ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

স্কুল শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ফোন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে -ইউএনও চকরিয়া

চকরিয়া প্রতিনিধি : ইসলামে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই। মাদককে ইসলাম ধর্মে হারাম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এসব থেকে মুক্ত হতে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবে।
আজ সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মোহনা মিলনায়তনে কক্সবাজারের চকরিয়ায় সন্তান ও ছাত্র-ছাত্রীদের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকসেবন থেকে বিরত রাখা এবং ভালোভাবে লেখাপড়ায় উৎসহ প্রদানে অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধিমুলক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অতিথিরা এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জাইকার সহায়তায় এবং উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেষ্ট পাপিয়া চাকমার পরিচালনায় অনুষ্টিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, দেশে জঙ্গিবাদ একটি প্রকট সমস্যা ছিলো। সরকার তা দমাতে সমর্থ হয়েছে। বর্তমানে মাদক ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই মাদকের কবলে পড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিপদগামী হচ্ছে। মাদকগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা কেউ আমাদের ছেলে-ভাই-বন্ধু। তাই এই মাদকের হাত থেকে তাদের রক্ষা করতে হলে শিক্ষকের পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।
এসময় শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদের আরো বেশি সচেতন হতে হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।
এসময় তিনি শিক্ষকদের উদ্যোশে বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ে সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য পরামর্শ দেন। স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ফোন ব্যবহার থেকে বিরত রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা দেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, চিরিংগা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জসীম উদ্দিন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এম জোবায়ের হোসেন ও সাংবাদিক এম জাহেদ চৌধুরী প্রমুখ।
প্রশিক্ষণে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-অভিভাবক ও সাংবাদিকরা অংশ নেন। ৩০ জুলাই থেকে আগামী ৪ আগষ্ট পর্যন্ত চলবে এই কর্মশালা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন,  মাদক সেবন একদিনে শুরু হইনা। বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে অল্প অল্প মাদক সেবন করতে করতে একজন মাদকসেবীতে পরিণত হয়। এজন্য অভিভাবকদের সবচেয়ে বেশি অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে।
সন্তানরা কোথায় যাচ্ছে কার সাথে মিশছে সেসব বিষয়ে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। সে স্কুল যাচ্ছে নাকি ক্লাস ফাঁকি দিয়ে খারাপ আড্ডায় মিলিত হচ্ছে তা নজরে আনতে হবে।

পাঠকের মতামত: