ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পাহাড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য টানছে পর্যটকদের

এনামুল হক কাশেমী, বান্দরবান ::     পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার সর্বত্রই ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে অসংখ্য পর্যটকবান্ধব স্পট। যেসব স্পটে কৃত্রিম কোনো ছোঁয়া নেই। শুধু প্রাকৃতিকভাবেই সৃষ্ট এসব স্পট। এসব স্পট কেবল পর্যটকদের জন্য শুধু আকর্ষণীয় নয়, স্থানীদের কাছেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। এর প্রতিটি দৃশ্যের মাঝে লুকিয়ে আছে জানা–অজানা এবং রহস্যময় সব কাহিনী।

দুই ঈদের ছুটি আর স্বাভাবিক ছুটির দিন তো বটেই, প্রায় প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক পর্যটকের যাতায়াত এই বান্দরবান জেলায়। এখানে পাহাড়ের চূড়া আর পাদদেশে রয়েছে অসংখ্য অপরূপ প্রাকৃতিক ঝর্ণা। মাতামুহুরী ও সাংগু নদীর উপত্তি স্থলও এখানে। এখানে প্রাকৃতিক পাহাড়ের সাবলীলতা খুবই দৃশ্যনীয় ও অবলোকনযোগ্য। প্রতিদিনই এসব প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী দর্শনে বিপুল পর্যটকের ভিড় জমে। প্রশাসন, পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন ভ্রমণপিপাসুদের সব ধরনের সহায়তা প্রদান করতে।

জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম বলেন, বান্দরবান জেলা যেহেতু দেশের একটি অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পর্যটনবান্ধব অঞ্চল, সেহেতু জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের সার্বিক সুবিধা নিশ্চিতে করণীয় সব রকমের ব্যবস্থাই গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, সম্প্রীতির এই জেলায় এই মৌসুমেও বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটছে। পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, জেলার পর্যটকসহ বাসিন্দারা যাতে নিরাপত্তার বিষয়ে সুনিশ্চিত থাকে সেই লক্ষ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ।

তাছাড়া নতুন নতুন উপভোগ্য বহু পর্যটকবান্ধব প্রাকৃতিক চিত্র বা স্পট আবিস্কৃত হচ্ছে জেলা জুড়েই। সেগুলো সংরক্ষণ এবং পর্যটকদের যাতায়াত সহজ করতে প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

বান্দরবান জেলার দুর্গম থানচি, রুমা, রোয়াংছড়ি, নাইক্ষংছড়ি, আলীকদম এবং বান্দরবান সদরসহ আশেপাশের এলাকাসমূহে বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য প্রাকৃতিক পাহাড়ি গিরি–ঝর্ণা, জলপ্রপাত ও পাহাড়ের পাদদেশে বিশাল আকৃতির জলাশয়। জেলার সর্বত্রই ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা বিপুল সংখ্যক দৃশ্যমান নজরকাড়া স্পট।

পাঠকের মতামত: