ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

 চকরিয়ার অলিগলিতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা, যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা

আবদুল করিম বিটু, চকরিয়াঃ  কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা জুড়েঁ বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সনদ ছাড়ায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের শত শত দোকান। আগুন নির্বাপক যন্ত্র না থাকার কারণে জনবহুল এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্যবসায় প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা।

বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়াই চকরিয়ার রাস্তাঘাট, বাজার এলাকা ও সড়কের মোড়ে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার। শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানির ব্যবসা চলছে অহরহ। কারও কাছে আবার ট্রেড লাইসেন্সও নেই। ফলে যেকোন সময় বিস্ফোরণ ও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এলপি গ্যাস প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর ডিলাররা বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সনদ নিলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা সিলিন্ডার মজুদে আইন অনুসরণ করছে না। ব্যবসা পরিচালনার সাধারণ ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করলেও ১০টির বেশি সিলিন্ডারে আবশ্যকীয় সনদ তাদের নেই। মুদি দোকান, হার্ডওয়্যার দোকান, ক্রোকারিজ ও কসমেটিকস দোকান মালিকরা পর্যন্ত খোলামেলা অবস্থায় গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে আসছেন। এছাড়া ওই সব দোকানে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার রাখার নিয়ম থাকলেও দোকানের মালিকরা তা মানছে না।

কয়েকটি দোকানে এ গ্যাস সিলিন্ডার থাকলেও তার বেশিরভাগই মেয়াদ উত্তীর্ণ। অথচ নিয়ম অনুযায়ী এলপি গ্যাস ব্যবহার, বিপণন ও বাজারজাত করতে হলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ীকে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার বাধ্যতামূলক সংরক্ষণ করার কথা। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের প্রায় ব্যবসায়ীর এলপি গ্যাস বিক্রির বৈধ লাইসেন্স নেই।

আইন অমান্য করে ব্যবসায়ীরা দোকানে ও গুদামে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া ব্যবসায়ীরা দোকানের সামনের ফুটপাতে, জনাকীর্ণ এলাকায় যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখে বিক্রি করছেন। এর ফলে যে কোন মুহূর্তে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মাধ্যমে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

খুচরা এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের বেশির ভাগই আইনগত বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে অবগত। তার পরও তদারকির অভাবে ঝুঁকি জেনেও তারা সনদ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে লাইসেন্সপ্রাপ্তির দীর্ঘসূত্রতা এড়াতে এবং বিভিন্ন কোম্পানির ডিলারদের বিপণন কৌশলে প্ররোচিত হয়েও তারা আইন অনুসরণ থেকে বিরত আছেন।

সাধারণ পথচারীরা কিছুটা আতংকিত হয়ে বলেন, এভাবে যে কোন সময় দোকানে,রাস্তায় ঢাকা চকবাজারের মতো দুর্ঘটনা ঘটে মানুষ মারা যেতে পারে। তাই আমরা সাধারণ জনগণ এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুউদ্দীন মোঃ শিবলী নোমান চকরিয়া নিউজকে বলেন, শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে। যাদের কাগজ পত্র নেই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: