ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় সড়কের উপর অবৈধ বাসস্ট্যান্ড !

আবদুল করিম. বিটু , পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::
পেকুয়ায় এবিসি সড়ক (আঞ্চলিক মহাসড়ক) অবৈধভাবে দখল করে বাস স্ট্যান্ড স্থাপনের কারণে তীব্র্র যানজটের দেখা দিয়েছে। উপজেলা সীমান্ত সংলগ্ন টইটং বাজারে এ যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। সড়কের এই অর্ধ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে ৩০মিনিটেরও বেশি সময় লাগছে বলে তাদের অভিযোগ। এ সড়কের যাত্রীদের অভিযোগ, প্রভাবশালী একটি চক্রের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় উপজেলার টইটং বাজারের উত্তর পাশে অঘোষিত টার্মিনাল বানিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করছে বাঁশখালী স্পেশাল ও সুপার সার্ভিস নামের দুটি বাস সার্ভিস। ফলে এই সড়কের সারাক্ষণ যানজট লেগেই রয়েছে। এতে জনদূর্ভোগও বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। এদিকে পেকুয়া ও টইটংয়ের সচেতন মানুষ গাড়ীর অবৈধ এ বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নিতে দীর্ঘদিন যাবত দাবি জানিয়ে আসলেও প্রশাসনের কোন সাড়া মিলছে না। টইটং বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়ক চালু হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামের সাথে যোগাযোগ সুবিধা বাড়ায় এই সড়কে যানবাহন চলাচল কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সড়কের উপর চট্টগ্রামগামী কোচ সার্ভিসের অবৈধ বাসস্ট্যান্ড থাকায় যানজটও বেড়ে গেছে। অবৈধ বাসস্ট্যান্ডটি সরানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনককে একাধিকবার বলেও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানান তারা। সোমবার (২৩ জুলাই) দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, টইটং বাজারের উত্তর পাশ লাগোয়া কালর্ভাটের উপর এবং তার দুই পাশের জড়ো হয়ে আছে সিএনজি অটোরিকশা। এর উত্তর পাশেই রয়েছে দুটি বাস কাউন্টার। কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় দুটি বাস। আর তাতে সংর্কীণ হয়ে পড়েছে মূল সড়ক। এছাড়াও কাউন্টারের সামনে থেকে সীমান্ত ব্রীজ পর্যন্ত দুই লেনের মূল সড়কের এক লেইন দখল করে রেখেছে শতাধিক বাস। ফলে একটি লেনে চলতে গিয়ে যানবাহনের জটলা লেগে যায় সবসময়। যা রূপ নিচ্ছে ভয়াবহ যানজটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কের ওপর গাড়ি থামিয়ে যাত্রী নামানো-ওঠানো, খালি বাস পার্কিং করে রাখা, সড়কের ওপর গাড়ি থামিয়ে মালামাল তোলা-নামা এখানকার প্রতিদিনের চিত্র। ফলে প্রায় সারাদিনই এ সড়কে লেগেই থাকছে যানজট। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন স্কুলগামী শিক্ষার্থী, রোগীবাহি এ্যাম্বুলেন্স, পথচারী ও দূর গন্তব্যের যাত্রীরা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয়রা বলেন, পরিবহন মালিকদের সাথে স্থানীয় প্রশাসনের গোপন আতাত থাকায় অবৈধ এ বাসস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। তাই মূল সড়কে বীরদর্পে দীর্ঘক্ষণ বাস দাঁড় করিয়ে রেখে যাত্রী উঠা-নামা করেন সংশ্লিষ্টরা। যানজট নিরসনের মাধ্যমে যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে অনুমোদনহীন এ বাস স্ট্যান্ড বন্ধে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হওয়া জরুরি।
টইটং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় বাসগুলো তারা মূল সড়কের উপর রাখছে। এতে জনসাধারণের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই বাসগুলো রাখার জায়গা সড়ক থেকে সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ঠদের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
এব্যাপারে বাঁশখালী-চট্টগ্রাম বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. শাহজাহান বলেন, আমাদের গাড়িগুলো রাস্তার পাশে পার্কিং করে রাখা হয় মাত্র। এতে অন্যান্য যান চলাচলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাতে কোন গাড়ি যাত্রী উঠা-নামা না করায় সে ব্যাপারে আমি লাইনম্যানকে বলে দিবো। তিনি আরো বলেন, পেকুয়া উপজেলা সদরে কাউন্টার স্থাপনের মাধ্যমে আমরা বাস ডিপো স্থানান্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। যা খুব শীঘ্রই বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ডিপো স্থানান্তর হয়ে গেলে এসব সমস্যা আর থাকবেনা।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বাসস্ট্যান্ডটি সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: