ ২০১৬ ও মে’ ২০১৭ সালের ১ম প্রফেশনাল এমবিবিএস পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৪ টি কলেজের মধ্যে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ পাশের হারে ১ম হয়। কর্মচারীদের পদগুলি সংরক্ষণ করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। কলেজের ২ টি গাড়ীর ৪ বছর পূর্বে মেয়াদ উত্তীর্ণ কাগজ পত্র হাল নাগাদ করা হয়। ১৩,৬০,৯৮৭ টাকার বকেয়া বিদ্যুত বিল পরিশোধ করা হয়। পরিমিত বিদ্যুৎ ব্যবহার ও সুষ্ট তদারকির ফলে কলেজে মাসিক ৮০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল ১৫০০০/- হাজার নামিয়ে আনা হয়। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রুগীর জন্য ৩০ টি কেবিন চালু করা হয়। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ নির্মাণ পরিকল্পনায় সীমানা প্রাচীর ছিলনা। তিনি বাজেট বরাদ্দ করে ৩১ একর এলাকা ব্যাপী সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার ব্যবস্থা করেন। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ নির্মাণ পরিকল্পনায় শহীদ মিনার ছিলনা। তিনি শহীদ মিনার নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহন করেন। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে বাদ পড়া ৩৪ শতক জায়গা অধিগ্রহনের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদনের ব্যবস্থা করেন। কলেজ নির্মাণ পরিকল্পনায় আগমন পথে কোন গেইট ছিলনা । অধ্যক্ষ রেজাউল করিম কলেজের আগমন পথে একটি গেইট নির্মান করে অবৈধ যানবাহন চলাচল ও পার্কিং বন্ধ করেন। তিনি ক্যাম্পাসে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে দীর্ঘ ৯ বছর পড়ে থাকা ৫২ সিটের বাস গাড়ী প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মেরামত করে তিনি কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসেন। এই বাসে করেই ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজ থেকে হাপাতালে ক্লিনিক্যাল ক্লাসের জন্য দুবেলা যাতায়াত করে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে কোন ক্লাশ রুম ছিলনা। শিশু ওয়ার্ডের পাশে সদর হাসপাতালের ৩ তলায় ১ টি সুন্দর ক্লাশ রুমের ব্যবস্থা করেন। সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বিশেষ নব জাতক ইউনিট (স্ক্যানো) তিনি দেখাশুনা করার দায়িত্ব পালন করেন এবং নব জাতকের চিকিৎসা সেবার অনেক উন্নতি সাদন করেন। স্ক্যানোতে প্রায়ই ১০০% ঔষধ বিনা মূল্যে পাওযার ব্যবস্থা করেন। সারা দেশের ৪২ টি স্কানোর মধ্যে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের স্ক্যানো মুল্যায়নে ২য় স্থান লাভ করে। তিনি থাকাকালীন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও হোষ্টেল নতুন ভবনে স্থানান্তর করেন। তিনি যোগদানের পর কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ও শিশু বিভাগের স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ান এন্ড সার্জনস (বিসিপিএস) কতৃক স্বীকৃত হয়। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের জার্নাল বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) কতৃক স্বীকৃত হয়। তাহার সময়ে কলেজে গভীর নলকূপ স্থাপন করে কলেজের নতুন ভবনে পানির ব্যবস্থা করা হয়। জাতীয় গ্রীড লাইনের সাথে কলেজের বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে টেলিফোনের অপটিক ফইবার ক্যাবল সংযোগ স্থাপন করা হয়। ৬ই মে’ ২০১৭ ইং তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কতৃক কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করার ব্যবস্থা করেন। তিনি কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে সুন্দর একটি লাইব্রেরী করেন। তিনি বলেন একটি সুন্দর মান সম্পন্ন কলেজ গড়া ও মান সম্পন্ন চিকিৎসক তৈরীর চেষ্ঠা করেছিলেন। তাহার প্রচেষ্ঠায় গত ২ বছরে সরকারের ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার রাজস্ব সাশ্রয় হয়। তিনি সরকারের পক্ষে কলেজের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের বিরুদ্দে করা মামলা লড়েন।

২ একরের মত কলেজের সংযোগ সড়কটি কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য অধিগ্রহন কৃত জায়গা। কিন্তু তার দু পাশে এমনভাবে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে যেন এ সড়ক তাদের বাড়ীর উঠোন। ইমারত নির্মাণ আইন’ ১৯৫২ এবং ইমারত নির্মান বিধিমালা’ ১৯৯৬ মেনে স্থাপনা নির্মাণের জন্য ১৮/০২/২০১৭ ইং তারিখে স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন । অধ্যক্ষ রেজাউল করিম অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ, বিদ্যুত বিভাগ, পরিবেশ বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেন।

কক্সবাজার একটি বিশ্বমানের পর্যটন শহর এবং প্রায় প্রতিদিন বহু দেশি বিদেশী পর্যটক ও অনেক ভিআইপি ব্যক্তিরা কক্সবাজার ভ্রমন করেন। অবহেলিত, অনগ্রসর ও বিশৃংখল

অবস্থার অবসান করে মেডিকেল কলেজটি মানসম্মত চিকিৎসক তৈরীর লক্ষ্যে গড়তে চেয়েছিলেন। লক্ষ্য ছিল ২০১৬ সালের মধ্যে নতুন ক্যাম্পাসে কলেজ ও হোষ্টেল স্থানান্তর করার। সিনিয়র শিক্ষকের তীব্র সংকট ছিল, অনেক বিভাগে কোন অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ছিলনা এবং সময়ের স্বল্পতার কারনে তাই কিছু কিছু সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক কতৃপক্ষ ও ক্রয় কারী হিসাবে সরল বিশ্বাষে অধ্যক্ষকে নিতে হয়েছে যা না হলে নতুন ক্যাম্পাসে কলেজ ও হোষ্টেল স্থানান্তর করা সম্ভব হতোনা। কলেজটি যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই থেকে যেত। ইচ্ছা ছিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাজ শুরু করার। ২৫০ শয্যার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে দৈনিক ৫০০ এরও বেশী রুগী ভর্তি হয়। স্থান সংকুলান হয়না। হাসপাতালের ফ্লোরে ও হাটার জায়গায় রুগী রাখতে হয়। এ দুর্গতির শেষ হওয়া উচিৎ।

৫০০ শয্যার হাসপাতাল হলে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ১০০-১২০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হবে। ডিপিপি পাশ করা হোষ্টেল সমূহ ৬ তলা হবে এবং কলেজ ভবন ভার্টিকেল ও হরাইজেন্টাল সম্প্রসারণ হবে। তা ছাড়া ক্লিনিক্যাল বিভাগ সমূহ হাসপাতালে অবস্থান করে বিধায় সেখানে বেশ কিছু ফার্নিচারের প্রয়োজন হবে। কলেজের মাল্টিপারপাস হলে ও অডিটরিয়ামে অনেক ফার্নিচার লাগবে। প্রত্যেক বিভাগে মিনি কনফারেন্স রুম করার জন্য ও বেশ কিছু ফার্নিচার লাগবে। এসব বিবেচনায় নিয়ে ফার্নিচারের কার্যাদেশ দেয়া হয়। হয়ত অসাবধানতাবশতঃ কিছু ফার্নিচারের বেশী কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে বলে মনে হতে পারে যা পরবর্তীতে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু ফার্নিচরগুলির মান ভাল ও দাম অন্যান্য মেডিকেল কলেজের দরপত্রের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ।

৬ই মে’ ২০১৭ ইং তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কতৃক কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন কিন্তু আজও হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সংযোগ সড়কের দুদিকে নির্মাণ আইন’ ১৯৫২ এবং নির্মাণ বিধিমালা’ ১৯৯৬ অমান্য করে অনেক অবৈধ স্থাপনা গড়ে গড়ে উঠছে। সংযোগ সড়কের দুদিকে সীমানা প্রাচীর নির্মান অতীব প্রযোজনীয় বিষয়। সীমানা প্রাচীর না থাকায় সংযোগ সড়কে বাস ট্রাক পার্কিং করে থাকে করে যাহা কলেজের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারীদের যাতায়াত ও যানবাহন চলাচলে বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করে থাকে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা না হলে সংযোগ সড়কে বাজার বসবে এবং ভবিষ্যতে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের যানবাহন ও এম্বুলেন্সে চলাচলে অসুবিধা হবে। অবিলম্বে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু এবং সংযোগ সড়কের দুদিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

নিবেদক :

অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ রেজাউল করিম

সাবেক অধ্যক্ষ, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ।

পাঠকের মতামত: