ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় রেলপথ: মাইকিং করে এসে নোটিশ না দিয়ে দেয়ায় ভোগান্তি

মনির আহমদ, চকরিয়া ::
চকরিয়ার উপর দিয়ে অতিক্রম করা সম্ভাব্য রেলপথের জন্য অধিগ্রহন করা জমির উপর খুটি দিয়ে চলে যাবার ১ এক বছর পর ও নোটিশ পায় নি পালাকাটা মৌজার শতাধিক ভূমি মালিক। ৩ ধারা নোটিশ না দিয়েই গত ১৯ জুলাই ৬ ধারা নোটিশ দেয়ার মাইকিং করেন ভুমি  অধিগ্রহন অফিস। মাইকিং এ খবর পেয়ে ২২ জুলাই ২০১৮ রবিবার সকাল ৯টা থেকে চকরিয়া তহসিল অফিসে ভুমি মালিকরা ভিড় জমান । কয়েক শত মালিক জড়ো হলে ও কয়েকজন মালিকের ৬ ধারার কয়েকটা নোটিশ হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে যায় নোটিশ দিতে আসা সংশ্লষ্টরা। এতে চরম অনিশ্চয়তা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন চকরিয়া পৌরসভার পালাকাটা মৌজার জমি মালিকরা। ভুক্তভোগির অভিযোগ প্রকৃত মালিকের সাথে কোন যোগাযোগের প্রয়োজন মনে করছেন না আগত ভুমি অধিগ্রহন কর্মকর্তারা।

ভোক্তভোগিরা জানান, চকরিয়া ও চকরিয়া পৌরসভার উপর দিয়ে অতিক্রম করা সম্ভাব্য রেলপথের জন্য জমি পরিচিহ্নের কাজ চলছে গত দুই বছর ধরে। দোহাজারী থেকে ঘুংধোম পর্যন্ত প্রক্রিয়াধীন রেললাইনের জন্য ভুমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া ও চুড়ান্ত। কিন্তু যাদের জমির উপর দিয়ে রেল লাইন যাচ্ছে তাদের সাথে কোন যোগাযোগ নাই ভুমি অধিগ্রহন কর্তৃপক্ষের। এরই মধ্যে গত ১৯ জুলাই ‘১৮ বৃহস্পতিবার ভুমি অধিগ্রহন শাখার বরাত দিয়ে ৬ ধারা নোটিস নেয়ার জন্য মাইকিং করেন রেল কর্তৃপক্ষ। মাইকে বলা হয় চকরিয়া ভুমি অফিসে যোগাযোগ করার জন্য। মাইকিং এ খবর পেয়ে ২২ জুলাই ২০১৮ রবিবার সকাল ৯টা থেকে চকরিয়া তহসিল অফিসে কয়েক শত ভূমি মালিক জড়ো হলে ও কয়েকজন মালিককে ৬ ধারার কয়েকটা নোটিশ হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে যায় নোটিশ দিতে আসা সংশ্লিষ্টরা। সরেজমিনে জানা যায়, কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহন শাখার সার্ভেয়ার মাসদ রানার নেতৃত্বে ৫/৬ জন ব্যক্তি চকরিয়া তহসিল অফিসে আসেন নোটিশ নিয়ে।অত:পর মাইকিং করে ৬ ধারা ঘোষনা দিয়ে কয়েকজনকে দিয়ে বাকি নোটিশ দানে বিরত রযেছে কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহন শাখার এ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।এ সময় অধিকাংশ জমির মালিক নোটিশ না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
একে ৫ দিন ধরে যোগাযোগ করে ও চরম অনিশ্চয়তা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন চকরিয়া পৌরসভার পালাকাটা মৌজার জমি মালিকরা। ভুক্তভোগী জমি মালিক চকরিয়া পৌরসভার পালাকাটার বাসিন্দা নুরতাজ বেগম জানান, তিনি ও তার অন্যান্য সদস্যদের জমির খতিয়ান নং ১৩০ এর ৫৫৯ নং দাগেরর জমির উপর খুটি দিয়ে রেল লাইন পরিচিহ্নিত করা হয়েছে। পরিচিহ্নের জন্য আগত সার্ভের পর ভুল করেছেন জরিপে নিয়োজিতরা। ১৩০ নং খতিয়ানের স্থলে লিখেছেন ৫২৫ নং। চরম ভুলের কারন সংশোধনের আবেদন করা হলে ও তা না করায় ভোগান্তিতে রয়েছেন তারা। একই অভিযোগ চকরিয়ার হারবাং এর কামাল উদ্দিনের তার খতিয়ান নং ও ভুল।
একদল কর্মচারি চকরিয়া চিরিঙ্গা তহসিল অফিসে এসে নোটিশ কিছু কিছু নোটিশ দিলে ও চকরিয়া পৌরসভার পালাকাটা মৌজার ৫ নং ওয়ার্ডের নোটিশ না দিয়েই গড়িমসি করে এক সপ্তাহ পর করে দিয়েছেন। অথচ প্রদত্ত নোটিশে লেখা আছে ৩০ জুলাই অভিযোগের শেষ দিন।ভুক্তভোগির অভিযোগ, প্রকৃত মালিকের সাথে কোন যোগাযোগের প্রয়োজন মনে করছেন না  ভুমি অধিগ্রহন কর্মকর্তারা। এ ব্যপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুমি মালিকরা।

পাঠকের মতামত: