মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ::
ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অদূরে এবং বাজারের প্রধান সড়ক ডিসি রোড সংলগ্ন মার্কেটের ৩টি দোকানে একযোগে দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত ঘটনায় বাজারে পাহারারত প্রহরী ও নিকটস্থ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২৫ ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে বাজারের কবিরাজ সিটি সেন্টারের ১ম তলার ৩টি দোকানে চুরির এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে রুহুল আমিনের মালিকানাধীন মনির ইলেকট্রিক, সাতকানিয়ার শরিফের মালিকানাধীন আদি বাংলা ফ্যাশন এবং রুদ্র পাড়ার সৌরভ রুদ্রের মালিকানাধীন জয় কোয়ালিটি ফ্যাশন। ভূক্তভোগী মালিকরা জানান, গভীর রাতে তালা কেটে ও ক্যাশ বক্স ভেঙ্গে তাদের দোকান থেকে নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়। সংশ্লিষ্টদের মতে, এ ঘটনায় আনুমানিক ৩০/৪০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। উল্লেখ্য, ঘটনাস্থল থেকে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র অতি নিকটে এবং বাজারের প্রধান সড়ক ডিসি রোড এসব দোকানের সাথে লাগোয়া। ডিসি রোডে বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক নিয়মিত পাহারার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে উক্ত ঘটনা ঘটলো তা কারো বুঝে আসছে না। স্থানীয় ব্যবসায়ী মনির আহমদ ও আরিফ উল্লাহ জানান, ডিসি রোডে তাদের অর্থায়নে বাজার কমিটি পাহারাদারের ব্যবস্থা করেছে। তা সত্ত্বেও চুরির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। মার্কেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা চুরির ঘটনায় নিকটস্থ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভূঁইয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, বাজারের সর্বস্তরের ব্যবসায়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় পুলিশী তৎপরতা বৃদ্ধি করা হবে। ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদ আহবায়ক সিরাজুল হক চুরির ঘটনা অবহিত হয়েছেন বলে জানিয়ে বলেন, মার্কেটের ভিতর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাহারাদারের জন্য আমরা কোন সহায়তা পাই না। তবুও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ভবিষ্যতে নিরাপত্তা জোরদারের পরিকল্পনা রয়েছে।
————————–
ঈদগাঁওতে ইউনিটির বার্ষিক প্রকল্প পরিকল্পনা অনুমোদন
ঈদগাঁওর শিক্ষা বান্ধব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইউনিটির বার্ষিক প্রকল্প পরিকল্পনা-২০১৬ সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারী সকালে বাজারের হাজী গফুর সিটি সেন্টারের ২য় তলায় অবস্থিত সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় উক্ত পরিকল্পনা আলাপ-আলোচনা ও পর্যালোচনা শেষে অনুমোদন করা হয়। এতে ৩টি প্রকল্পের ব্যাপারে কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। প্রকল্পগুলো হচ্ছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও জলবায়ু। এসব প্রকল্পের অধীনে আগামী এক বছরে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের মেধা লালন, শিক্ষাবৃত্তি, পাঠ্যাভ্যাস গঠন, স্বেচ্ছায় রক্তদান, স্বাস্থ্য সেবা, ব্লাড গ্রুপিং, বৃক্ষ রোপণ ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. ইবরাহীম। বক্তব্য রাখেন ইউনিটির শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা, কক্সবাজার সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক সুলতান আহমদ এবং ইউনিটির গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা ও ঈদগাঁও প্রেস ক্লাব সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম। ইউনিটির শিক্ষা বিভাগের সমন্বয়ক মোজাম্মেল হকের পরিচালনায় বিভাগীয় সমন্বয়ক, সহকারী পরিচালক, ইউনিট লিডার ও সদস্যদের মধ্যে ছিলেন মাষ্টার শহিদুল্লাহ সিকদার, আবুল কালাম বাবুল, এসএম মিজানুর রহমান, রমিজ উদ্দীন, আরমান জাহান, আবু সালেহ নূর, নুরুল আলম, সাজেদুল ইসলাম, সালাহ উদ্দীন, তাফসিরুল ইসলাম, মো. মনছুর, সোহেল রানা, এইচ এম মুন্না, সাইদুর রহমান, নওশাদুল আজম, মো. ইমরান, মো. মহিউদ্দীন, মোকাররম, উকার উদ্দীন, নয়ন কান্তি দে, আনিসুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, মুজিবুল হক প্রমুখ।
পাঠকের মতামত: