ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ভুয়া জন্ম সনদ তৈরী করে প্রতারণা, ৩ জনের সাজা

টেকনাফ সংবাদদাতা :
ভুয়া জন্ম সনদ তৈরী করে প্রতারণার অভিযোগে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে ৩ জনকে ৫ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
সাজা প্রাপ্তরা হলো-টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ মাঝের পাড়ার মকবুল আহাম্মদের ছেলে মোঃ রফিক (৩৫) ও আব্দুর রহমান (২১), বাজার পাড়া এলাকার সলিম উল্লাহর ছেলে জসীম উদ্দীন (২২)।
১৭ আগষ্ট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রণয় চাকমা তাদের এ সাজা দেন।
সাজাপ্রাপ্ত জসীম উদ্দীন ভূয়া জন্মসনদ তৈরি করে দেন মোঃ রফিক ও আব্দুর রহমানকে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাফিজ উদ্দীন ও মোঃ নিজাম উদ্দীনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক মামলায় আটক আসামীকে রক্ষায় ভূয়া জম্মসনদ করার দায়ে তিনজনকে আটক করে।
পরে দুপুরের দিকে টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রণয় চাকমার নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ভূয়া জম্ম সনদ তৈরির দায়ে তিন প্রতারককে ৫ মাস করে বিনাশ্রম সাজা প্রদান করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের কক্সবাজার কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে
গত ৩০ জুলাই চট্রগ্রাম কোতোয়ালী থানায় মাদক ইয়াবা মামলায় আটক আসামীর নাম ঠিকানা যাছাই করতে গিয়ে একটি জম্ম সনদ পাওয়া যায়। গত এক বছর ধরে কক্সবাজার জেলায় জম্ম নিবন্ধন বন্ধ থাকায় এই সনদ নিয়ে পুলিশের সন্দেহ হয়। এর সূত্র ধরে জম্ম সনদ অনুসন্ধানে গিয়ে উঠে আসে এটি ভুয়া সনদ। তাও অন্য ব্যাক্তির নামে। এ সব খতিয়ে দেখতে গিয়ে প্রতারনাকারী দুই ভাই ও কম্পিউটার মালিককে আটক করা হয়। এর ফলে ভূয়া সনদ তৈরিতে প্রতারক চক্র সর্তক হবে।
জানাযায়, গত ৩০ জুলাই চট্রগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের এসআই শিবু প্রসাদ চন্দের নেতৃত্বে একদল গোয়েন্দা পুলিশ সদস্য কোতোয়ালী থানাধীন লাল দিঘীর পশ্চিম পাড়স্থ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫শ পিস ইয়াবাসহ টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বাজার পাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে এমদাদুল হক(২৭)কে আটক করা হয়। তার স্বীক্ষারোক্তীতে এইকদিন শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রি পাড়া এলাকার ফয়েজুর রহমানের ছেলে আব্দুল মন্নান প্রকাশ মোনাফ(২৭)কে ও আটক করা হয়েছে। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আটক আসামীদের নাম ঠিকানা সঠিক যাচাইয়ে টেকনাফ থানায় প্রেরন করেন। টেকনাফ থানা পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে আটক আসামী আব্দুল মন্নান প্রকাশ মোনাফ তার প্রকৃত ঠিকানা না দিয়ে ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করে অন্য জনকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় ভূয়া জন্ম সনদসহ তিন জনকে আটক করে পুলিশ। এর ফলে একজন নিরহ ব্যক্তি রক্ষা পেয়েছেন।

পাঠকের মতামত: