ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

চকরিয়ায় ৬ লাখ জনগনের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে একশ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে সরকারি হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সভা গতকাল শনিবার দুপুরে হাসপাতাল মিলনায়নে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠিত সভায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্য, চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনের সংসদ সদস্য চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম। সভার আগে হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষথেকে নবনির্বাচিত এমপি আলহাজ জাফর আলমকে সংবর্ধিত করা হয়।
চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ শাহবাজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান, স্বাস্থ্য বিভাগ চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক ডা.আবদুস সালাম, চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত আতিক উল্লাহ, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো.নুরুল আবছার, কমিটির সদস্য ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নোমান, উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা.শোভন দত্ত, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান কান্তি রুদ্র, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারি প্রকৌশলী মোরশেদুল আলম, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরী, কার্যকরি সভাপতি ছোটন কান্তি নাথ, অর্থসম্পাদক এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর জিয়াবুল হক, হাসপাতাল কমিটির সদস্য চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোসলেহ উদ্দিন মানিক প্রমুখ।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ জাফর আলম বলেছেন, চকরিয়া উপজেলা বাংলাদেশের মধ্যে একটি সম্ভাবনায় জনপদ। এই জনপদে ৬ লাখ মানুষের বসবাস। এত পরিমাণ জনগনের একটি উপজেলায় অতীতে চিকিৎসাখাতে চরম নাজুক অবস্থা ছিল। তবে বর্তমান সরকারের সফল উদ্যোগের কারনে ইতোমধ্যে সারাদেশের মতো চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলায় চিকিৎসাখাতে অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি এখানে বিপুল পরিমাণ বেসরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে।
তিনি বলেন, চিকিৎসাখাতের উন্নতির কারনে এখন দুই উপজেলার সর্বস্তরের জনগনের মাঝে সুচিকিৎসা নিশ্চিত হচ্ছে। আগামীতে জনগনের মাঝে সেবার মান আরো বাড়াতে হবে। সেইজন্য হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এতে ব্যর্তয় ঘটলে সংশ্লিষ্টদেরকে জবাবদিহিতা করতে হবে।
সভায় এমপি জাফর আলম আরও বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার দেশের স্বাস্থ্যখাতের অগ্রগতিতে কাজ করছেন। সেইলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক সহযোগিতায় চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালকে ৫০ সয্যা থেকে একশত শয্যায় উন্নীত করা হচ্ছে। বর্তমানে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দে হাসপাতালের আধুনিকায়নে উন্নয়ন কাজ চলছে। কাজের স্বচ্ছতা ঠিক রেখে যথাসময়ে নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। সেইজন্য স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করতে হবে।
হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহবাজ বলেন, চকরিয়া উপজেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করতে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এখানে নতুন ভবনটি হবে চার তলা বিশিষ্ট। ভবনটি নির্মিত হলে উপজেলার ১৫ লাখ মানুষ উন্নত স্বাস্থ্য সেবা পাবে।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারি প্রকৌশলী মোরশেদুল আলম বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডিসিএল ম্যাগ জয়েন্ট ভ্যান্সার কার্যাদেশ প্রাপ্তির পর ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে হাসপাতালের নতুন অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হবে পাঁচটি আধুনিকমানের নতুন ভবন।
তিনি বলেন, হাসপাতালের একশত সয্যায় উন্নীতকরণে সাততলা ফাউন্ডেশনে ৪তলা বিশিষ্ট নতুন হাসপাতাল ভবন, হাসপাতালের তত্তাবধায়কের বাসা, ৫তলা বিশিষ্ট হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টার, ৫তলা বিশিষ্ট হাসপাতালের নার্স কোয়ার্টার ও ডক্টরস কোয়াটার। এছাড়া নির্মিত হচ্ছে গাড়ির রাখার গ্যারেজ এবং চালক হাউজ। কাজের গুনগতম মান ঠিক রেখে স্বচ্ছতার মাধ্যমে নির্মাণ কার্যক্রম সমাপ্ত করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক নজরদারি রয়েছে।

পাঠকের মতামত: