ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় র‌্যাব সদস্য বরের প্রতারনায় বিয়ের পিড়িঁতে বসতে পারলেনা লাভলী

Protarona_1-300x160নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :::
চকরিয়ায় র‌্যাব সদস্য বরের প্রতা রণার কারনে বিয়ের পিঁিড়তে বসতে পারলেনা লাভলী রুদ্র রিপা। দুই পক্ষের কথা মতো গতকাল বৃহস্পতিবার ধার্য্য করা হয় বিয়ের দিন। এদিন বরপক্ষের ৫শত জনের জন্য উপজেলার ফাসিয়াখালীস্থ হক স্কয়ার নামের ক্লাবে আপ্যয়নের আয়োজনও করেন কণে পক্ষ। আগেরদিন বুধবার কনের বাড়িতে আয়োজন করা হয় সনাতন ধর্মের রীতি অনুযায়ী অষ্ঠদুর্গা অনুষ্টান ও বস্ত্রালঙ্কার অনুষ্টান। এতে যোগ দেন বর ও কনে পক্ষের আড়াই শত মেহমান। অবশ্য এসব অনুষ্টানের আগে বর পক্ষের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় কনে পক্ষের ক্রয়কৃত আসবাবপত্র, স্বর্ণালঙ্কার ও কাপড়-চোপড়সহ প্রায় মালামাল। কিন্তু বিয়ের দিনই বর খোকন রুদ্র প্রতারণার আশ্রয় নেন। কনে লাভলী মানষিকভাবে অসুস্থ এমন ইস্যু তুলে তাকে বিয়ে করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন প্রতারক বর। এরপরও কনে পক্ষের লোকজন দিনভর বিয়ের ক্লাবে কনে লাভলীকে নিয়ে উপস্থিত থাকলেও শেষ পর্যন্ত নববধুকে ঘরে তুলতে আসেনি বর পক্ষের কেউ। এতে বিস্মিত হন কনের পরিবার। বিয়ের এসব আয়োজনে কনে পক্ষের প্রায় ৬লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। এ ঘটনায় কনের পরিবার ও এলাকাবাসির মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসি জানায়, উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের রুদ্রপাড়া গ্রামের রনজিত রুদ্রের মেয়ে লাভলী রুদ্র (রিপা)’র সাথে দুইবছর ধরে মন দেয়া নেয়া চলছিল একই উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের রুদ্রপাড়া গ্রামের নিরঞ্জন রুদ্রের ছেলে র‌্যাব সদস্য খোকন রুদ্রের সাথে। কয়েকমাস আগে বিষয়টি দুইজনের পরিবার সদস্যরা অবগত হয়েছেন। এরপর দুইজনের প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে উভয়ের পরিবার সদস্যরা এলাকার গন্যমান্য লোকজনের উপস্থিতিতে কথা বার্তার মাধ্যমে বিয়ের দিনক্ষন চুড়ান্ত করেন বৃহস্পতিবার (১০মার্চ)। এদিন বরপক্ষের ৫শত জনের জন্য উপজেলার ফাসিয়াখালীস্থ হক স্কয়ার নামের ক্লাবে আপ্যয়নের আয়োজনও করেন কণে পক্ষ। আগেরদিন বুধবার কনের বাড়িতে আয়োজন করা হয় সনাতন ধর্মের রীতি অনুযায়ী অষ্ঠদুর্গা অনুষ্টান ও বস্ত্রালঙ্কার অনুষ্টান। এতে যোগ দেন বর ও কনে পক্ষের আড়াই শত মেহমান।
কনের পরিবার সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, বৃহস্পতিবার তাঁরা যথারীতি কণে লাভলীকে নিয়ে বিয়ের ক্লাবে উপস্থিত হন। কিন্তু কনে লাভলী মানষিকভাবে অসুস্থতার বানোয়াট অজুহাত তুলে বর খোকন রুদ্র প্রতারনার মাধ্যমে তাকে (লাভলী) বিয়ে করতে পারবেনা বলে জানিয়ে দেন। তারপরও কনেসহ পরিবার সদস্যরা বিয়ের ক্লাবে উপস্থিত থাকলেও দিনভর বরপক্ষের কেউ নববধুকে ঘরে তুলতে আসেনি। এ ঘটনায় কনের পরিবার ও আমন্ত্রিত অতিথিরা রীতিমত হতবাক হয়ে পড়েন।
কণের স্বজনরা জানান, ঘটনাটি এদিন স্থানীয় ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে অবহিত করা হয়েছে। ওইসময় তিনি ঘটনাটি যেহেতু সনাতন ধর্মের তাই ধর্মীয় পন্ডিতদের নির্দেশনা মতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কণের পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, বিয়ের কথার্বাতা চুড়ান্ত থাকার পর কণেকে নিয়ে যেতে বর পক্ষ না আসার ঘটনাটি খুবই দু:খজনক। কণে পক্ষ চাইলে এব্যাপারে আইনের আশ্রয় র্নিতে পারে। #

পাঠকের মতামত: