ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার শহর থেকে ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি উধাও

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::

কক্সবাজার শহর থেকে ফিটনেস বিহীন ও লাইসেন্স বিহীন গাড়ি উধাও হয়ে গেছে। সড়কে গাড়ি চলাচল কম থাকায় তেমন যানজট নেই শহর জুড়ে। ট্রাফিক পুলিশের কড়াকড়ির কারণে এমন শৃংখলা ফিরে এসেছে বলে জানালেন গাড়ি চালক ও পথচারীরা। তবে কয়েকদিন পরে আগের অবস্থায় ফিরে যাবে এমন শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
কক্সবাজার শহর থেকে অধিকাংশ গাড়ি উধাও হয়ে গেছে। উধাও হওয়া গাড়ির মধ্যে মোটর সাইকেল ও সিএনজি টেক্সির সংখ্যাই বেশী।
কক্সবাজারের ট্রাফিক পুলিশের এএসপি বাবুল বণিক জানিয়েছেন, গত দুই দিনে কক্সবাজার শহরে ৩টি ট্রাফিক চেকপোস্টের মাধ্যমে ১০০ গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। শহরের ৬টি ট্রাফিক মোড়ে ১০ জন অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এখন ৬টি মোড়ে ২৭ জন পুলিশ ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে এ কার্যক্রম শুরু হলেও এটি চলমান থাকবে। কোন মতেই সড়কে বিশৃংখল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না। আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
শহরের ঝাউতলা এলাকায় নুর মোহাম্মদ নামের একজন নোহা গাড়ি ড্রাইভার জানিয়েছেন, আর ২/১ দিন পরেই সড়কে আগের পরিবেশ ফিরে আসবে। ঝাউতলা কেন্দ্রিক অনেকে নোহা কিংবা হ্ইাচ/মাইক্রোবাসে হয়তোবা ড্রাইভারের লাইসেন্স নেই না হয় গাড়ির কাগজপত্র নেই। কিন্তু সারা বছর এ গাড়িগুলো নির্বিঘেœ চলছে। ট্রাফিক বিভাগে কেউ জানালোও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এটিই মূল সমস্যা। সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে আগে ট্রাফিক বিভাগে শৃংখলা আনতে হবে। এ ছাড়া রাত ৮টার আগে শহরে বড় গাড়ি প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ট্রাফিক পুলিশই বড় গাড়ি প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। এমনকি দিনের বেলায় শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মালবাহি গাড়ি প্রবেশের সুযোগও করে দেয় ট্রাফিক পুলিশ। রাস্তায় না আসা গাড়ির ড্রাইভারদের আর কয়েকদিন অপেক্ষা করতে বলছে ট্রাফিক পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। যাদের গাড়ির বিভিন্ন সমস্যা কিংবা ড্রাইভারের কাগজপত্র নিয়ে সমস্যা থাকে তারা মাসিক চুক্তিতে গাড়ি চালায় কক্সবাজার শহরে।
এদিকে কক্সবাজার শহর ও হোটেল-মোটেল জোনকে যানজটমুক্ত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দফা উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি দীর্ঘদিনেও। যার ফলে এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে শহরের লালদিঘীর পাড় থেকে কলাতলী পর্যন্ত ৭২টি পরিবহনের বিভিন্ন কাউন্টার রয়েছে।
কক্সবাজারের নবনির্বাচিত পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, কক্সবাজার শহরে গাড়ি চলাচলে শৃংখলা বজায় রাখতে ট্রাফিক পুলিশকেই প্রধান ভুমিকা পালন করতে হবে। লোক দেখানো কোন কাজ মানুষ আর মেনে নেবে না। ত্রুটিপুর্ণ গাড়ি রাস্তায় নামানো হলে সমস্যা আরো বাড়বে। এ ছাড়াও পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি ও যানজটমুক্ত করতে হলে কাউন্টার সরাতে হবে শহর থেকে।
জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, কোন অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। আইন ও নির্দেশনা লংঘন করে কেউ গাড়ি চালাতে পারবে না। যানজট নিরসন ও পর্যটন নগরীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

পাঠকের মতামত: